অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের উত্তরসূরি কারেনবাউয়ার
অনলাইন ডেস্ক | ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:১৬
নতুন নেতৃত্বে আসা কারেনবাউয়ার মেরকেলেরই অনুসারী।
দীর্ঘ ১৮ বছর পর দলের শীর্ষস্থান থেকে সরে দাঁড়ালেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। শুক্রবার হামবুর্গ শহরে ৯৯৯ জন প্রতিনিধির ভোটে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন অব জার্মানি’র (সিডিইউ) নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আরেক নারী রাজনীতিবিদ অ্যানেগ্রেট ক্রাম্প-কারেনবাউয়ার।
অক্টোবরের শেষের দিকে দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন জার্মানির লৌহমানবী হিসেবে খ্যাত মেরকেল। জাতীয় নির্বাচনে সিডিইউ বিগত নির্বাচনের চেয়ে অনেক কম ভোট পাওয়ায় দলের প্রধান হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার এমন সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
কয়েক বছর ধরে দলের মধ্যে চলমান বিশৃঙ্খলা এবং ১০ লাখ অভিবাসন প্রত্যার্শীদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়ার বিতর্কে দলের মধ্যে নিজের অবস্থান নাজুক হয়ে পড়ে মেরকেলের। যার কারণে ২০২১ সালে তার মেয়াদ পূর্ণ হলে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রভাবশালী নেতা।
তবে নতুন নেতৃত্বে আসা কারেনবাউয়ার তারই অনুসারী। কংগ্রেসে প্রতিনিধিদের ভোটে প্রথম রাউন্ডে তিনি এগিয়ে ছিলেন ৪৫০ ভোটে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী এবং মেরকেলের অন্যতম সমালোচক ফ্রেইডরিক মার্জ পেয়েছিলেন ৩৯২ ভোট। ১৫৭ ভোট পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে ছিটকে পড়েন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেন্স স্পান।
দ্বিতীয় রাউন্ডে কারেনবাউয়ার ৫১৭ ভোটে দলের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। এ রাউন্ডে ফ্রেইডরিক মার্জ পান ৪৮২ ভোট।
এদিন কংগ্রেসে দল থেকে পদত্যাগের আগে বিদায়ী ভাষণ দেন মেরকেল। আবেগঘন এক ভাষণে মেরকেল অভ্যন্তরীণ ও বিদেশ নীতিতে উদার মূল্যবোধকে রক্ষার আহ্বান জানান।
ভাষণ শেষে প্রতিনিধিদের করতালির মধ্যে বেশ কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে থাকেন মেরকেল। দলে তার অবদান এবং গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:১৬
দীর্ঘ ১৮ বছর পর দলের শীর্ষস্থান থেকে সরে দাঁড়ালেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। শুক্রবার হামবুর্গ শহরে ৯৯৯ জন প্রতিনিধির ভোটে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন অব জার্মানি’র (সিডিইউ) নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আরেক নারী রাজনীতিবিদ অ্যানেগ্রেট ক্রাম্প-কারেনবাউয়ার।
অক্টোবরের শেষের দিকে দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন জার্মানির লৌহমানবী হিসেবে খ্যাত মেরকেল। জাতীয় নির্বাচনে সিডিইউ বিগত নির্বাচনের চেয়ে অনেক কম ভোট পাওয়ায় দলের প্রধান হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার এমন সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
কয়েক বছর ধরে দলের মধ্যে চলমান বিশৃঙ্খলা এবং ১০ লাখ অভিবাসন প্রত্যার্শীদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়ার বিতর্কে দলের মধ্যে নিজের অবস্থান নাজুক হয়ে পড়ে মেরকেলের। যার কারণে ২০২১ সালে তার মেয়াদ পূর্ণ হলে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রভাবশালী নেতা।
তবে নতুন নেতৃত্বে আসা কারেনবাউয়ার তারই অনুসারী। কংগ্রেসে প্রতিনিধিদের ভোটে প্রথম রাউন্ডে তিনি এগিয়ে ছিলেন ৪৫০ ভোটে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী এবং মেরকেলের অন্যতম সমালোচক ফ্রেইডরিক মার্জ পেয়েছিলেন ৩৯২ ভোট। ১৫৭ ভোট পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে ছিটকে পড়েন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেন্স স্পান।
দ্বিতীয় রাউন্ডে কারেনবাউয়ার ৫১৭ ভোটে দলের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। এ রাউন্ডে ফ্রেইডরিক মার্জ পান ৪৮২ ভোট।
এদিন কংগ্রেসে দল থেকে পদত্যাগের আগে বিদায়ী ভাষণ দেন মেরকেল। আবেগঘন এক ভাষণে মেরকেল অভ্যন্তরীণ ও বিদেশ নীতিতে উদার মূল্যবোধকে রক্ষার আহ্বান জানান।
ভাষণ শেষে প্রতিনিধিদের করতালির মধ্যে বেশ কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে থাকেন মেরকেল। দলে তার অবদান এবং গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।