‘কয়েকদিনের ভেতর’ সিরিয়ায় নতুন হামলা চালাবে তুরস্ক
অনলাইন ডেস্ক | ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:০৯
সিরিয়ার উত্তরাংশে নতুন করে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জানিয়েছেন, ‘কয়েক দিনের ভেতর’ তারা ইউফ্রেটিস নদী অঞ্চলে সামরিক হামলা চালাবেন।
‘ইউফ্রেটিস থেকে সন্ত্রাসীদের নিধন করার এখনই সময়,’ মন্তব্য করে তুর্কি প্রতিরক্ষা শিল্প সামিটে এরদোয়ান বলেন, ‘কয়েকদিনের ভেতর আমরা অপারেশন শুরু করবো। এই অঞ্চলকে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।’
জাতিগত দ্বন্দ্ব আর আন্তর্জাতিক কূটচালে সাত বছর ধরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে সিরিয়ায়। ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেনের পথ ধরে দেশটিতে রক্ত ঝরছে। গত ৪০ বছর ধরে সেখানে নিজেদের শাসন পাকা করে ফেলেছেন বাসার আল-আসাদের বাথ পার্টি। হঠাৎ ছোট ঘটনা থেকে দেশজুড়ে বিরোধ ছড়িয়ে পড়ে। ২০১১ সালের মার্চের মাঝামাঝি সময় সরকারবিরোধী গ্রাফিতির কারণে চারজনকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে সরকারি বাহিনী। দেশটির ডেরা শহরের এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে সরকারি বাহিনী ব্যাপকভাবে গুলি ছোড়ে। কয়েকজন বিক্ষোভকারী মারা যান। সেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পুরো দেশে। শুরু হয় গৃহযুদ্ধ।
বাশার আল-আসাদ ট্যাংক, আর্টিলারি এবং হেলিকপ্টার গানশিপ সহকারে দেশব্যাপী অপারেশন চালায়। মাত্র তিন মাসে ২০১১ সালের জুলাই নাগাদ প্রায় ১৬ হাজার বিক্ষোভকারী নিহত হন। সিরিয়ার যুদ্ধে তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে আইএসের ওপর হামলা করছে, আবার বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত কুর্দিদের ওপরও হামলা করছে রাশিয়ার সহায়তায়।
নতুন হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের যোদ্ধারা কোনো টার্গেট নয় বলে জানিয়েছেন এরদোয়ান।
২০১৬ সাল থেকে তুর্কি সেনাবাহিনী সিরিয়ায় দুইবার হামলা করেছে। তাদের সর্বশেষ হামলা ছিল মার্চে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:০৯

সিরিয়ার উত্তরাংশে নতুন করে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জানিয়েছেন, ‘কয়েক দিনের ভেতর’ তারা ইউফ্রেটিস নদী অঞ্চলে সামরিক হামলা চালাবেন।
‘ইউফ্রেটিস থেকে সন্ত্রাসীদের নিধন করার এখনই সময়,’ মন্তব্য করে তুর্কি প্রতিরক্ষা শিল্প সামিটে এরদোয়ান বলেন, ‘কয়েকদিনের ভেতর আমরা অপারেশন শুরু করবো। এই অঞ্চলকে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।’
জাতিগত দ্বন্দ্ব আর আন্তর্জাতিক কূটচালে সাত বছর ধরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে সিরিয়ায়। ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেনের পথ ধরে দেশটিতে রক্ত ঝরছে। গত ৪০ বছর ধরে সেখানে নিজেদের শাসন পাকা করে ফেলেছেন বাসার আল-আসাদের বাথ পার্টি। হঠাৎ ছোট ঘটনা থেকে দেশজুড়ে বিরোধ ছড়িয়ে পড়ে। ২০১১ সালের মার্চের মাঝামাঝি সময় সরকারবিরোধী গ্রাফিতির কারণে চারজনকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে সরকারি বাহিনী। দেশটির ডেরা শহরের এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে সরকারি বাহিনী ব্যাপকভাবে গুলি ছোড়ে। কয়েকজন বিক্ষোভকারী মারা যান। সেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পুরো দেশে। শুরু হয় গৃহযুদ্ধ।
বাশার আল-আসাদ ট্যাংক, আর্টিলারি এবং হেলিকপ্টার গানশিপ সহকারে দেশব্যাপী অপারেশন চালায়। মাত্র তিন মাসে ২০১১ সালের জুলাই নাগাদ প্রায় ১৬ হাজার বিক্ষোভকারী নিহত হন। সিরিয়ার যুদ্ধে তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে আইএসের ওপর হামলা করছে, আবার বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত কুর্দিদের ওপরও হামলা করছে রাশিয়ার সহায়তায়।
নতুন হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের যোদ্ধারা কোনো টার্গেট নয় বলে জানিয়েছেন এরদোয়ান।
২০১৬ সাল থেকে তুর্কি সেনাবাহিনী সিরিয়ায় দুইবার হামলা করেছে। তাদের সর্বশেষ হামলা ছিল মার্চে।