জামাতাকে চিফ অব স্টাফ করছেন ট্রাম্প
অনলাইন ডেস্ক | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১১:১৪
ট্রাম্পের জামাতা এবং উপদেষ্টা জারেদ কুশনার। ছবি: ইউএস স্টেট ডেপ্ট অব ডিফেন্স
হোয়াইট হাউজের চিফ অব স্টাফ পদের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা এবং উপদেষ্টা জারেদ কুশনার।
সিবিএস চ্যানেল, হাফিংটন পোস্টসহ যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ হতে নিজেও আগ্রহী ইভাঙ্কা ট্রাম্পের স্বামী এবং ট্রাম্পের প্রভাবশালী উপদেষ্টা কুশনার। এই পদের জন্য ইতোমধ্যে তিনি বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স এ প্রসঙ্গে বলেন, “চিফ অব স্টাফ হিসেবে তাকে ভাবা হচ্ছে কিনা এ ব্যাপারে আমি অবগত নই। তবে তার ব্যাপারে আমরা সবাই জানি। যে কোনো পদের জন্য প্রেসিডেন্টের পছন্দ হিসেবে তিনি অসাধারণ।”
লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যের চুক্তি সংরক্ষণে কানাডা এবং মেক্সিকোর সঙ্গে আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন কুশনার।
মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবিত শান্তি প্রক্রিয়ার খসড়ার সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন ধার্মিক ইহুদি ট্রাম্প জামাতা। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৯ সালের শুরু থেকে এই প্রক্রিয়া কার্যকর হতে শুরু করবে। একইসঙ্গে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে মূল ভূমিকার রাখেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এ সপ্তাহের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, নতুন বছরের আগেই হোয়াইট হাউজের বর্তমান চিফ অব স্টাফ জন কেলি দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে তার জায়গায় কে আসছেন সেটি দু-একদিনের মধ্যেই ঘোষণা আসছে বললেও এখনো কিছু জানাননি তিনি।
হোয়াইট হাউজ সূত্রে বার্তা সংস্থা এপি জানায়, গুরুত্বপূর্ণ এ দায়িত্বের জন্য ট্রাম্পের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছে নিক আয়ার্সের নামও। ৩৬ বছর বয়সী নিক বর্তমানে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নর্থ ক্যারোলিনার রিপাবলিকান নেতা ও প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য মার্ক মিডোওস শুরুতে এ পদের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলেও পরবর্তীতে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১১:১৪

হোয়াইট হাউজের চিফ অব স্টাফ পদের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা এবং উপদেষ্টা জারেদ কুশনার।
সিবিএস চ্যানেল, হাফিংটন পোস্টসহ যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ হতে নিজেও আগ্রহী ইভাঙ্কা ট্রাম্পের স্বামী এবং ট্রাম্পের প্রভাবশালী উপদেষ্টা কুশনার। এই পদের জন্য ইতোমধ্যে তিনি বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স এ প্রসঙ্গে বলেন, “চিফ অব স্টাফ হিসেবে তাকে ভাবা হচ্ছে কিনা এ ব্যাপারে আমি অবগত নই। তবে তার ব্যাপারে আমরা সবাই জানি। যে কোনো পদের জন্য প্রেসিডেন্টের পছন্দ হিসেবে তিনি অসাধারণ।”
লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যের চুক্তি সংরক্ষণে কানাডা এবং মেক্সিকোর সঙ্গে আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন কুশনার।
মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবিত শান্তি প্রক্রিয়ার খসড়ার সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন ধার্মিক ইহুদি ট্রাম্প জামাতা। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৯ সালের শুরু থেকে এই প্রক্রিয়া কার্যকর হতে শুরু করবে। একইসঙ্গে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে মূল ভূমিকার রাখেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এ সপ্তাহের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, নতুন বছরের আগেই হোয়াইট হাউজের বর্তমান চিফ অব স্টাফ জন কেলি দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে তার জায়গায় কে আসছেন সেটি দু-একদিনের মধ্যেই ঘোষণা আসছে বললেও এখনো কিছু জানাননি তিনি।
হোয়াইট হাউজ সূত্রে বার্তা সংস্থা এপি জানায়, গুরুত্বপূর্ণ এ দায়িত্বের জন্য ট্রাম্পের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছে নিক আয়ার্সের নামও। ৩৬ বছর বয়সী নিক বর্তমানে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নর্থ ক্যারোলিনার রিপাবলিকান নেতা ও প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য মার্ক মিডোওস শুরুতে এ পদের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলেও পরবর্তীতে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।