হরমুজ প্রণালির উত্তেজনা তেলের দাম বাড়াবে
অনলাইন ডেস্ক | ১৫ জুন, ২০১৯ ১০:০৭
ছবি: এএফপি
বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথের একটি হরমুজ প্রণালি। এখানে ছড়িয়ে পড়া উত্তেজনা তেলের বাজারে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
মধ্যপ্রাচ্য থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় তেল রপ্তানি করা হয় হরমুজ প্রণালির মাধ্যমে। এই তেল যায় এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও অন্যান্য জায়গায়।
এর একদিকে আছে আরব দেশগুলো। এসব দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলো রয়েছে। অন্য পাশে রয়েছে ইরান।
সম্প্রতি ওমান উপসাগরে দুটি তেলবাহী জাহাজের ওপর হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য ইরান একে ভিত্তিহীন ও উদ্বেগজনক বলে বর্ণনা করে।
ওমান উপসাগর কৌশলগত হরমুজ প্রণালির অন্য প্রান্তে। এর সবচেয়ে সংকীর্ণ যে অংশ সেখানে ইরান ও ওমানের দূরত্ব মাত্র ২১ মাইল। যেখানে জাহাজ চলাচলের জন্য দুটো লেন রয়েছে এবং প্রতিটি লেন দুই মাইল প্রশস্ত। তবে জ্বালানি তেল বহনকারী সবচেয়ে বড় জাহাজ চলাচল করার জন্য যথেষ্ট গভীর ও চওড়া।
পৃথিবীতে যে পরিমাণ জ্বালানি তেল রপ্তানি হয়, তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ হরমুজ প্রণালি দিয়ে যায়। যা প্রতিদিন এক কোটি ৯০ লাখ ব্যারেলের মতো।
হরমুজ প্রণালি হচ্ছে ইরানের জ্বালানি তেল রপ্তানির প্রধান রুট। ফলে বারবার অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে পড়া দেশটির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথ। দেশটির মোট রপ্তানি আয়ের দুই-তৃতীয়াংশ আসে জ্বালানি তেল রপ্তানির মাধ্যমে। ২০১৭ সালে ইরান ৬৬০০ কোটি ডলারের তেল রপ্তানি করে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অবরোধ প্রসঙ্গে ইরান বলেছে, তাদের তেল রপ্তানিতে আমেরিকা যদি বাধা দেয়, তাহলে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে কোন তেল রপ্তানি করা যাবে না। হরমুজ প্রণালি দিয়ে যত তেল পরিবহন করা হবে সেটি তারা বন্ধ করে দেবে।
১৯৮০ এর দশকে ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় ইরাক এবং ইরান পরস্পরের তেল রপ্তানি বন্ধ করতে চেয়েছিল। তখন তেল বহনকারী ২৪০টি ট্যাংকার আক্রান্ত হয়েছিল এবং ৫৫টি ডুবে গিয়েছিল।
ইরান যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিতে চাইলে পৃথিবীজুড়ে জ্বালানি তেলের দাম বাড়বে।
এদিকে সাম্প্রতিক হামলার খবরের পরপরই তেলের বৈশ্বিক দাম প্রায় ৪ শতাংশ বেড়ে যায়। ব্রেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ওয়েল ব্যারেলপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৬১ দশমিক ৭৪ ডলারে। পণ্যটির দাম বেড়েছে প্রায় ৩ শতাংশ।
শেয়ার করুন
সংশ্লিষ্ট সংবাদ
অনলাইন ডেস্ক | ১৫ জুন, ২০১৯ ১০:০৭

বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথের একটি হরমুজ প্রণালি। এখানে ছড়িয়ে পড়া উত্তেজনা তেলের বাজারে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
মধ্যপ্রাচ্য থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় তেল রপ্তানি করা হয় হরমুজ প্রণালির মাধ্যমে। এই তেল যায় এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও অন্যান্য জায়গায়।
এর একদিকে আছে আরব দেশগুলো। এসব দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলো রয়েছে। অন্য পাশে রয়েছে ইরান।
সম্প্রতি ওমান উপসাগরে দুটি তেলবাহী জাহাজের ওপর হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য ইরান একে ভিত্তিহীন ও উদ্বেগজনক বলে বর্ণনা করে।
ওমান উপসাগর কৌশলগত হরমুজ প্রণালির অন্য প্রান্তে। এর সবচেয়ে সংকীর্ণ যে অংশ সেখানে ইরান ও ওমানের দূরত্ব মাত্র ২১ মাইল। যেখানে জাহাজ চলাচলের জন্য দুটো লেন রয়েছে এবং প্রতিটি লেন দুই মাইল প্রশস্ত। তবে জ্বালানি তেল বহনকারী সবচেয়ে বড় জাহাজ চলাচল করার জন্য যথেষ্ট গভীর ও চওড়া।
পৃথিবীতে যে পরিমাণ জ্বালানি তেল রপ্তানি হয়, তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ হরমুজ প্রণালি দিয়ে যায়। যা প্রতিদিন এক কোটি ৯০ লাখ ব্যারেলের মতো।
হরমুজ প্রণালি হচ্ছে ইরানের জ্বালানি তেল রপ্তানির প্রধান রুট। ফলে বারবার অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে পড়া দেশটির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথ। দেশটির মোট রপ্তানি আয়ের দুই-তৃতীয়াংশ আসে জ্বালানি তেল রপ্তানির মাধ্যমে। ২০১৭ সালে ইরান ৬৬০০ কোটি ডলারের তেল রপ্তানি করে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অবরোধ প্রসঙ্গে ইরান বলেছে, তাদের তেল রপ্তানিতে আমেরিকা যদি বাধা দেয়, তাহলে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে কোন তেল রপ্তানি করা যাবে না। হরমুজ প্রণালি দিয়ে যত তেল পরিবহন করা হবে সেটি তারা বন্ধ করে দেবে।
১৯৮০ এর দশকে ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় ইরাক এবং ইরান পরস্পরের তেল রপ্তানি বন্ধ করতে চেয়েছিল। তখন তেল বহনকারী ২৪০টি ট্যাংকার আক্রান্ত হয়েছিল এবং ৫৫টি ডুবে গিয়েছিল।
ইরান যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিতে চাইলে পৃথিবীজুড়ে জ্বালানি তেলের দাম বাড়বে।
এদিকে সাম্প্রতিক হামলার খবরের পরপরই তেলের বৈশ্বিক দাম প্রায় ৪ শতাংশ বেড়ে যায়। ব্রেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ওয়েল ব্যারেলপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৬১ দশমিক ৭৪ ডলারে। পণ্যটির দাম বেড়েছে প্রায় ৩ শতাংশ।