সংসদ ভেঙে আগাম নির্বাচন শ্রীলঙ্কায়
অনলাইন ডেস্ক | ১০ নভেম্বর, ২০১৮ ১৫:৩৩
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা সংসদ ভেঙে আগাম নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। ছবি: সংগৃহীত
চলমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা সংসদ ভেঙে আগাম নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। শুক্রবার মধ্যরাতে সিরিসেনা ৫ জানুয়ারিকে সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ঘোষণা দেন বলে বিবিসি জানায়।
তবে সিরিসেনার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা যাবে।
বরখাস্ত হওয়া প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহের দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) পক্ষ থেকে বলা হয়, এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের নেই।
গত মাসে মাইথ্রিপালা সিরিসেনা কর্তৃক শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে যে সংকট চলছে তা এড়াতে এই সিদ্ধান্ত বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহকে পদচ্যুত করে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহেন্দ্র রাজাপাকসেকে নিয়োগ দেন। তিনি বিক্রমাসিংহের মন্ত্রিসভাও বাতিল করেন। বিক্রমাসিংহে পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানান এবং তার পদচ্যুতিকে অবৈধ ও অসাংবাধিনিক বলে দাবি করেন।
ইউএনপি’র সংসদ সদস্য অজিত পেরেরা আগাম নির্বাচনের সিদ্ধান্তকে ‘অবৈধ’ দাবি করে বিবিসিকে বলেন, ‘দেশে যেন রক্তপাত না ঘটে সেজন্য এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ আশা করছি।’
এদিকে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান মাহিন্দা দেশপ্রিয়ে দ্য হিন্দুকে এ বিষয়ে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দেওয়ার ক্ষমতা আছে।’
শ্রীলঙ্কার সংবিধানের ১৯নং সংশোধনীতে উল্লেখ আছে, দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে প্রেসিডেন্ট সাড়ে চার বছরের মধ্যে সংসদ ভেঙে দিতে পারবেন না। বিক্রমাসিংহের পক্ষে ১২০ সাংসদ রয়েছেন, রাজাপাকসের পক্ষে রয়েছেন ১০৪ সাংসদ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১০ নভেম্বর, ২০১৮ ১৫:৩৩

চলমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা সংসদ ভেঙে আগাম নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। শুক্রবার মধ্যরাতে সিরিসেনা ৫ জানুয়ারিকে সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ঘোষণা দেন বলে বিবিসি জানায়।
তবে সিরিসেনার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা যাবে।
বরখাস্ত হওয়া প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহের দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) পক্ষ থেকে বলা হয়, এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের নেই।
গত মাসে মাইথ্রিপালা সিরিসেনা কর্তৃক শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে যে সংকট চলছে তা এড়াতে এই সিদ্ধান্ত বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহকে পদচ্যুত করে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহেন্দ্র রাজাপাকসেকে নিয়োগ দেন। তিনি বিক্রমাসিংহের মন্ত্রিসভাও বাতিল করেন। বিক্রমাসিংহে পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানান এবং তার পদচ্যুতিকে অবৈধ ও অসাংবাধিনিক বলে দাবি করেন।
ইউএনপি’র সংসদ সদস্য অজিত পেরেরা আগাম নির্বাচনের সিদ্ধান্তকে ‘অবৈধ’ দাবি করে বিবিসিকে বলেন, ‘দেশে যেন রক্তপাত না ঘটে সেজন্য এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ আশা করছি।’
এদিকে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান মাহিন্দা দেশপ্রিয়ে দ্য হিন্দুকে এ বিষয়ে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দেওয়ার ক্ষমতা আছে।’
শ্রীলঙ্কার সংবিধানের ১৯নং সংশোধনীতে উল্লেখ আছে, দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে প্রেসিডেন্ট সাড়ে চার বছরের মধ্যে সংসদ ভেঙে দিতে পারবেন না। বিক্রমাসিংহের পক্ষে ১২০ সাংসদ রয়েছেন, রাজাপাকসের পক্ষে রয়েছেন ১০৪ সাংসদ।