ইন্দোনেশিয়ায় সুনামিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২২
অনলাইন ডেস্ক | ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২২:৪৬
ইন্দোনেশিয়ায় সুনামির আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২২-তে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আটশোরও বেশি মানুষ। শনিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে নয়টায় এ সুনামির ধাক্কায় ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে দেশটির উপকূলীয় এলাকায়।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার (বিএনপিবি) বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, এদিন রাতে আনাক ক্রাকাতোয়ার অগ্নিগিরি জেগে ওঠে। এর অগ্ন্যুপাতের ফলে সমুদের নিচে ধস তৈরি হলে সুনামির সৃষ্টি হয়। এ সময় সমুদ্রে ৬৫ ফুট উচ্চতার ঢেউ সৃষ্টি হয়।
বিএনপিবির মুখপাত্র সুতোপো পুরয়ো নুগ্রহো জানায়, সুনামিতে দেশটির দক্ষিণ সুমাত্রা ও জাভার পশ্চিম প্রান্ত কেঁপে ওঠে। বিপর্যয় মোকাবেলার প্রস্তুতির আগেই ভেঙে পড়ে বহু ঘরবাড়ি ও স্থাপনা।
বিবিসি জানায়, সুন্দা প্রণালিতে সবচেয়ে বেশি হতাহতে ঘটনা ঘটে। সুন্দা প্রণালী জাভা ও সুমাত্রা আলাদা করেছে। এ প্রণালীই ভারত মহাসাগরের সঙ্গে জাভা সাগর যুক্ত করেছে। এ অঞ্চলের সামুদ্রিক দ্বীপগুলো পর্যটনের জন্য জনপ্রিয়। জাভার পেরডেগল্যান্ড জেলায় বিদেশি পর্যটকদের ভীড় থাকে বেশ।
সুতোপো এক টুইটার বার্তায় বলেন, সুনামিতে ৪৩০টি বাড়ি এবং নয়টি হোটেল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বানতেন প্রদেশের প্যানদেগ্ল্যাং এলাকা।
এদিকে বিএনপিবি স্থানীয়দের সতর্ক করে জানিয়েছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ভরা পূর্ণিমায় সাগর আরও উত্তাল হলে শক্তিশালী ঢেউ ক্ষতির কারণ হতে পারে। তারা আরো একটি সুনামির আশঙ্কা করছে।
ঘরবাড়ি ধসে এবং গাছপালা উপড়ে পড়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে উদ্ধার অভিযান ব্যহত হচ্ছে বলে জানায় অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল। তবে উদ্ধার কার্যক্রমের আধুনিক সরঞ্জাম দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এ বিপুল সংখ্যক প্রাণহানিতে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি এ বিপর্যয়ে জনগণকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেন।
এ বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে দেশটির সুলাওয়েসি দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে দুই হাজারের বেশি মানুষ মারা যান।
২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে শক্তিশালী ভূমিকম্পে সৃষ্ট সুনামিতে মারা যান ইন্দোনেশিয়াসহ ১৪টি দেশের দুই লাখ ২৮ হাজার মানুষ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২২:৪৬

ইন্দোনেশিয়ায় সুনামির আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২২-তে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আটশোরও বেশি মানুষ। শনিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে নয়টায় এ সুনামির ধাক্কায় ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে দেশটির উপকূলীয় এলাকায়।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার (বিএনপিবি) বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, এদিন রাতে আনাক ক্রাকাতোয়ার অগ্নিগিরি জেগে ওঠে। এর অগ্ন্যুপাতের ফলে সমুদের নিচে ধস তৈরি হলে সুনামির সৃষ্টি হয়। এ সময় সমুদ্রে ৬৫ ফুট উচ্চতার ঢেউ সৃষ্টি হয়।
বিএনপিবির মুখপাত্র সুতোপো পুরয়ো নুগ্রহো জানায়, সুনামিতে দেশটির দক্ষিণ সুমাত্রা ও জাভার পশ্চিম প্রান্ত কেঁপে ওঠে। বিপর্যয় মোকাবেলার প্রস্তুতির আগেই ভেঙে পড়ে বহু ঘরবাড়ি ও স্থাপনা।
বিবিসি জানায়, সুন্দা প্রণালিতে সবচেয়ে বেশি হতাহতে ঘটনা ঘটে। সুন্দা প্রণালী জাভা ও সুমাত্রা আলাদা করেছে। এ প্রণালীই ভারত মহাসাগরের সঙ্গে জাভা সাগর যুক্ত করেছে। এ অঞ্চলের সামুদ্রিক দ্বীপগুলো পর্যটনের জন্য জনপ্রিয়। জাভার পেরডেগল্যান্ড জেলায় বিদেশি পর্যটকদের ভীড় থাকে বেশ।

সুতোপো এক টুইটার বার্তায় বলেন, সুনামিতে ৪৩০টি বাড়ি এবং নয়টি হোটেল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বানতেন প্রদেশের প্যানদেগ্ল্যাং এলাকা।
এদিকে বিএনপিবি স্থানীয়দের সতর্ক করে জানিয়েছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ভরা পূর্ণিমায় সাগর আরও উত্তাল হলে শক্তিশালী ঢেউ ক্ষতির কারণ হতে পারে। তারা আরো একটি সুনামির আশঙ্কা করছে।
ঘরবাড়ি ধসে এবং গাছপালা উপড়ে পড়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে উদ্ধার অভিযান ব্যহত হচ্ছে বলে জানায় অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল। তবে উদ্ধার কার্যক্রমের আধুনিক সরঞ্জাম দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এ বিপুল সংখ্যক প্রাণহানিতে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি এ বিপর্যয়ে জনগণকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেন।
এ বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে দেশটির সুলাওয়েসি দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে দুই হাজারের বেশি মানুষ মারা যান।
২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে শক্তিশালী ভূমিকম্পে সৃষ্ট সুনামিতে মারা যান ইন্দোনেশিয়াসহ ১৪টি দেশের দুই লাখ ২৮ হাজার মানুষ।