পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতি অস্ট্রেলিয়ার
অনলাইন ডেস্ক | ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১০:৫১
যুক্তরাষ্ট্রের বিগত দশকগুলোর বিদেশ নীতির বিপরীতে গিয়ে গত বছর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: গ্রেট রিটার্ন মার্চ
পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
তবে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তেলআবিব থেকে দূতাবাস স্থানান্তর করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিনিদের একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশাকেও স্বীকৃতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।”
মুসলিমদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদের শহর জেরুজালেমের মালিকানা ফিলিস্তিন এবং দখলদার ইসরায়েলিদের মধ্যে বিরোধের অন্যতম একটি বিষয়।
বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিগত দশকগুলোর বিদেশ নীতির বিপরীতে গিয়ে গত বছর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। গত মে মাসে তেলআবিব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেয়া হয়।
শনিবার পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতি দিয়ে স্কট মরিসন বলেন, “যখন বাস্তব...এবং চূড়ান্ত সমাধান আসবে, তখন আমাদের দূতাবাস পশ্চিম জেরুজালেমে স্থানান্তরের বিষয়টি বিবেচনা করছি।”
গত অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী যখন নীতি পরিবর্তনের ঘোষণা দেন, তখন ইসরায়েল এটাকে স্বাগত জানালেও সমালোচনা করে ফিলিস্তিনিরা।
স্কট মরিসনের পূর্বসূরি ম্যালকম টার্নবুল যুক্তরাষ্ট্রের অনুকরণে অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রকে অনুকরণ করে গুয়াতেমালা ও প্যারাগুয়ে তাদের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করে। অবশ্য প্যারাগুয়ে সরকার পরিবর্তন হলে তারা ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। এছাড়া সম্প্রতি ব্রাজিলে ডানপন্থীদের সরকার গঠিত হলে, তারাও জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের ঘোষণা দেয়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১০:৫১

পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
তবে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তেলআবিব থেকে দূতাবাস স্থানান্তর করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিনিদের একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশাকেও স্বীকৃতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।”
মুসলিমদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদের শহর জেরুজালেমের মালিকানা ফিলিস্তিন এবং দখলদার ইসরায়েলিদের মধ্যে বিরোধের অন্যতম একটি বিষয়।
বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিগত দশকগুলোর বিদেশ নীতির বিপরীতে গিয়ে গত বছর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। গত মে মাসে তেলআবিব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেয়া হয়।
শনিবার পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতি দিয়ে স্কট মরিসন বলেন, “যখন বাস্তব...এবং চূড়ান্ত সমাধান আসবে, তখন আমাদের দূতাবাস পশ্চিম জেরুজালেমে স্থানান্তরের বিষয়টি বিবেচনা করছি।”
গত অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী যখন নীতি পরিবর্তনের ঘোষণা দেন, তখন ইসরায়েল এটাকে স্বাগত জানালেও সমালোচনা করে ফিলিস্তিনিরা।
স্কট মরিসনের পূর্বসূরি ম্যালকম টার্নবুল যুক্তরাষ্ট্রের অনুকরণে অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রকে অনুকরণ করে গুয়াতেমালা ও প্যারাগুয়ে তাদের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করে। অবশ্য প্যারাগুয়ে সরকার পরিবর্তন হলে তারা ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। এছাড়া সম্প্রতি ব্রাজিলে ডানপন্থীদের সরকার গঠিত হলে, তারাও জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের ঘোষণা দেয়।