দিল্লির পর মাদ্রাজে অনলাইনে ওষুধ বিক্রি নিষিদ্ধ
অনলাইন ডেস্ক | ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৬:৩৪
অনলাইনে ওষুধ বিক্রির ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার কয়েকটি খসড়া আইন তৈরি করেছে। ছবি: ফেসবুক
ভারতের মাদ্রাজে অনলাইনে ওষুধ বিক্রি না করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। এর আগে দিল্লিতেও অনলাইনে ওষুধ বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
তামিল নাড়ু কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্টস অ্যাসোসিয়েশন আদালতে একটি রিট করার পর বিচারপতি পুষ্প সত্যনারায়ন সেটি আমলে নেন। সোমবার নিজের পর্যবেক্ষণে দিল্লির রায়কে সমর্থন করেন তিনি।
ফার্মেসি সংগঠনগুলোর দাবি, অনলাইনে প্রতিদিন লাখ-লাখ ওষুধ বিক্রি হয়। তাতে রোগী এবং চিকিৎসক উভয়েরই বিরাট ঝুঁকি থেকে যায়। অনেক প্রতিষ্ঠান আবার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করে।
২০১৫ সালে ‘ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া’ অনলাইনে ওষুধ বিক্রির উপরে বিধিনিষেধ আরোপ করতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু তখন সেটি কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।
রিটকারিদের অভিযোগ, ১৯৪০ সালের ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট এবং ১৯৪৮ সালের ফার্মেসি অ্যাক্টে অনলাইনে ওষুধ বিক্রি অনুমোদন করা হয়নি। ওষুধের সঙ্গে অন্য পণ্যের বিশেষ তফাৎ আছে। কোনও ওষুধের অপপ্রয়োগে রোগীর স্বাস্থ্যের গুরুতর ক্ষতি হতে পারে। কোনও কোনও ওষুধ আবার ব্যবহার করতে করতে মানুষ তাতে আসক্ত হয়ে পড়ে। ছোট ছেলেমেয়ে এবং অল্পশিক্ষিতরাও এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তারা অনলাইনে কিনতে গিয়ে ভুল ওষুধের শিকার হচ্ছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, অনলাইনে ওষুধ বিক্রির ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার কয়েকটি খসড়া আইন তৈরি করেছে। তাতে বলা হয়েছে ই-ফার্মেসি নিবন্ধিত না হলে ওষুধ বিক্রি, মজুত, প্রদর্শন বা অপরকে বিক্রির জন্য অনুরোধ করা যাবে না।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৬:৩৪

ভারতের মাদ্রাজে অনলাইনে ওষুধ বিক্রি না করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। এর আগে দিল্লিতেও অনলাইনে ওষুধ বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
তামিল নাড়ু কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্টস অ্যাসোসিয়েশন আদালতে একটি রিট করার পর বিচারপতি পুষ্প সত্যনারায়ন সেটি আমলে নেন। সোমবার নিজের পর্যবেক্ষণে দিল্লির রায়কে সমর্থন করেন তিনি।
ফার্মেসি সংগঠনগুলোর দাবি, অনলাইনে প্রতিদিন লাখ-লাখ ওষুধ বিক্রি হয়। তাতে রোগী এবং চিকিৎসক উভয়েরই বিরাট ঝুঁকি থেকে যায়। অনেক প্রতিষ্ঠান আবার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করে।
২০১৫ সালে ‘ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া’ অনলাইনে ওষুধ বিক্রির উপরে বিধিনিষেধ আরোপ করতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু তখন সেটি কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।
রিটকারিদের অভিযোগ, ১৯৪০ সালের ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট এবং ১৯৪৮ সালের ফার্মেসি অ্যাক্টে অনলাইনে ওষুধ বিক্রি অনুমোদন করা হয়নি। ওষুধের সঙ্গে অন্য পণ্যের বিশেষ তফাৎ আছে। কোনও ওষুধের অপপ্রয়োগে রোগীর স্বাস্থ্যের গুরুতর ক্ষতি হতে পারে। কোনও কোনও ওষুধ আবার ব্যবহার করতে করতে মানুষ তাতে আসক্ত হয়ে পড়ে। ছোট ছেলেমেয়ে এবং অল্পশিক্ষিতরাও এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তারা অনলাইনে কিনতে গিয়ে ভুল ওষুধের শিকার হচ্ছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, অনলাইনে ওষুধ বিক্রির ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার কয়েকটি খসড়া আইন তৈরি করেছে। তাতে বলা হয়েছে ই-ফার্মেসি নিবন্ধিত না হলে ওষুধ বিক্রি, মজুত, প্রদর্শন বা অপরকে বিক্রির জন্য অনুরোধ করা যাবে না।