জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরকারীদের বয়কটের আহ্বান ওআইসির
অনলাইন ডেস্ক | ১ জুন, ২০১৯ ১৪:৩৮
ছবি: এএফপি
মুসলিমদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদের শহর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতি দিয়ে দূতাবাস স্থানান্তরকারী দেশগুলোকে বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)।
একই সঙ্গে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর ও এই নগরীকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানানো হয়েছে।
শনিবার সৌদি আরবের মক্কায় ওআইসির ১৪তম শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের সীমানা নিয়ে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারসহ ফিলিস্তিনিদের অবিচ্ছেদ্য জাতীয় অধিকারের প্রতি ওআইসির সমর্থন রয়েছে।
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ বলেন, যত দিন না ফিলিস্তিনিরা তাদের অধিকার ফিরে পাচ্ছে, তত দিন এটা আমাদের মূল ইস্যু। মসজিদুল আকসার ঐতিহাসিক এবং আইনি মর্যাদাকে খাটো করে এমন যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।
ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সাম্প্রতিক উষ্ণ সম্পর্কের মধ্যেই এমন বক্তব্য দিলেন সৌদি বাদশাহ। মূলত ইরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপে মুসলিম দেশগুলোর সমর্থন আদায়ে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে রিয়াদ।

সম্মেলনে জাতিসংঘের রেজ্যুলেশনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের আহ্বান জানান তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু।
তিনি বলেন, “প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পরও ফিলিস্তিনিদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে আছে ওআইসি, যদিও ১৯৬৯ সালে মূলত এই ইস্যুকে সামনে রেখেই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়।”
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ডাকা বিক্ষোভে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে প্রাণ হারায় শতাধিক ফিলিস্তিনি।
শেয়ার করুন
অনলাইন ডেস্ক | ১ জুন, ২০১৯ ১৪:৩৮

মুসলিমদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদের শহর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতি দিয়ে দূতাবাস স্থানান্তরকারী দেশগুলোকে বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)।
একই সঙ্গে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর ও এই নগরীকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানানো হয়েছে।
শনিবার সৌদি আরবের মক্কায় ওআইসির ১৪তম শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের সীমানা নিয়ে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারসহ ফিলিস্তিনিদের অবিচ্ছেদ্য জাতীয় অধিকারের প্রতি ওআইসির সমর্থন রয়েছে।
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ বলেন, যত দিন না ফিলিস্তিনিরা তাদের অধিকার ফিরে পাচ্ছে, তত দিন এটা আমাদের মূল ইস্যু। মসজিদুল আকসার ঐতিহাসিক এবং আইনি মর্যাদাকে খাটো করে এমন যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।
ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সাম্প্রতিক উষ্ণ সম্পর্কের মধ্যেই এমন বক্তব্য দিলেন সৌদি বাদশাহ। মূলত ইরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপে মুসলিম দেশগুলোর সমর্থন আদায়ে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে রিয়াদ।
সম্মেলনে জাতিসংঘের রেজ্যুলেশনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের আহ্বান জানান তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু।
তিনি বলেন, “প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পরও ফিলিস্তিনিদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে আছে ওআইসি, যদিও ১৯৬৯ সালে মূলত এই ইস্যুকে সামনে রেখেই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়।”
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ডাকা বিক্ষোভে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে প্রাণ হারায় শতাধিক ফিলিস্তিনি।