ইউনেস্কো থেকে বেরিয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল
অনলাইন ডেস্ক | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০৯:২৮
নতুন বছরের শুরুতেই ইউনেস্কো থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় নিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। এক বছরের বেশি সময় ধরে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থাটি থেকে তাদের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল বলে জানায় আলজাজিরা।
ইউনেস্কো থেকে এ দুই দেশ নিজেদেরকে প্রত্যাহার করা নেওয়ায় সংস্থাটির জন্য ‘ধাক্কা’ হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় গঠিত জাতিসংঘের এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিল যুক্তরাষ্ট্র।
‘'ইসরায়েল বিরোধী মনোভাবের’ কারণে ২০১৭ সালে ইউনেস্কো থেকে সড়ে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ২০১১ সালে সংস্থাটি ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেয়, যা মেনে নিতে পারেনি ইসরায়েল। মূলত ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানাতেই যুক্তরাষ্ট্র এ সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আর্থিকভাবে তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না ইউনেস্কো, এমনটা জানিয়েছে আলজাজিরা।
ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ায় এই দুই দেশ ২০১১ সাল থেকে সংস্থাটিতে আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু শক্তিশালী তহবিল গঠনের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত সংস্থাটির ওপর তেমন নেতিবাচক প্রভাব ফেলেনি।
সংস্থাটি থেকে এ দুই দেশের সড়ে দাঁড়ানোর পিছনে অর্থনৈতিক কারণ হিসেবেও যুক্ত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এর মূল বাজেটের ২২ শতাংশই বহন করে যুক্তরাষ্ট্র। সে হিসেবে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার অর্থ যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওনা আছে ইউনেস্কোর। একইভাবে ইসরায়েল থেকেও ইউনেস্কো পাবে ১০ মিলিয়ন ডলার।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাটি থেকে বের হয়ে যাওয়া নতুন নয়। এর আগে ১৯৮৪ সালে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান ইউনেস্কো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। যদিও ২০০৩ সালে প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের আমলে পুনরায় ফিরে আসে দেশটি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০৯:২৮
নতুন বছরের শুরুতেই ইউনেস্কো থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় নিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। এক বছরের বেশি সময় ধরে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থাটি থেকে তাদের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল বলে জানায় আলজাজিরা।
ইউনেস্কো থেকে এ দুই দেশ নিজেদেরকে প্রত্যাহার করা নেওয়ায় সংস্থাটির জন্য ‘ধাক্কা’ হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় গঠিত জাতিসংঘের এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিল যুক্তরাষ্ট্র।
‘'ইসরায়েল বিরোধী মনোভাবের’ কারণে ২০১৭ সালে ইউনেস্কো থেকে সড়ে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ২০১১ সালে সংস্থাটি ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেয়, যা মেনে নিতে পারেনি ইসরায়েল। মূলত ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানাতেই যুক্তরাষ্ট্র এ সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আর্থিকভাবে তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না ইউনেস্কো, এমনটা জানিয়েছে আলজাজিরা।
ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ায় এই দুই দেশ ২০১১ সাল থেকে সংস্থাটিতে আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু শক্তিশালী তহবিল গঠনের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত সংস্থাটির ওপর তেমন নেতিবাচক প্রভাব ফেলেনি।
সংস্থাটি থেকে এ দুই দেশের সড়ে দাঁড়ানোর পিছনে অর্থনৈতিক কারণ হিসেবেও যুক্ত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এর মূল বাজেটের ২২ শতাংশই বহন করে যুক্তরাষ্ট্র। সে হিসেবে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার অর্থ যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওনা আছে ইউনেস্কোর। একইভাবে ইসরায়েল থেকেও ইউনেস্কো পাবে ১০ মিলিয়ন ডলার।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাটি থেকে বের হয়ে যাওয়া নতুন নয়। এর আগে ১৯৮৪ সালে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান ইউনেস্কো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। যদিও ২০০৩ সালে প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের আমলে পুনরায় ফিরে আসে দেশটি।