আরেক কানাডীয় নাগরিককে আটক করল চীন
অনলাইন ডেস্ক | ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৬:৪৯
জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ দেখিয়ে আরেক কানাডীয় নাগরিককে আটক করেছে চীন। সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যকার সৃষ্ট উত্তেজনা পরিস্থিতিতে এ নিয়ে দুই কানাডীয় নাগরিককে আটক করলো বেইজিং।
বিবিসি জানায়, বেইজিংয়ে সাবেক কূটনীতিক মাইকেল কোভরিগ গ্রেফতারের পরপরই ব্যবসায়ী মাইকেল এসপাভোর নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পায় অটোয়া।
বুধবার কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড নিশ্চিত করেন যে, এসপাভোরকেও জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি করেছে চীনের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা।
দশ দিন আগ যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা (সিএফও) ওয়ানঝুকে গ্রেফতার করে কানাডা। এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার ভ্যানকুভারের এক আদালত ওয়ানঝুকে কড়া শর্তে জামিন দিলেও তাকে দ্রুত মুক্তি না দিলে কানাডাকে মারাত্মক পরিণতির হুমকি দেয় বেইজিং। এদিনই বেইজিংয়ে সাবেক কূটনীতিক মাইকেল কোভরিগকে আটকের ঘটনা নিশ্চিত করে কানাডা।
আল জাজিরা জানায়, কানাডীয় নাগরিক মাইকেল এসপাভোরকে ড্যানডং শহরে জিজ্ঞাসাবাদ করছে চীনের নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমবার আটক করা হয় এ ব্যবসায়ীকে।
জানা যায়, এসপাভোর ড্যানডং শহরে চীনা-যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক পেরেকু কালচারাল এক্সচেঞ্জ নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে থাকেন। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি মূলত উত্তর কোরিয়াতে ব্যবসায়িক, সাংস্কৃতিক যোগাযোগ সহ পর্যটন ভ্রমণের আয়োজন করে থাকেন।
ব্যবসায়িক কাজে নিয়মিত উত্তর কোরিয়ায় যাতায়াত করেন এসপাভোর। কোরিয়া ইস্যুতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নিয়মিত মতামতও দিয়ে থাকেন তিনি।
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা। কিমের সঙ্গে একাধিক ছবিতে দেখা গেছে এসপাভোরকে।
রবিবার তার সর্বশেষ টুইটার বার্তায় তিনি সিউল ভ্রমণের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেখানে তিনি পৌঁছাননি।
এর আগে আটক হওয়া কোভরিগ চীনে কানাডার সাবেক কূটনীতিক ছিলেন। বর্তমানে তিনি ব্রাসেলস ভিত্তিক একটি বেসরকারি সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) উত্তর-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা।
ব্রাসেলসভিত্তিক থিংক ট্যাংক গ্রুপ আইসিজি আলজাজিরাকে জানায়, নিয়মিত কাজে বেইজিং ভ্রমণে গেলে কোভরিগকে আটক করে চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা।
প্রসঙ্গত, ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালানোর অভিযোগ আনা হয় হুয়াওয়ের শীর্ষ নির্বাহী ওয়ানঝুর বিরুদ্ধে। তিনি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা বোর্ডের ডেপুটি চেয়ারম্যান সেইসঙ্গে হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও মালিক রেন ঝেংফেইয়ের মেয়ে। হংকং থেকে মেক্সিকো যাওয়ার পথে ভ্যানকুভার থেকে গ্রেফতার হন ওয়ানঝু।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৬:৪৯
জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ দেখিয়ে আরেক কানাডীয় নাগরিককে আটক করেছে চীন। সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যকার সৃষ্ট উত্তেজনা পরিস্থিতিতে এ নিয়ে দুই কানাডীয় নাগরিককে আটক করলো বেইজিং।
বিবিসি জানায়, বেইজিংয়ে সাবেক কূটনীতিক মাইকেল কোভরিগ গ্রেফতারের পরপরই ব্যবসায়ী মাইকেল এসপাভোর নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পায় অটোয়া।
বুধবার কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড নিশ্চিত করেন যে, এসপাভোরকেও জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি করেছে চীনের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা।
দশ দিন আগ যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা (সিএফও) ওয়ানঝুকে গ্রেফতার করে কানাডা। এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার ভ্যানকুভারের এক আদালত ওয়ানঝুকে কড়া শর্তে জামিন দিলেও তাকে দ্রুত মুক্তি না দিলে কানাডাকে মারাত্মক পরিণতির হুমকি দেয় বেইজিং। এদিনই বেইজিংয়ে সাবেক কূটনীতিক মাইকেল কোভরিগকে আটকের ঘটনা নিশ্চিত করে কানাডা।
আল জাজিরা জানায়, কানাডীয় নাগরিক মাইকেল এসপাভোরকে ড্যানডং শহরে জিজ্ঞাসাবাদ করছে চীনের নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমবার আটক করা হয় এ ব্যবসায়ীকে।
জানা যায়, এসপাভোর ড্যানডং শহরে চীনা-যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক পেরেকু কালচারাল এক্সচেঞ্জ নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে থাকেন। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি মূলত উত্তর কোরিয়াতে ব্যবসায়িক, সাংস্কৃতিক যোগাযোগ সহ পর্যটন ভ্রমণের আয়োজন করে থাকেন।
ব্যবসায়িক কাজে নিয়মিত উত্তর কোরিয়ায় যাতায়াত করেন এসপাভোর। কোরিয়া ইস্যুতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নিয়মিত মতামতও দিয়ে থাকেন তিনি।
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা। কিমের সঙ্গে একাধিক ছবিতে দেখা গেছে এসপাভোরকে।
রবিবার তার সর্বশেষ টুইটার বার্তায় তিনি সিউল ভ্রমণের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেখানে তিনি পৌঁছাননি।
এর আগে আটক হওয়া কোভরিগ চীনে কানাডার সাবেক কূটনীতিক ছিলেন। বর্তমানে তিনি ব্রাসেলস ভিত্তিক একটি বেসরকারি সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) উত্তর-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা।
ব্রাসেলসভিত্তিক থিংক ট্যাংক গ্রুপ আইসিজি আলজাজিরাকে জানায়, নিয়মিত কাজে বেইজিং ভ্রমণে গেলে কোভরিগকে আটক করে চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা।
প্রসঙ্গত, ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালানোর অভিযোগ আনা হয় হুয়াওয়ের শীর্ষ নির্বাহী ওয়ানঝুর বিরুদ্ধে। তিনি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা বোর্ডের ডেপুটি চেয়ারম্যান সেইসঙ্গে হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও মালিক রেন ঝেংফেইয়ের মেয়ে। হংকং থেকে মেক্সিকো যাওয়ার পথে ভ্যানকুভার থেকে গ্রেফতার হন ওয়ানঝু।