খাসোগি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত চান জাতিসংঘ মহাসচিব
অনলাইন ডেস্ক | ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৯:৫০
কাতারে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের ‘সুষ্ঠু’ তদন্ত আহবান করলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সেইসঙ্গে তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিও করেন।
আলজাজিরা জানায়, রোববার কাতারে দোহা ফোরাম কনফারেন্সে গুতেরেস বলেন, “এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা অপরিহার্য।”
তবে খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে তার কাছে কোন ধরনের তথ্য নেই বলে জানান তিনি। গুতারেস বলেন, “সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য ছাড়া এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।”
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট খাসোগি। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।
বিয়ে সংক্রান্ত কাজে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন। শুরুতে তার নিখোঁজের অভিযোগ অস্বীকার করে সৌদি।
তবে সংবাদমাধ্যমে তুর্কি গোয়েন্দাদের একের পর এক ‘তথ্য ফাঁসে’র মুখে ১৯ অক্টোবর খাসোগি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে বলে স্বীকার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। যদিও এর সঙ্গে সৌদি যুবরাজের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে তারা দাবি করে।
নভেম্বরের মাঝামাঝিতে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেই খাসোগিকে হত্যা করা হয়। এই কাজে সহযোগিতা ছিল তার ছোট ভাই যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালিদ বিন সালমানের।
ট্রাম্প প্রশাসন এই প্রতিবেদনের সমালোচনা করলেও সর্বশেষ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট সদস্যরা সিআইএ প্রধানের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর ঘোষণা দেন যে, খাসোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সৌদি যুবরাজের জড়িত থাকা নিয়ে তারা নিশ্চিত। এ ঘটনায় তার সম্পৃক্ত না থাকার ‘সম্ভাবনা শূন্য’।
এদিকে শনিবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু বলেন, “এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে সত্য উম্মোচন না করে তুরস্ক হাল ছাড়ছে না। আমরা এর শেষপর্যন্ত দেখতে চাই।”
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৯:৫০

সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের ‘সুষ্ঠু’ তদন্ত আহবান করলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সেইসঙ্গে তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিও করেন।
আলজাজিরা জানায়, রোববার কাতারে দোহা ফোরাম কনফারেন্সে গুতেরেস বলেন, “এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা অপরিহার্য।”
তবে খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে তার কাছে কোন ধরনের তথ্য নেই বলে জানান তিনি। গুতারেস বলেন, “সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য ছাড়া এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।”
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট খাসোগি। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।
বিয়ে সংক্রান্ত কাজে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন। শুরুতে তার নিখোঁজের অভিযোগ অস্বীকার করে সৌদি।
তবে সংবাদমাধ্যমে তুর্কি গোয়েন্দাদের একের পর এক ‘তথ্য ফাঁসে’র মুখে ১৯ অক্টোবর খাসোগি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে বলে স্বীকার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। যদিও এর সঙ্গে সৌদি যুবরাজের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে তারা দাবি করে।
নভেম্বরের মাঝামাঝিতে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেই খাসোগিকে হত্যা করা হয়। এই কাজে সহযোগিতা ছিল তার ছোট ভাই যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালিদ বিন সালমানের।
ট্রাম্প প্রশাসন এই প্রতিবেদনের সমালোচনা করলেও সর্বশেষ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট সদস্যরা সিআইএ প্রধানের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর ঘোষণা দেন যে, খাসোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সৌদি যুবরাজের জড়িত থাকা নিয়ে তারা নিশ্চিত। এ ঘটনায় তার সম্পৃক্ত না থাকার ‘সম্ভাবনা শূন্য’।
এদিকে শনিবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু বলেন, “এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে সত্য উম্মোচন না করে তুরস্ক হাল ছাড়ছে না। আমরা এর শেষপর্যন্ত দেখতে চাই।”