শীর্ষ ১০০ অস্ত্র কোম্পানির ৪২টি যুক্তরাষ্ট্রের
অনলাইন ডেস্ক | ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:৩৯
শীর্ষ অস্ত্র বিক্রেতা ১০টি কোম্পানির মধ্যে পাঁচটিই যুক্তরাষ্ট্রের। ছবি: যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী
বৈশ্বিক অস্ত্র বিক্রিতে ২০১৭ সালে শীর্ষ ১০০ কোম্পানির ৪২টি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। শীর্ষ এসব কোম্পানির ৫৭ ভাগ অস্ত্রই বিক্রি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো।
সুইডেন ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিপ্রি) এর ২০১৭ সালের বৈশ্বিক অস্ত্র বিক্রির প্রতিবেদনে এমন চিত্র ওঠে এসেছে বলে জানায় চায়না পিপলস ডেইলি।
ওই বছর যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর অস্ত্র বিক্রি ২ শতাংশ বেড়ে ২২৬ দশমিক ৬ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে যা শীর্ষ ১০০ কোম্পানির অস্ত্র বিক্রির ৫৭ ভাগ। একই সময় বৈশ্বিক অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩৯৮.২ বিলিয়ন ডলার।
সিপ্রি’র পরিচালক অঁদ ফ্লোরান্ত বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অস্ত্রের অব্যাহত চাহিদার ফলে দেশটির কোম্পানিগুলো সরাসরি লাভবান হয়েছে।”
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শীর্ষ অস্ত্র বিক্রেতা ১০টি কোম্পানির মধ্যে পাঁচটিই যুক্তরাষ্ট্রের। মোট ৪৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করে শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিন।
যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলে অস্ত্র বিক্রিতে দ্বিতীয় স্থানে ওঠে এসেছে রাশিয়া। ২০০২ সাল থেকে এই অবস্থান ধরে রেখেছিল যুক্তরাজ্য। শীর্ষ ১০০ কোম্পানির মধ্যে রাশিয়ার ১০টি কোম্পানি জায়গা করে নিয়েছে। ২০১৭ সালে রুশ কোম্পানিগুলোর অস্ত্র বিক্রি ৮ দশমিক ৫ ভাগ বেড়ে ৩৭ দশমিক ৭ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। এটা বৈশ্বিক মোট অস্ত্র বিক্রির ৯ দশমিক ৫ ভাগ।
অস্ত্র ও সামরিক ব্যয় কর্মসূচি বিষয়ক সিপ্রি’র সিনিয়র গবেষক সিম্যান ওয়েজেমাঁ বলেন, “২০১১ সাল থেকে রাশিয়ার কোম্পানিগুলো অস্ত্র বিক্রিতে লক্ষণীয় প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। অস্ত্র উৎপাদন এবং আধুনিকায়নে দেশটির ব্যয় বৃদ্ধির ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।”
তালিকায় তুরস্ক, ভারত ও ব্রাজিলের মতো দেশগুলোকে অস্ত্র উৎপাদনে উদীয়মান হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া নির্ভরযোগ্য তথ্য না থাকায় চীনকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:৩৯

বৈশ্বিক অস্ত্র বিক্রিতে ২০১৭ সালে শীর্ষ ১০০ কোম্পানির ৪২টি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। শীর্ষ এসব কোম্পানির ৫৭ ভাগ অস্ত্রই বিক্রি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো।
সুইডেন ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিপ্রি) এর ২০১৭ সালের বৈশ্বিক অস্ত্র বিক্রির প্রতিবেদনে এমন চিত্র ওঠে এসেছে বলে জানায় চায়না পিপলস ডেইলি।
ওই বছর যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর অস্ত্র বিক্রি ২ শতাংশ বেড়ে ২২৬ দশমিক ৬ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে যা শীর্ষ ১০০ কোম্পানির অস্ত্র বিক্রির ৫৭ ভাগ। একই সময় বৈশ্বিক অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩৯৮.২ বিলিয়ন ডলার।
সিপ্রি’র পরিচালক অঁদ ফ্লোরান্ত বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অস্ত্রের অব্যাহত চাহিদার ফলে দেশটির কোম্পানিগুলো সরাসরি লাভবান হয়েছে।”
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শীর্ষ অস্ত্র বিক্রেতা ১০টি কোম্পানির মধ্যে পাঁচটিই যুক্তরাষ্ট্রের। মোট ৪৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করে শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিন।
যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলে অস্ত্র বিক্রিতে দ্বিতীয় স্থানে ওঠে এসেছে রাশিয়া। ২০০২ সাল থেকে এই অবস্থান ধরে রেখেছিল যুক্তরাজ্য। শীর্ষ ১০০ কোম্পানির মধ্যে রাশিয়ার ১০টি কোম্পানি জায়গা করে নিয়েছে। ২০১৭ সালে রুশ কোম্পানিগুলোর অস্ত্র বিক্রি ৮ দশমিক ৫ ভাগ বেড়ে ৩৭ দশমিক ৭ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। এটা বৈশ্বিক মোট অস্ত্র বিক্রির ৯ দশমিক ৫ ভাগ।
অস্ত্র ও সামরিক ব্যয় কর্মসূচি বিষয়ক সিপ্রি’র সিনিয়র গবেষক সিম্যান ওয়েজেমাঁ বলেন, “২০১১ সাল থেকে রাশিয়ার কোম্পানিগুলো অস্ত্র বিক্রিতে লক্ষণীয় প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। অস্ত্র উৎপাদন এবং আধুনিকায়নে দেশটির ব্যয় বৃদ্ধির ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।”
তালিকায় তুরস্ক, ভারত ও ব্রাজিলের মতো দেশগুলোকে অস্ত্র উৎপাদনে উদীয়মান হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া নির্ভরযোগ্য তথ্য না থাকায় চীনকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।