খাসোগি হত্যা নিয়ে সৌদির কাছে এরদোয়ানের দুই প্রশ্ন
অনলাইন ডেস্ক | ২৩ অক্টোবর, ২০১৮ ১৮:৪০
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। ছবি: সংগৃহীত
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান বলেছেন, তার কাছে জোরালো প্রমাণ রয়েছে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগির মৃত্যু কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং এক পরিকল্পিত অভিযানের মাধ্যমেই তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তুরস্কের ক্ষমতাসীন একে পার্টির পার্লামেন্টারি গ্রুপের সদস্যদের সামনে মঙ্গলবার এক বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। খবর: বিবিসি বাংলা।
সৌদি আরবের প্রতি দুই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে এরদোয়ান বলেন, ‘খাসোগির মৃতদেহ কোথায় এবং কে তাকে হত্যা করার আদেশ দিয়েছে?’
এ ঘটনায় সৌদি আরবে ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, এই ১৮ জনকে ইস্তাম্বুলে এনে তাদের বিচার করতে হবে। এ খুনে ভূমিকা রেখেছে এমন সবারই শাস্তি পেতে হবে।
এ ভাষণের আগে এরদোয়ান বলেছিলেন, জামাল খাসোগিকে কিভাবে খুন করা হয়েছে তার ‘নগ্ন সত্য’ তিনি প্রকাশ করবেন। এ কারণে তার এ ভাষণকে নিয়ে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছিল।
তবে এরদোয়ানের ভাষণে যে ধরনের তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপিত হবে বলে লোকের মনে আশা তৈরি হয়েছিল, সেরকম কিছু তিনি বলেননি। এনিয়ে তুর্কি-সৌদি সম্পর্ক যাতে একেবারে ভেঙে না পড়ে সে বিষয়ে সতর্ক ছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
এরদোয়ান বলেছেন, বেশ কিছুদিন আগেই এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে যেসব তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে তা এরদোয়ান প্রকাশ করেননি।
এ ঘটনার অডিও ও ভিডিও রেকর্ডিং তুরস্কের হাতে আছে- এমন কথা তুর্কি কর্তৃপক্ষ আগে বললেও, এরদোয়ান তার ভাষণে এরকম কোনো কিছুর কথা উল্লেখ করেননি।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের আগে তিনটি দলে ভাগ হয়ে ১৫ জন সৌদি নাগরিক পৃথক পৃথক বিমানে করে ইস্তাম্বুলে আসে। হত্যাকাণ্ডের এক দিন আগে এই দলটির কয়েকজন কনস্যুলেটের কাছে বেলগ্রাদ বনভূমিতে যায়।
গত সপ্তাহে তুরস্কের পুলিশ খাসোগির মৃতদেহের সন্ধানে ওই জায়গাটিতে তল্লাশি চালায়।
এরদোয়ান আরো বলেন, খাসোগি কনস্যুলেট ভবনে ঢোকার আগেই ওই ভবনের নিরাপত্তা ক্যামেরা এবং নজরদারির সব ভিডিও সরিয়ে ফেলে সৌদি নাগরিকদের দলটি।
সৌদি আরব ব্যাপারটা প্রথমে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিলেও প্রায় দু সপ্তাহ পরে খাসোগির খুন হওয়ার কথা স্বীকার করে।
গত ২ অক্টোবর জামাল খাসোগি তার প্রেমিকাকে বিয়ে করার জন্য তার আগের স্ত্রীর সাথে বিবাহবিচ্ছেদের কাগজপত্র নিতে কনস্যুলেটে ঢোকেন। তার পর আর তিনি বেরিয়ে আসেননি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৩ অক্টোবর, ২০১৮ ১৮:৪০

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান বলেছেন, তার কাছে জোরালো প্রমাণ রয়েছে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগির মৃত্যু কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং এক পরিকল্পিত অভিযানের মাধ্যমেই তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তুরস্কের ক্ষমতাসীন একে পার্টির পার্লামেন্টারি গ্রুপের সদস্যদের সামনে মঙ্গলবার এক বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। খবর: বিবিসি বাংলা।
সৌদি আরবের প্রতি দুই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে এরদোয়ান বলেন, ‘খাসোগির মৃতদেহ কোথায় এবং কে তাকে হত্যা করার আদেশ দিয়েছে?’
এ ঘটনায় সৌদি আরবে ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, এই ১৮ জনকে ইস্তাম্বুলে এনে তাদের বিচার করতে হবে। এ খুনে ভূমিকা রেখেছে এমন সবারই শাস্তি পেতে হবে।
এ ভাষণের আগে এরদোয়ান বলেছিলেন, জামাল খাসোগিকে কিভাবে খুন করা হয়েছে তার ‘নগ্ন সত্য’ তিনি প্রকাশ করবেন। এ কারণে তার এ ভাষণকে নিয়ে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছিল।
তবে এরদোয়ানের ভাষণে যে ধরনের তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপিত হবে বলে লোকের মনে আশা তৈরি হয়েছিল, সেরকম কিছু তিনি বলেননি। এনিয়ে তুর্কি-সৌদি সম্পর্ক যাতে একেবারে ভেঙে না পড়ে সে বিষয়ে সতর্ক ছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
এরদোয়ান বলেছেন, বেশ কিছুদিন আগেই এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে যেসব তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে তা এরদোয়ান প্রকাশ করেননি।
এ ঘটনার অডিও ও ভিডিও রেকর্ডিং তুরস্কের হাতে আছে- এমন কথা তুর্কি কর্তৃপক্ষ আগে বললেও, এরদোয়ান তার ভাষণে এরকম কোনো কিছুর কথা উল্লেখ করেননি।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের আগে তিনটি দলে ভাগ হয়ে ১৫ জন সৌদি নাগরিক পৃথক পৃথক বিমানে করে ইস্তাম্বুলে আসে। হত্যাকাণ্ডের এক দিন আগে এই দলটির কয়েকজন কনস্যুলেটের কাছে বেলগ্রাদ বনভূমিতে যায়।
গত সপ্তাহে তুরস্কের পুলিশ খাসোগির মৃতদেহের সন্ধানে ওই জায়গাটিতে তল্লাশি চালায়।
এরদোয়ান আরো বলেন, খাসোগি কনস্যুলেট ভবনে ঢোকার আগেই ওই ভবনের নিরাপত্তা ক্যামেরা এবং নজরদারির সব ভিডিও সরিয়ে ফেলে সৌদি নাগরিকদের দলটি।
সৌদি আরব ব্যাপারটা প্রথমে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিলেও প্রায় দু সপ্তাহ পরে খাসোগির খুন হওয়ার কথা স্বীকার করে।
গত ২ অক্টোবর জামাল খাসোগি তার প্রেমিকাকে বিয়ে করার জন্য তার আগের স্ত্রীর সাথে বিবাহবিচ্ছেদের কাগজপত্র নিতে কনস্যুলেটে ঢোকেন। তার পর আর তিনি বেরিয়ে আসেননি।