খাশোগি হত্যার তদন্তে জাতিসংঘকে যুক্ত করছে তুরস্ক
অনলাইন ডেস্ক | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৯:৩৬
সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার তদন্তে জাতিসংঘকে যুক্ত করতে যাচ্ছে তুরস্ক। অন্যান্য দেশের সঙ্গে তারা এই ইস্যুতে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম হুরিয়াত জানায়, তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসে এক সংবাদ সম্মেলনে মেভলুত বলেন, ‘খাশোগি হত্যাকাণ্ড গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে তুরস্ক। কয়েকটা দেশের সঙ্গে আমরাও জাতিসংঘকে এ হত্যাকাণ্ড তদন্তে যুক্ত করতে যৌথভাবে কাজ করছি।’
প্রায় তিন মাস আগে বিয়ে সংক্রান্ত কাজে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন খাশোগি।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি, সৌদি আরবও তার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে আমাদেরকে এবং আন্তর্জাতিক মহলের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান করবে। কারণ খাশোগিকে যারা হত্যা করছে এবং তার দেহ টুকরো করেছে, তারা এসেছিলেন সৌদি আরব থেকেই।’
তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশও এসেছিল সৌদি আরব থেকে। কিন্তু তারা আমাদের এখনো জানায়নি কোথায় খাশোগির দেহ লুকিয়ে ফেলা হয়েছে বা এটি নিয়ে তারা কী করেছে। যারা এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে, তারা সবাই সৌদি আরবেই আছে।’
প্রসঙ্গত, শুরুতে কনস্যুলেটে খাশোগির নিখোঁজের অভিযোগ অস্বীকার করে করলেও সংবাদমাধ্যমে তুর্কি গোয়েন্দাদের একের পর এক ‘তথ্য ফাঁসের’ মুখে ১৯ অক্টোবর এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে সৌদি আরব। যদিও এর সঙ্গে সৌদি যুবরাজের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে তারা দাবি করে।
তবে তুরস্ক একাধিকবার দাবি করেছে, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সৌদির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জড়িত। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন ওয়াশিংটন পোস্টের কন্ট্রিবিউটর জামাল খাশোগি।
চলতি মাসের শুরুতেও এ হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত সন্দেহে সৌদি যুবরাজের দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের চিফ প্রসিকিউটর।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সৌদি যুবরাজের মিডিয়া উপদেষ্টা সাউদ আল-কাহতানি এবং গোয়েন্দা সংস্থার উপ-প্রধান মেজর জেনারেল আহমেদ আসিরিকে আগেই চাকরিচ্যুত করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তদন্তের স্বার্থে এ দুজনকে ইস্তাম্বুলের হাতে তুলে দেওয়ার আহ্বান করলেও তা নাকচ করে দেয় সৌদি সরকার।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৯:৩৬

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার তদন্তে জাতিসংঘকে যুক্ত করতে যাচ্ছে তুরস্ক। অন্যান্য দেশের সঙ্গে তারা এই ইস্যুতে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম হুরিয়াত জানায়, তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসে এক সংবাদ সম্মেলনে মেভলুত বলেন, ‘খাশোগি হত্যাকাণ্ড গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে তুরস্ক। কয়েকটা দেশের সঙ্গে আমরাও জাতিসংঘকে এ হত্যাকাণ্ড তদন্তে যুক্ত করতে যৌথভাবে কাজ করছি।’
প্রায় তিন মাস আগে বিয়ে সংক্রান্ত কাজে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন খাশোগি।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি, সৌদি আরবও তার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে আমাদেরকে এবং আন্তর্জাতিক মহলের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান করবে। কারণ খাশোগিকে যারা হত্যা করছে এবং তার দেহ টুকরো করেছে, তারা এসেছিলেন সৌদি আরব থেকেই।’
তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশও এসেছিল সৌদি আরব থেকে। কিন্তু তারা আমাদের এখনো জানায়নি কোথায় খাশোগির দেহ লুকিয়ে ফেলা হয়েছে বা এটি নিয়ে তারা কী করেছে। যারা এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে, তারা সবাই সৌদি আরবেই আছে।’
প্রসঙ্গত, শুরুতে কনস্যুলেটে খাশোগির নিখোঁজের অভিযোগ অস্বীকার করে করলেও সংবাদমাধ্যমে তুর্কি গোয়েন্দাদের একের পর এক ‘তথ্য ফাঁসের’ মুখে ১৯ অক্টোবর এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে সৌদি আরব। যদিও এর সঙ্গে সৌদি যুবরাজের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে তারা দাবি করে।
তবে তুরস্ক একাধিকবার দাবি করেছে, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সৌদির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জড়িত। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন ওয়াশিংটন পোস্টের কন্ট্রিবিউটর জামাল খাশোগি।
চলতি মাসের শুরুতেও এ হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত সন্দেহে সৌদি যুবরাজের দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের চিফ প্রসিকিউটর।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সৌদি যুবরাজের মিডিয়া উপদেষ্টা সাউদ আল-কাহতানি এবং গোয়েন্দা সংস্থার উপ-প্রধান মেজর জেনারেল আহমেদ আসিরিকে আগেই চাকরিচ্যুত করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তদন্তের স্বার্থে এ দুজনকে ইস্তাম্বুলের হাতে তুলে দেওয়ার আহ্বান করলেও তা নাকচ করে দেয় সৌদি সরকার।