সিরিয়া থেকে সরেই যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
অনলাইন ডেস্ক | ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:২৮
সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে মার্কিন সেনাবাহিনীর দুই হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
অবশেষে সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এমন খবর দিয়েছে কেবল নিউজ নেটওয়ার্ক (সিএনএন)।
ওই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, সেনা সরানোর বিষয়টি ‘পুরোদমে’ এবং ‘দ্রুত’ এগিয়ে চলছে। ধারণা করা হচ্ছিল, সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে পুনরায় সংগঠিত হওয়ার সুযোগ না দিতে সিরিয়ায় সেনা রেখে দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
ঘোষণাটি এমন সময় এল, যখন তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রত্যাশা করে সিরিয়ার মানবিজে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে। একদিন আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান জানান, যেকোনো সময় তারা সিরিয়ায় হামলা চালাবেন।
ট্রাম্প বেশ কয়েক মাস ধরে সিরিয়া থেকে সরে আসার কথা বলছেন। বুধবার এক টুইটে তিনি আইএসকে নির্মূল করার দাবি করেন। ট্রাম্প লিখেছেন, ‘সিরিয়ায় আমরা আইএসকে হারিয়েছি। সেখানে থাকার এটিই আমাদের একমাত্র কারণ ছিল।’
সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে মার্কিন সেনাবাহিনীর দুই হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন রয়েছে। সেখান থেকে আইএসকে হটাতে তারা স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা দিচ্ছে। গত জানুয়ারি মাসে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন সিরিয়া নিয়ে নতুন মার্কিন কৌশল ঘোষণা করেন। এরপর সিরিয়া যুদ্ধ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন ট্রাম্প।
জাতিগত দ্বন্দ্ব আর আন্তর্জাতিক কূটচালে সাত বছর ধরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে সিরিয়ায়। ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেনের পথ ধরে দেশটিতে রক্ত ঝরছে।
গত ৪০ বছর ধরে সেখানে নিজেদের শাসন পাকা করে ফেলেছেন বাসার আল-আসাদের বাথ পার্টি। তবে আরব বসন্তের ঢেউ লাগে দেশটিতে। ২০১১ সালের মার্চে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পুরো দেশে। একপর্যায়ে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। অন্যদিকে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে আইএস।
শেয়ার করুন
অনলাইন ডেস্ক | ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:২৮

অবশেষে সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এমন খবর দিয়েছে কেবল নিউজ নেটওয়ার্ক (সিএনএন)।
ওই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, সেনা সরানোর বিষয়টি ‘পুরোদমে’ এবং ‘দ্রুত’ এগিয়ে চলছে। ধারণা করা হচ্ছিল, সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে পুনরায় সংগঠিত হওয়ার সুযোগ না দিতে সিরিয়ায় সেনা রেখে দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
ঘোষণাটি এমন সময় এল, যখন তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রত্যাশা করে সিরিয়ার মানবিজে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে। একদিন আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান জানান, যেকোনো সময় তারা সিরিয়ায় হামলা চালাবেন।
ট্রাম্প বেশ কয়েক মাস ধরে সিরিয়া থেকে সরে আসার কথা বলছেন। বুধবার এক টুইটে তিনি আইএসকে নির্মূল করার দাবি করেন। ট্রাম্প লিখেছেন, ‘সিরিয়ায় আমরা আইএসকে হারিয়েছি। সেখানে থাকার এটিই আমাদের একমাত্র কারণ ছিল।’
সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে মার্কিন সেনাবাহিনীর দুই হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন রয়েছে। সেখান থেকে আইএসকে হটাতে তারা স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা দিচ্ছে। গত জানুয়ারি মাসে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন সিরিয়া নিয়ে নতুন মার্কিন কৌশল ঘোষণা করেন। এরপর সিরিয়া যুদ্ধ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন ট্রাম্প।
জাতিগত দ্বন্দ্ব আর আন্তর্জাতিক কূটচালে সাত বছর ধরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে সিরিয়ায়। ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেনের পথ ধরে দেশটিতে রক্ত ঝরছে।
গত ৪০ বছর ধরে সেখানে নিজেদের শাসন পাকা করে ফেলেছেন বাসার আল-আসাদের বাথ পার্টি। তবে আরব বসন্তের ঢেউ লাগে দেশটিতে। ২০১১ সালের মার্চে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পুরো দেশে। একপর্যায়ে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। অন্যদিকে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে আইএস।