সু চিকে আসিয়ানের চাপ দেওয়া উচিত: মাহাথির
অনলাইন ডেস্ক | ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৭:৫৭
রোহিঙ্গা ইস্যুতে অং সান সুচির ওপর আসিয়ান অঞ্চলের দেশগুলোর চাপ সৃষ্টি করা উচিত বলে মনে করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। দ্য নেশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন মালয়েশিয়াকে বদলে দেওয়া এই রাজনীতিবিদ।
মাহাথির জানান, রোহিঙ্গাদের রক্ষা করতে তার দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলতে পারে। তাতে কাজ না হলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশের আঞ্চলিক জোট আসিয়ানকে ভূমিকা রাখতে হবে।
“মিয়ানমার সরকারের কাছে আমরা আবেদন করতে পারি। কিন্তু তাতে যদি কাজ না হয়, যদি নির্যাতন চলতে থাকে তাহলে আসিয়ানকে এগিয়ে আসতে হবে।”
মিয়ানমার তাদের সংখ্যালঘু আদিবাসী রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি দেয় না। তারা এই সম্প্রদায়কে বাঙালি বা প্রতিবেশী বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসী বলে বর্ণনা করে থাকে। তাদের তাড়াতে গত কয়েক বছর ধরে নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে দেশটি। প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গাদের বিরাট একটা অংশ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বরাবর নীরবই থেকেছেন। কখনো রোহিঙ্গাদের প্রতি খুব বেশি সহানুভূতি দেখাননি তিনি। ২০১৫ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রচারাভিযানের সময় সু চি রাখাইনের সহিংসতার ইস্যুটি সরাসরি এড়িয়ে যান।
মাহাথির বলছেন, ‘‘যেসব সরকার তার নিজের নাগরিকের সঙ্গে ন্যায়সংগত আচরণ করে না, তাদের ওপর কীভাবে চাপ সৃষ্টি করতে হয় সেটি আসিয়ানকে শিখতে হবে।”
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৭:৫৭

রোহিঙ্গা ইস্যুতে অং সান সুচির ওপর আসিয়ান অঞ্চলের দেশগুলোর চাপ সৃষ্টি করা উচিত বলে মনে করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। দ্য নেশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন মালয়েশিয়াকে বদলে দেওয়া এই রাজনীতিবিদ।
মাহাথির জানান, রোহিঙ্গাদের রক্ষা করতে তার দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলতে পারে। তাতে কাজ না হলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশের আঞ্চলিক জোট আসিয়ানকে ভূমিকা রাখতে হবে।
“মিয়ানমার সরকারের কাছে আমরা আবেদন করতে পারি। কিন্তু তাতে যদি কাজ না হয়, যদি নির্যাতন চলতে থাকে তাহলে আসিয়ানকে এগিয়ে আসতে হবে।”
মিয়ানমার তাদের সংখ্যালঘু আদিবাসী রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি দেয় না। তারা এই সম্প্রদায়কে বাঙালি বা প্রতিবেশী বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসী বলে বর্ণনা করে থাকে। তাদের তাড়াতে গত কয়েক বছর ধরে নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে দেশটি। প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গাদের বিরাট একটা অংশ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বরাবর নীরবই থেকেছেন। কখনো রোহিঙ্গাদের প্রতি খুব বেশি সহানুভূতি দেখাননি তিনি। ২০১৫ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রচারাভিযানের সময় সু চি রাখাইনের সহিংসতার ইস্যুটি সরাসরি এড়িয়ে যান।
মাহাথির বলছেন, ‘‘যেসব সরকার তার নিজের নাগরিকের সঙ্গে ন্যায়সংগত আচরণ করে না, তাদের ওপর কীভাবে চাপ সৃষ্টি করতে হয় সেটি আসিয়ানকে শিখতে হবে।”