ট্রাম্পের জেদে ফের ‘শাটডাউনে’ যুক্তরাষ্ট্র
অনলাইন ডেস্ক | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১০:৩৫
চলতি বছরে তৃতীয়বারের মতো শাটডাউনে পড়লো যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: টেক্সাস ট্রিবিউন।
সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য পাঁচ বিলিয়ন ডলার বাজেট অনুমোদনে ব্যর্থ হয়ে সরকারি ব্যয় বরাদ্দ বিলে সই করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে আংশিক ‘শাটডাউন’ তথা সরকারি সেবা বন্ধের মুখে পড়তে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
ডেমোক্রেটদের পাশাপাশি কয়েকজন রিপাবলিকান সিনেটরও সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে অর্থ বরাদ্দের বিরোধিতা করেন। ফলে সিনেটে এই অর্থ অনুমোদন করিয়ে নিতে ব্যর্থ হন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের সময় শুক্রবার মধ্যরাত থেকে এই ‘শাটডাউন’ শুরু হওয়া কথা রয়েছে বলে জানায় আলজাজিরা। এর ফলে স্বরাষ্ট্র, পরিবহন, কৃষি, পররাষ্ট্র এবং বিচার বিভাগ ‘শাটডাউনের’ কবলে পড়বে। আর বন্ধ হয়ে যাবে ফেডারেল ন্যাশনাল পার্ক এবং বন বিভাগও।
ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ফেডারেল সরকারের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে দীর্ঘ সময় ধরে এই শাটডাউন চলতে পারে।”
তবে উত্থাপিত দাবি থেকে সরে না আসায় এই পরিস্থিতির জন্য ট্রাম্পকেই দোষারোপ করেছেন ডেমোক্রেটরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ‘শাটডাউন’ ট্রাম্পের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা। এটি ওয়াশিংটনের অকার্যকর হয়ে পড়ার আরেকটি প্রমাণ। মধ্যবর্তী নির্বাচনে জিতে বেশ কয়েক বছর পর প্রতিনিধি পরিষদ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ায় ডেমোক্রেটদের শক্তি আরও বেড়েছে।
ডেমোক্রেট সিনেটর চউক শিউমার বলেন, “প্রেসিডেন্ট একগুঁয়েমি করে এমন একটা ইস্যু সিনেটে ছুড়ে দিলেন। এখন বড়দিনের আগমুহূর্তে শাটডাউন নিয়ে শঙ্কিত হতে হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আজকে বা পরের সপ্তাহে কিংবা জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহেও এই দেয়াল আপনি তুলছেন না। তখনতো প্রতিনিধি পরিষদ ডেমোক্রেটদের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে।”
শুক্রবার রিপাবলিকান সিনেটররা ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এবং হোয়াইট হাউজের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। দুই দলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটা সরকারি অর্থ ছাড়ের (৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) শেষ প্রচেষ্টা চালান তারা। কিন্তু ব্যর্থ হয়েই ফিরে আসতে হয় তাদের।
মূলত দুই দলের মতানৈক্যের ফলে কোনো প্রস্তাব পাস না হয়ে বাজেট বরাদ্দ আটকে যাওয়ায় ‘শাটডাউন’ পরিস্থিতি তৈরি হয়। চলতি বছর এনিয়ে তৃতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে ‘শাটডাউন’ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানায় বিবিসি।
শেয়ার করুন
অনলাইন ডেস্ক | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১০:৩৫

সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য পাঁচ বিলিয়ন ডলার বাজেট অনুমোদনে ব্যর্থ হয়ে সরকারি ব্যয় বরাদ্দ বিলে সই করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে আংশিক ‘শাটডাউন’ তথা সরকারি সেবা বন্ধের মুখে পড়তে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
ডেমোক্রেটদের পাশাপাশি কয়েকজন রিপাবলিকান সিনেটরও সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে অর্থ বরাদ্দের বিরোধিতা করেন। ফলে সিনেটে এই অর্থ অনুমোদন করিয়ে নিতে ব্যর্থ হন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের সময় শুক্রবার মধ্যরাত থেকে এই ‘শাটডাউন’ শুরু হওয়া কথা রয়েছে বলে জানায় আলজাজিরা। এর ফলে স্বরাষ্ট্র, পরিবহন, কৃষি, পররাষ্ট্র এবং বিচার বিভাগ ‘শাটডাউনের’ কবলে পড়বে। আর বন্ধ হয়ে যাবে ফেডারেল ন্যাশনাল পার্ক এবং বন বিভাগও।
ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ফেডারেল সরকারের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে দীর্ঘ সময় ধরে এই শাটডাউন চলতে পারে।”
তবে উত্থাপিত দাবি থেকে সরে না আসায় এই পরিস্থিতির জন্য ট্রাম্পকেই দোষারোপ করেছেন ডেমোক্রেটরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ‘শাটডাউন’ ট্রাম্পের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা। এটি ওয়াশিংটনের অকার্যকর হয়ে পড়ার আরেকটি প্রমাণ। মধ্যবর্তী নির্বাচনে জিতে বেশ কয়েক বছর পর প্রতিনিধি পরিষদ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ায় ডেমোক্রেটদের শক্তি আরও বেড়েছে।
ডেমোক্রেট সিনেটর চউক শিউমার বলেন, “প্রেসিডেন্ট একগুঁয়েমি করে এমন একটা ইস্যু সিনেটে ছুড়ে দিলেন। এখন বড়দিনের আগমুহূর্তে শাটডাউন নিয়ে শঙ্কিত হতে হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আজকে বা পরের সপ্তাহে কিংবা জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহেও এই দেয়াল আপনি তুলছেন না। তখনতো প্রতিনিধি পরিষদ ডেমোক্রেটদের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে।”
শুক্রবার রিপাবলিকান সিনেটররা ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এবং হোয়াইট হাউজের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। দুই দলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটা সরকারি অর্থ ছাড়ের (৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) শেষ প্রচেষ্টা চালান তারা। কিন্তু ব্যর্থ হয়েই ফিরে আসতে হয় তাদের।
মূলত দুই দলের মতানৈক্যের ফলে কোনো প্রস্তাব পাস না হয়ে বাজেট বরাদ্দ আটকে যাওয়ায় ‘শাটডাউন’ পরিস্থিতি তৈরি হয়। চলতি বছর এনিয়ে তৃতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে ‘শাটডাউন’ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানায় বিবিসি।