‘পাকিস্তানকে এক ডলারও দেওয়া উচিত না’
অনলাইন ডেস্ক | ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৭:৫৪
নিকি হেলি । ছবি: ফেসবুক
জাতিসংঘের মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হেলি বলেছেন, পাকিস্তানকে সবধরনের সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া উচিত যুক্তরাষ্ট্রের।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ভারতীয় বংশোদ্ভু নিকি হেলি সম্প্রতি মার্কিন ম্যাগাজিন ‘দ্যা আটলান্টিকা’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে। এই সন্ত্রাসীরা ঘুরে ঘুরে মার্কিন সেনাদের হত্যা করছে। ফলে, সন্ত্রাসীদের আশ্রয় বন্ধ না করা পর্যন্ত ইসলামাবাদকে এক ডলারও দেওয়া উচিত না যুক্তরাষ্ট্রের।’
যারা যুক্তরাষ্ট্রের ভালো চায় না তাদের সহায়তা দেওয়ার দরকার নেই মন্তব্য করে নিকি বলেন, ‘কোন কোন দেশের সঙ্গে আমরা সম্পর্ক রাখব তার কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত। আমি মনে করি, আমরা না জেনে অন্ধভাবে এমন সব দেশে টাকা ছিটাচ্ছি যাদের সাথে বাস্তবে আমাদের বন্ধুত্ব নেই।’
তিনি বলেন, পাকিস্তানকে বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এতে তাদের একচুল পরিবর্তন হয়নি।
মার্কিন কর্মকর্তা আরও বলেন, পাকিস্তানকে বলা উচিত আমরা তোমাদের সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার আগে তোমাদের সন্ত্রাসীদের সহায়তা বন্ধ করতে হবে।
দ্যা আটলান্টিকার পক্ষ থেকে হেলিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনি কি মনে করেন না একটি দেশকে সাহায্য বন্ধ করে দিলে দেশটি আরও শত্রুভাবাপন্ন হয়ে উঠতে পারে?
তিনি বলেন, আমি মনে করি আমাদের সহায়তা প্রদানের পেছনে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকতে হবে।
হেলি আরও বলেন, আমি মনে করি না যে আপনাকে অন্ধভাবে কাউকে সাহায্য করতে হবে এবং সেই সাহায্যের ফল ভোগ করতে হলে ভাগ্যের দিকে চেয়ে থাকতে হবে। বরং তারচেয়ে ভালো হয়, নিজের কাছে প্রশ্ন করতে হবে যে, আমার সাহায্যের ফলে কোনো উন্নতি হচ্ছে কি না। যদি উন্নতি হয় তাহলে সাহায্য চালিয়ে যাওয়া যায়।
জাতিসংঘের মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে আর বেশিদিন নেই নিকি হেলির। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে প্রধান স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র এবং সাবেক ফক্স নিউজের সাংবাদিক হিথার নওর্থকে হেলির স্থলাভিষিক্ত করেছেন।
এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ট্রাম্প প্রশাসন সন্ত্রাস দমনে নিজেদের মাটিতে কাঙ্ক্ষিত তৎপরতা না দেখানোর অভিযোগে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৩শ’ মিলিয়ন ডলার সহায়তা বন্ধ করে দেয়।
ট্রাম্প পাকিস্তানকে বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগ তুলে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক টুইটের মধ্য দিয়ে বছর শুরু করেছিলেন।
বিন লাদেনের পাকিস্তানে অবস্থানের বিষয়ে ফক্স নিউজকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা সবাই জানতাম বিন লাদেন পাকিস্তানে আছে। কিন্তু পাকিস্তান তা অস্বীকার করত। অবশেষে ২০১১ সালে অটোয়াবাদে সেনা ঘাঁটির পাশেই লাদেনকে পাওয়া গেল। অথচ আমরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে প্রতি বছর প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিতাম।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৭:৫৪

জাতিসংঘের মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হেলি বলেছেন, পাকিস্তানকে সবধরনের সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া উচিত যুক্তরাষ্ট্রের।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ভারতীয় বংশোদ্ভু নিকি হেলি সম্প্রতি মার্কিন ম্যাগাজিন ‘দ্যা আটলান্টিকা’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে। এই সন্ত্রাসীরা ঘুরে ঘুরে মার্কিন সেনাদের হত্যা করছে। ফলে, সন্ত্রাসীদের আশ্রয় বন্ধ না করা পর্যন্ত ইসলামাবাদকে এক ডলারও দেওয়া উচিত না যুক্তরাষ্ট্রের।’
যারা যুক্তরাষ্ট্রের ভালো চায় না তাদের সহায়তা দেওয়ার দরকার নেই মন্তব্য করে নিকি বলেন, ‘কোন কোন দেশের সঙ্গে আমরা সম্পর্ক রাখব তার কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত। আমি মনে করি, আমরা না জেনে অন্ধভাবে এমন সব দেশে টাকা ছিটাচ্ছি যাদের সাথে বাস্তবে আমাদের বন্ধুত্ব নেই।’
তিনি বলেন, পাকিস্তানকে বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এতে তাদের একচুল পরিবর্তন হয়নি।
মার্কিন কর্মকর্তা আরও বলেন, পাকিস্তানকে বলা উচিত আমরা তোমাদের সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার আগে তোমাদের সন্ত্রাসীদের সহায়তা বন্ধ করতে হবে।
দ্যা আটলান্টিকার পক্ষ থেকে হেলিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনি কি মনে করেন না একটি দেশকে সাহায্য বন্ধ করে দিলে দেশটি আরও শত্রুভাবাপন্ন হয়ে উঠতে পারে?
তিনি বলেন, আমি মনে করি আমাদের সহায়তা প্রদানের পেছনে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকতে হবে।
হেলি আরও বলেন, আমি মনে করি না যে আপনাকে অন্ধভাবে কাউকে সাহায্য করতে হবে এবং সেই সাহায্যের ফল ভোগ করতে হলে ভাগ্যের দিকে চেয়ে থাকতে হবে। বরং তারচেয়ে ভালো হয়, নিজের কাছে প্রশ্ন করতে হবে যে, আমার সাহায্যের ফলে কোনো উন্নতি হচ্ছে কি না। যদি উন্নতি হয় তাহলে সাহায্য চালিয়ে যাওয়া যায়।
জাতিসংঘের মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে আর বেশিদিন নেই নিকি হেলির। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে প্রধান স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র এবং সাবেক ফক্স নিউজের সাংবাদিক হিথার নওর্থকে হেলির স্থলাভিষিক্ত করেছেন।
এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ট্রাম্প প্রশাসন সন্ত্রাস দমনে নিজেদের মাটিতে কাঙ্ক্ষিত তৎপরতা না দেখানোর অভিযোগে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৩শ’ মিলিয়ন ডলার সহায়তা বন্ধ করে দেয়।
ট্রাম্প পাকিস্তানকে বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগ তুলে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক টুইটের মধ্য দিয়ে বছর শুরু করেছিলেন।
বিন লাদেনের পাকিস্তানে অবস্থানের বিষয়ে ফক্স নিউজকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা সবাই জানতাম বিন লাদেন পাকিস্তানে আছে। কিন্তু পাকিস্তান তা অস্বীকার করত। অবশেষে ২০১১ সালে অটোয়াবাদে সেনা ঘাঁটির পাশেই লাদেনকে পাওয়া গেল। অথচ আমরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে প্রতি বছর প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিতাম।