‘মুসলিমদের চিহ্ন মুছে দিতে চায় মিয়ানমার’
অনলাইন ডেস্ক | ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৯:২৮
আইনজীবী ইউ কিয়া হ্লা অং।
ইউ কিয়া হ্লা অং। আইনজীবী। কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াই করছেন। আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেছেন, মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের চিহ্ন মুছে দিতে চায় দেশটির ক্ষমতাসীনরা।
মুসলিম সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার জন্য সম্প্রতি তিনি আর্মেনিয়া থেকে পুরস্কার পেয়েছেন। পুরস্কারের সেই অর্থও দান করে দিয়েছেন রোহিঙ্গাদের কল্যাণে।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে অং বলেন, ‘সরকার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এককাট্টা। আগে রোহিঙ্গারা পুলিশ, মিলিটারি, প্রশাসনে প্রতিনিধিত্ব করতো। কিন্তু কয়েক বছর ধরে সেটি আর হয় না। মুসলিমদের তারা নিশ্চিহ্ন করতে চায়।’
‘জঙ্গি হামলার’ অভিযোগ তুলে ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তাদের সঙ্গে স্থানীয় বৌদ্ধরা যোগ দিলে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়।
এই অভিযানে কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয় বলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি।
হ্লা অং বলছেন, যে সরকারই ক্ষমতায় এসেছে, তারাই রোহিঙ্গা নিধনে ভূমিকা রেখেছে।
‘প্রত্যেক সরকার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। আমি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে ২০ বছরের বেশি কাজ করেছি। ১৯৮৬ সালে এক রোহিঙ্গার জন্য পিটিশন জারি করে আমার জেলে যেতে হয়।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৯:২৮
ইউ কিয়া হ্লা অং। আইনজীবী। কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াই করছেন। আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেছেন, মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের চিহ্ন মুছে দিতে চায় দেশটির ক্ষমতাসীনরা।
মুসলিম সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার জন্য সম্প্রতি তিনি আর্মেনিয়া থেকে পুরস্কার পেয়েছেন। পুরস্কারের সেই অর্থও দান করে দিয়েছেন রোহিঙ্গাদের কল্যাণে।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে অং বলেন, ‘সরকার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এককাট্টা। আগে রোহিঙ্গারা পুলিশ, মিলিটারি, প্রশাসনে প্রতিনিধিত্ব করতো। কিন্তু কয়েক বছর ধরে সেটি আর হয় না। মুসলিমদের তারা নিশ্চিহ্ন করতে চায়।’
‘জঙ্গি হামলার’ অভিযোগ তুলে ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তাদের সঙ্গে স্থানীয় বৌদ্ধরা যোগ দিলে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়।
এই অভিযানে কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয় বলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি।
হ্লা অং বলছেন, যে সরকারই ক্ষমতায় এসেছে, তারাই রোহিঙ্গা নিধনে ভূমিকা রেখেছে।
‘প্রত্যেক সরকার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। আমি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে ২০ বছরের বেশি কাজ করেছি। ১৯৮৬ সালে এক রোহিঙ্গার জন্য পিটিশন জারি করে আমার জেলে যেতে হয়।’