‘সব ইহুদিকে মরতে হবে’ বলেই গুলি, নিহত ১১
অনলাইন ডেস্ক | ২৮ অক্টোবর, ২০১৮ ১৪:৫৯
সিনাগগে হামলার পর বন্দুকধারীকে ধরতে অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গ নগরীর একটি সিনাগগে শনিবার বন্দুক হামলায় ১১ জন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন। এটা যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদিদের ওপর সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা।
এই ঘটনায় হামলাকারী রবার্ট বোয়ার্সকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ২৯টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। খবর: বাসস।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ৪৬ বছর বয়সী স্থানীয় বাসিন্দা শ্বেতাঙ্গ খ্রিস্টান রবার্ট বোয়ার্স ‘সব ইহুদিকে মরতে হবে’ এই ঘোষণা দিয়ে ট্রি অব লাইফ সিনাগগে এ হামলা চালায়।
হামলার সময় সিনাগগে সকালের সাবাথ অনুষ্ঠান চলছিল। এ সময় সেখানে বেশ অনেক ইহুদি ধর্মাবলম্বী উপস্থিত ছিলেন।
হামলার পর পুলিশের সঙ্গে রবার্টের বন্দুকযুদ্ধ হয়। পুলিশ আহত অবস্থায় তাকে আটক করে। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার রাতে মার্কিন প্রসিকিউটররা তার বিরুদ্ধে সহিংসতা ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার সংক্রান্ত ২৯টি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর মধ্যে ধর্ম পালনে বিঘ্ন সৃষ্টিকরা ও এর ফলে হত্যাকাণ্ডের ১১টি অভিযোগ রয়েছে।
প্রসিকিউটররা এক বিবৃতিতে জানান, ‘কেন্দ্রীয় নাগরিক অধিকার আইনের ভিত্তিতে এ ধরনের সহিংসতামূলক ঘৃণাজনিত অপরাধ নিষিদ্ধ।’
এর আগে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রবার্টের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে তাতে তার মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামলাকারীকে ‘পাগল’ আখ্যা দিয়ে এই ঘটনাকে ‘জঘন্য ও নির্বিচারে হত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ইহুদি ধর্মে ধর্মান্তরিত ট্রাম্প কন্যা ইভাঙ্কা বলেন, ‘আমেরিকা ইহুদি-বিরোধী ঘটনার ঘোর বিরোধী।’
এই ঘটনায় নিহতদের প্রতি সম্মান জানাতে ট্রাম্প ৩১ অক্টোবর হোয়াইট হাউস ও যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত সরকারি অফিস এবং সেনা ও নৌঘাটিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৮ অক্টোবর, ২০১৮ ১৪:৫৯

যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গ নগরীর একটি সিনাগগে শনিবার বন্দুক হামলায় ১১ জন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন। এটা যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদিদের ওপর সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা।
এই ঘটনায় হামলাকারী রবার্ট বোয়ার্সকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ২৯টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। খবর: বাসস।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ৪৬ বছর বয়সী স্থানীয় বাসিন্দা শ্বেতাঙ্গ খ্রিস্টান রবার্ট বোয়ার্স ‘সব ইহুদিকে মরতে হবে’ এই ঘোষণা দিয়ে ট্রি অব লাইফ সিনাগগে এ হামলা চালায়।
হামলার সময় সিনাগগে সকালের সাবাথ অনুষ্ঠান চলছিল। এ সময় সেখানে বেশ অনেক ইহুদি ধর্মাবলম্বী উপস্থিত ছিলেন।
হামলার পর পুলিশের সঙ্গে রবার্টের বন্দুকযুদ্ধ হয়। পুলিশ আহত অবস্থায় তাকে আটক করে। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার রাতে মার্কিন প্রসিকিউটররা তার বিরুদ্ধে সহিংসতা ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার সংক্রান্ত ২৯টি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর মধ্যে ধর্ম পালনে বিঘ্ন সৃষ্টিকরা ও এর ফলে হত্যাকাণ্ডের ১১টি অভিযোগ রয়েছে।
প্রসিকিউটররা এক বিবৃতিতে জানান, ‘কেন্দ্রীয় নাগরিক অধিকার আইনের ভিত্তিতে এ ধরনের সহিংসতামূলক ঘৃণাজনিত অপরাধ নিষিদ্ধ।’
এর আগে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রবার্টের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে তাতে তার মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামলাকারীকে ‘পাগল’ আখ্যা দিয়ে এই ঘটনাকে ‘জঘন্য ও নির্বিচারে হত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ইহুদি ধর্মে ধর্মান্তরিত ট্রাম্প কন্যা ইভাঙ্কা বলেন, ‘আমেরিকা ইহুদি-বিরোধী ঘটনার ঘোর বিরোধী।’
এই ঘটনায় নিহতদের প্রতি সম্মান জানাতে ট্রাম্প ৩১ অক্টোবর হোয়াইট হাউস ও যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত সরকারি অফিস এবং সেনা ও নৌঘাটিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।