ট্রাম্পের নতুন চিফ অব স্টাফ মুলভানি
অনলাইন ডেস্ক | ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৯:০৮
চিফ অব স্টাফের দায়িত্বটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি হোয়াইট হাউজের প্রধান কর্মসচিব। ছবি: টুইটার
কে হচ্ছেন হোয়াইট হাউজের চিফ অব স্টাফ- গত কয়েকদিন ধরে এই প্রশ্নের সমাধান করতে হিমশিম খেতে হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এটি এমন একটি পদ যার অন্যতম প্রধান দায়িত্ব ট্রাম্পকে নিয়মের ভেতর রাখা। শেষ পর্যন্ত জানা গেল, হোয়াইট হাউজের বাজেট বিষয়ক পরিচালক মিক মুলভানি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে এই পদে বসেছেন।
সপ্তাহখানেক আগে জন কেলি চিফ অব স্টাফের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। ট্রাম্প এই পদে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের বর্তমান চিফ অব স্টাফ নিক আয়ার্সকে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ‘কঠিন’ এই দায়িত্ব নিতে রাজি হননি।
রাজি হননি আরো কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ট্রাম্পের জামাতা এবং উপদেষ্টা জারেদ কুশনারের নামও শোনা গিয়েছিল এই পদের জন্য।
‘‘মিক মুলভানিকে আমি সানন্দে হোয়াইট হাউজের ভারপ্রাপ্ত চিফ অব স্টাফ হিসেবে ঘোষণা করছি,’’ শুক্রবার টুইট করে ট্রাম্প বলেন, ‘‘তার নতুন নেতৃত্বে কাজ করতে আমি মুখিয়ে আছি।’’
চিফ অব স্টাফের দায়িত্বটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি হোয়াইট হাউজের প্রধান কর্মসচিব। প্রেসিডেন্টের যেকোনো প্রয়োজনে তাকে সাড়া দিতে হয়। পুরো মন্ত্রিপরিষদের কার্যাবলি খেয়াল রাখতে হয়। কংগ্রেসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। প্রেসিডেন্ট কী আইন চান, কী চান না সেসব কথা তাকেই কংগ্রেসের নেতাদের জানাতে হয়। এসবের বাইরে তার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব প্রেসিডেন্টকে নিয়ন্ত্রণে রাখা।
শেষের কাজটির জন্যই কেউ এই দায়িত্ব নিতে চান না। সবারই জানা ট্রাম্প কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের মতো চলতে পছন্দ করেন।
৫১ বছর বয়সী মুলভানি এই পদে কতদিন থাকেন, সেটি এখন দেখার বিষয়। তিনি ক্যারোলিনা স্টেটের সাবেক কংগ্রেসম্যান।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৯:০৮

কে হচ্ছেন হোয়াইট হাউজের চিফ অব স্টাফ- গত কয়েকদিন ধরে এই প্রশ্নের সমাধান করতে হিমশিম খেতে হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এটি এমন একটি পদ যার অন্যতম প্রধান দায়িত্ব ট্রাম্পকে নিয়মের ভেতর রাখা। শেষ পর্যন্ত জানা গেল, হোয়াইট হাউজের বাজেট বিষয়ক পরিচালক মিক মুলভানি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে এই পদে বসেছেন।
সপ্তাহখানেক আগে জন কেলি চিফ অব স্টাফের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। ট্রাম্প এই পদে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের বর্তমান চিফ অব স্টাফ নিক আয়ার্সকে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ‘কঠিন’ এই দায়িত্ব নিতে রাজি হননি।
রাজি হননি আরো কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ট্রাম্পের জামাতা এবং উপদেষ্টা জারেদ কুশনারের নামও শোনা গিয়েছিল এই পদের জন্য।
‘‘মিক মুলভানিকে আমি সানন্দে হোয়াইট হাউজের ভারপ্রাপ্ত চিফ অব স্টাফ হিসেবে ঘোষণা করছি,’’ শুক্রবার টুইট করে ট্রাম্প বলেন, ‘‘তার নতুন নেতৃত্বে কাজ করতে আমি মুখিয়ে আছি।’’
চিফ অব স্টাফের দায়িত্বটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি হোয়াইট হাউজের প্রধান কর্মসচিব। প্রেসিডেন্টের যেকোনো প্রয়োজনে তাকে সাড়া দিতে হয়। পুরো মন্ত্রিপরিষদের কার্যাবলি খেয়াল রাখতে হয়। কংগ্রেসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। প্রেসিডেন্ট কী আইন চান, কী চান না সেসব কথা তাকেই কংগ্রেসের নেতাদের জানাতে হয়। এসবের বাইরে তার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব প্রেসিডেন্টকে নিয়ন্ত্রণে রাখা।
শেষের কাজটির জন্যই কেউ এই দায়িত্ব নিতে চান না। সবারই জানা ট্রাম্প কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের মতো চলতে পছন্দ করেন।
৫১ বছর বয়সী মুলভানি এই পদে কতদিন থাকেন, সেটি এখন দেখার বিষয়। তিনি ক্যারোলিনা স্টেটের সাবেক কংগ্রেসম্যান।