খাসোগি হত্যায় যুবরাজ দায়ী
ইয়েমেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধে রেজুলেশন পাস
অনলাইন ডেস্ক | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১০:৩০
ইয়েমেনে সৌদি আরব ও আমিরাতের নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধে সিনেটে একটি রেজুলেশন গৃহীত হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক ভোটাভুটিতে এই রেজুলেশনের সঙ্গে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করে নিন্দা প্রস্তাবও গৃহীত হয়।
আলজাজিরা জানায়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির সাত সিনেটরের ভোট তার বিপক্ষে যায়। ডেমোক্রেটদের সঙ্গে তাদের সমর্থন যুক্ত হয়ে ৫৬-৪১ ভোটে রেজুলেশনটি পাস হয়।
১৯৭৩ সালের ওয়ার পাওয়ার্স অ্যাক্ট অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো কংগ্রেসের কোনো একটি কক্ষ কোনো সংঘাত থেকে দেশটির সামরিক বাহিনীকে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিলো।
২০১৪ সালে ইয়েমেনে সরকার ও হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ইরানের সমর্থনপুষ্ট হুথিদের বিরুদ্ধে দেশটির নির্বাচিত সরকারকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসে সৌদি আরব ও আরব আমিরাত নেতৃত্বাধীন জোট।
২০১৫ সালে এই জোট ইয়েমেনে হামলা চালায়। এতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। যুদ্ধে গোয়েন্দা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। গত দুই বছর ধরে এই যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে সিনেটরদের সমালোচনা তীব্র হতে শুরু করে।
রেজুলেশনটির কো-স্পন্সর সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেন, “আজকে এই ভোটাভুটির মধ্যে দিয়ে আমরা সৌদি আরবের স্বৈরতান্ত্রিক সরকারকে বলে দিলাম- তাদের উচ্চাভিলাষী সামরিক অভিযানের সঙ্গে আমরা নেই।”
তিনি বলেন, এই রেজুলেশনের মাধ্যমে এটাই সংকেত দেয়া হচ্ছে- বিশ্বের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয়ের দায়ভারের অংশ হবে না যুক্তরাষ্ট্র।
এই রেজুলেশনটি নেয়ার আগে ২৯ নভেম্বর এই ইস্যুতে আরেকটি ভোটাভুটিতে অংশ নিয়েছিলেন সিনেটরা। সেদিন সিনেটররা ৬৩-৩৭ ভোটে ইয়েমেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার পক্ষে সিদ্ধান্তের দেন।
ভোটাভুটি শেষে সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেছিলেন, ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা বন্ধে এখনই উপযুক্ত সময়।
তিনি আরো বলেন, “এই যুদ্ধে আমরা ইতোমধ্যে অনাহারী ৮৫ হাজার শিশুকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছি। জাতিসংঘের মতে, লাখ লাখ মানুষ অনাহারে ভুগছে। সুপেয় পানির অভাবে কলেরা ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে। নতুন করে ১০ হাজার কলেরা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তিন বছর আগে ইয়েমেনে স্বৈরাচারী ও অসৎ নেতৃত্বে সৌদি জোটের অভিযানের ফলেই এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।”
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১০:৩০
ইয়েমেনে সৌদি আরব ও আমিরাতের নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধে সিনেটে একটি রেজুলেশন গৃহীত হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক ভোটাভুটিতে এই রেজুলেশনের সঙ্গে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করে নিন্দা প্রস্তাবও গৃহীত হয়।
আলজাজিরা জানায়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির সাত সিনেটরের ভোট তার বিপক্ষে যায়। ডেমোক্রেটদের সঙ্গে তাদের সমর্থন যুক্ত হয়ে ৫৬-৪১ ভোটে রেজুলেশনটি পাস হয়।
১৯৭৩ সালের ওয়ার পাওয়ার্স অ্যাক্ট অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো কংগ্রেসের কোনো একটি কক্ষ কোনো সংঘাত থেকে দেশটির সামরিক বাহিনীকে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিলো।
২০১৪ সালে ইয়েমেনে সরকার ও হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ইরানের সমর্থনপুষ্ট হুথিদের বিরুদ্ধে দেশটির নির্বাচিত সরকারকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসে সৌদি আরব ও আরব আমিরাত নেতৃত্বাধীন জোট।
২০১৫ সালে এই জোট ইয়েমেনে হামলা চালায়। এতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। যুদ্ধে গোয়েন্দা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। গত দুই বছর ধরে এই যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে সিনেটরদের সমালোচনা তীব্র হতে শুরু করে।
রেজুলেশনটির কো-স্পন্সর সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেন, “আজকে এই ভোটাভুটির মধ্যে দিয়ে আমরা সৌদি আরবের স্বৈরতান্ত্রিক সরকারকে বলে দিলাম- তাদের উচ্চাভিলাষী সামরিক অভিযানের সঙ্গে আমরা নেই।”
তিনি বলেন, এই রেজুলেশনের মাধ্যমে এটাই সংকেত দেয়া হচ্ছে- বিশ্বের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয়ের দায়ভারের অংশ হবে না যুক্তরাষ্ট্র।
এই রেজুলেশনটি নেয়ার আগে ২৯ নভেম্বর এই ইস্যুতে আরেকটি ভোটাভুটিতে অংশ নিয়েছিলেন সিনেটরা। সেদিন সিনেটররা ৬৩-৩৭ ভোটে ইয়েমেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার পক্ষে সিদ্ধান্তের দেন।
ভোটাভুটি শেষে সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেছিলেন, ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা বন্ধে এখনই উপযুক্ত সময়।
তিনি আরো বলেন, “এই যুদ্ধে আমরা ইতোমধ্যে অনাহারী ৮৫ হাজার শিশুকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছি। জাতিসংঘের মতে, লাখ লাখ মানুষ অনাহারে ভুগছে। সুপেয় পানির অভাবে কলেরা ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে। নতুন করে ১০ হাজার কলেরা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তিন বছর আগে ইয়েমেনে স্বৈরাচারী ও অসৎ নেতৃত্বে সৌদি জোটের অভিযানের ফলেই এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।”