বিমানবন্দরে ড্রোন নিয়ে পুলিশের ‘ইঁদুর বিড়াল খেলা’
অনলাইন ডেস্ক | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৩:৪৮
ড্রোন হামলার আতঙ্কে দুই রাত ধরে এক লাখেরও বেশি যাত্রীর ভ্রমণ বাতিল করেছিল যুক্তরাজ্যের সাসেক্সের এক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। রানওয়েতে বারবার ড্রোন ঢুকে পড়ায় একাধিকবার বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর আগে কর্তৃপক্ষ জানায়, ড্রোন আতঙ্কে ১০ হাজারেরও বেশি যাত্রী বিমানবন্দরে আটকে পড়ে। তবে দুইরাত বন্ধ থাকার পর শুক্রবার সকালে সবধরনের ফ্লাইট পুনরায় চালু হয়েছে।
বুধবার রাতে লন্ডন গ্যাটউইক বিমানবন্দরের রানওয়েতে একাধিক ড্রোন উড়তে দেখা যায়। এতে রানওয়ে বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলে পরদিন পর্যন্ত সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়।
বিবিসি জানায়, বৃহস্পতিবার সকালেও ড্রোনের উপস্থিতি ধরা পড়ে রাডার যন্ত্রে। এখন পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০বারের বেশি ড্রোন উড়তে দেখা গেছে রানওয়ে ও সংলগ্ন এলাকায়। একাধিকবার রানওয়ে খুলে দেওয়া হলেও কিছু সময় পর আবার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবারও সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানায় গ্যাটউইক কর্তৃপক্ষ।
গ্যাটউইকের চিফ অপারেটিং অফিসার ক্রিস উডরুফ বলেন, “বুধবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত এক লাখ ২০ হাজার যাত্রী নিয়ে ৭৬০টি ফ্লাইট ওঠানামার কথা ছিল বিমানবন্দরে। যাত্রীদের প্রবেশ ও বহির্গমন স্থানের কাছেই রানওয়ে হওয়ার কারণে তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।”
এদিকে সাসেক্স পুলিশ জানায়, তারা এখনো ড্রোন অপারেটরদের ধরতে পারেননি।
পুলিশ কর্মকর্তা জাস্টিন বার্টেনশো বলেন, “প্রতিবারই যখন আমরা অপারেটরদের ধরে ফেলার উপক্রম হয়েছি, তখনই ড্রোন লুকিয়ে যায়। যখন রানওয়ে খুলে দেওয়া হয় আবার ড্রোন চলে আসে।”
এমন পরিস্থিতিকে ড্রোনের সঙ্গে পুলিশের অনেকটাই ইঁদুর বিড়াল খেলা হিসেবেই মন্তব্য করেছে বিবিসি। লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় গতকাল গুলি না করার সিদ্ধান্ত নিলেও পরবর্তীতে গুলি করেই ড্রোন নামানো হবে বলে জানায় সাসেক্স পুলিশ।
পুলিশের ডেপুটি চিফ সুপার টংগলি বলেন, “পুলিশ এখনো ড্রোনের মডেল নিয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে এ ড্রোন দিয়ে ক্ষতিকর কিছু করা সম্ভব।” এটির ডিভাইস সম্পর্কেও কিছু জানা যায়নি জানান তিনি। কেউ যদি ড্রোনের স্পষ্ট ছবি তুলতে পারে তা পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে।
এদিকে গ্যাটউইকে অবতরণ করতে না পেরে একাধিক ফ্লাইট সাময়িক বিরতি নেয় লন্ডনের হিথ্রো, লুটন, বার্মিংহাম, ম্যানচেস্টার, কার্ডিফ, গ্লাসগো, প্যারিস এবং আমস্টারডাম বিমানবন্দরে। এসব ফ্লাইটের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পরিস্থিতিতে পড়েছেন বলে একাধিক টুইটার বার্তার মাধ্যমে জানান।
তবে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এ ঘটনায় নিরাপত্তার জন্য সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পুলিশের ২০টি ইউনিট কাজ করছে বিমানবন্দরে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৩:৪৮

ড্রোন হামলার আতঙ্কে দুই রাত ধরে এক লাখেরও বেশি যাত্রীর ভ্রমণ বাতিল করেছিল যুক্তরাজ্যের সাসেক্সের এক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। রানওয়েতে বারবার ড্রোন ঢুকে পড়ায় একাধিকবার বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর আগে কর্তৃপক্ষ জানায়, ড্রোন আতঙ্কে ১০ হাজারেরও বেশি যাত্রী বিমানবন্দরে আটকে পড়ে। তবে দুইরাত বন্ধ থাকার পর শুক্রবার সকালে সবধরনের ফ্লাইট পুনরায় চালু হয়েছে।
বুধবার রাতে লন্ডন গ্যাটউইক বিমানবন্দরের রানওয়েতে একাধিক ড্রোন উড়তে দেখা যায়। এতে রানওয়ে বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলে পরদিন পর্যন্ত সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়।
বিবিসি জানায়, বৃহস্পতিবার সকালেও ড্রোনের উপস্থিতি ধরা পড়ে রাডার যন্ত্রে। এখন পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০বারের বেশি ড্রোন উড়তে দেখা গেছে রানওয়ে ও সংলগ্ন এলাকায়। একাধিকবার রানওয়ে খুলে দেওয়া হলেও কিছু সময় পর আবার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবারও সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানায় গ্যাটউইক কর্তৃপক্ষ।
গ্যাটউইকের চিফ অপারেটিং অফিসার ক্রিস উডরুফ বলেন, “বুধবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত এক লাখ ২০ হাজার যাত্রী নিয়ে ৭৬০টি ফ্লাইট ওঠানামার কথা ছিল বিমানবন্দরে। যাত্রীদের প্রবেশ ও বহির্গমন স্থানের কাছেই রানওয়ে হওয়ার কারণে তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।”
এদিকে সাসেক্স পুলিশ জানায়, তারা এখনো ড্রোন অপারেটরদের ধরতে পারেননি।

পুলিশ কর্মকর্তা জাস্টিন বার্টেনশো বলেন, “প্রতিবারই যখন আমরা অপারেটরদের ধরে ফেলার উপক্রম হয়েছি, তখনই ড্রোন লুকিয়ে যায়। যখন রানওয়ে খুলে দেওয়া হয় আবার ড্রোন চলে আসে।”
এমন পরিস্থিতিকে ড্রোনের সঙ্গে পুলিশের অনেকটাই ইঁদুর বিড়াল খেলা হিসেবেই মন্তব্য করেছে বিবিসি। লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় গতকাল গুলি না করার সিদ্ধান্ত নিলেও পরবর্তীতে গুলি করেই ড্রোন নামানো হবে বলে জানায় সাসেক্স পুলিশ।
পুলিশের ডেপুটি চিফ সুপার টংগলি বলেন, “পুলিশ এখনো ড্রোনের মডেল নিয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে এ ড্রোন দিয়ে ক্ষতিকর কিছু করা সম্ভব।” এটির ডিভাইস সম্পর্কেও কিছু জানা যায়নি জানান তিনি। কেউ যদি ড্রোনের স্পষ্ট ছবি তুলতে পারে তা পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে।
এদিকে গ্যাটউইকে অবতরণ করতে না পেরে একাধিক ফ্লাইট সাময়িক বিরতি নেয় লন্ডনের হিথ্রো, লুটন, বার্মিংহাম, ম্যানচেস্টার, কার্ডিফ, গ্লাসগো, প্যারিস এবং আমস্টারডাম বিমানবন্দরে। এসব ফ্লাইটের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পরিস্থিতিতে পড়েছেন বলে একাধিক টুইটার বার্তার মাধ্যমে জানান।
তবে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এ ঘটনায় নিরাপত্তার জন্য সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পুলিশের ২০টি ইউনিট কাজ করছে বিমানবন্দরে।