আদালত কক্ষে মুখোমুখি মুরসি-মোবারক
অনলাইন ডেস্ক | ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১১:০৪
মিশরের দুই সাবেক প্রেসিডেন্টকে বুধবার একসঙ্গে দেখা গেছে কায়রোর আদালতে। এদিন মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে এক মামলার পুনর্বিচারে সাক্ষ্য দেন হোসনি মোবারক।
আলজাজিরা জানায়, ধূসর চুলের ৯০ বছর বয়সী শারীরিকভাবে দুর্বল মোবারক এদিন আদালতে হাজির হন লাঠিতে ভর করে।
আরব বসন্তের সময় ২০১১ সালে এক বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে তার ৩০ বছরের দীর্ঘ শাসনের অবসান ঘটে দেশটিতে। এরপর নির্বাচনের মধ্যদিয়ে ক্ষমতায় আসেন মোহাম্মদ মুরসি। তিনি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট।
এ বিক্ষোভের সময় কারাগার থেকে অনেক বন্দি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। মুরসির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এদেরকে পালাতে সহায়তা করেছিলেন। এ মামলায় তার ২০ বছরের সাজা হয়। এর পুনর্বিচারের আবেদন করা হলে তাতেই মূলত অসম্মতি জানান মোবারক।
সাক্ষ্য দেওয়ার সময় কোনো প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারবেন না বলে আদালতকে জানান মোবারক। তিনি বলেন, এজন্য সেনাবাহিনী এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসির অনুমতি লাগবে তার।
এ মাসের শুরুতে একই কারণেই এই মামলায় সাক্ষ্য দিতে মোবারক আদালতে উপস্থিত হননি। তার আইনজীবী ফরিদ আল-দিব তখন জানিয়েছিলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট একজন সাবেক সামরিক সদস্যও। ফলে আদালতে উপস্থিত হতে তাকে সামরিক কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়।
হোসনি মোবারকের দীর্ঘ ৩০ বছরের শাসনের অবসানের পর ২০১২ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসেন মুরসি। যদিও এক বছরের মাথায় সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট সিসি।
একইভাবে অভ্যুত্থানে ইন্ধন এবং বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে ২০১৫ সালের এপ্রিলে কায়রোর আদালত মুরসিকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়।
কাতারে গোয়েন্দা তথ্য পাচারের অভিযোগে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে তাকে আরেকটি মামলায় ২৫ বছরের জেল দেওয়া হয়।
পরের বছর ডিসেম্বরে তাকে আরও একটি অভিযোগে তিন বছরের সাজা দেওয়া হয়। এবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল আদালত অবমাননা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১১:০৪

মিশরের দুই সাবেক প্রেসিডেন্টকে বুধবার একসঙ্গে দেখা গেছে কায়রোর আদালতে। এদিন মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে এক মামলার পুনর্বিচারে সাক্ষ্য দেন হোসনি মোবারক।
আলজাজিরা জানায়, ধূসর চুলের ৯০ বছর বয়সী শারীরিকভাবে দুর্বল মোবারক এদিন আদালতে হাজির হন লাঠিতে ভর করে।
আরব বসন্তের সময় ২০১১ সালে এক বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে তার ৩০ বছরের দীর্ঘ শাসনের অবসান ঘটে দেশটিতে। এরপর নির্বাচনের মধ্যদিয়ে ক্ষমতায় আসেন মোহাম্মদ মুরসি। তিনি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট।
এ বিক্ষোভের সময় কারাগার থেকে অনেক বন্দি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। মুরসির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এদেরকে পালাতে সহায়তা করেছিলেন। এ মামলায় তার ২০ বছরের সাজা হয়। এর পুনর্বিচারের আবেদন করা হলে তাতেই মূলত অসম্মতি জানান মোবারক।
সাক্ষ্য দেওয়ার সময় কোনো প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারবেন না বলে আদালতকে জানান মোবারক। তিনি বলেন, এজন্য সেনাবাহিনী এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসির অনুমতি লাগবে তার।
এ মাসের শুরুতে একই কারণেই এই মামলায় সাক্ষ্য দিতে মোবারক আদালতে উপস্থিত হননি। তার আইনজীবী ফরিদ আল-দিব তখন জানিয়েছিলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট একজন সাবেক সামরিক সদস্যও। ফলে আদালতে উপস্থিত হতে তাকে সামরিক কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়।
হোসনি মোবারকের দীর্ঘ ৩০ বছরের শাসনের অবসানের পর ২০১২ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসেন মুরসি। যদিও এক বছরের মাথায় সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট সিসি।
একইভাবে অভ্যুত্থানে ইন্ধন এবং বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে ২০১৫ সালের এপ্রিলে কায়রোর আদালত মুরসিকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়।
কাতারে গোয়েন্দা তথ্য পাচারের অভিযোগে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে তাকে আরেকটি মামলায় ২৫ বছরের জেল দেওয়া হয়।
পরের বছর ডিসেম্বরে তাকে আরও একটি অভিযোগে তিন বছরের সাজা দেওয়া হয়। এবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল আদালত অবমাননা।