‘জাতীয়তাবাদী উত্থানে’ জনসনের নিরঙ্কুশ জয়
অনলাইন ডেস্ক | ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১২:১৯
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায়ই ছিল কনজারভেটিভ পার্টি। এরপরও ব্রেক্সিট ইস্যুতে বাজি ধরেন ‘পাগলা ঘোড়া’ বরিস জনসন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে বাজিমাত করলেন তিনি। নিরঙ্কুশ জয় ছিনিয়ে এনেছেন নিজের মিশন বাস্তবায়নে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়কে ‘শ্বেতাঙ্গ বিপ্লব’ বলা হলে, জনসনের বিজয়কে ‘ব্রিটিশ জাতীয়বাদের উত্থান’ বললে অত্যুক্তি হবে না।
বিবিসিতে প্রকাশিত সর্বশেষ ফলাফল অনুযায়ী ঘোষিত ৬৪২ আসনের মধ্যে ৩৫৮টিতে জয় পেয়েছে টোরি হিসেবে পরিচিত কনজারভেটিভ পার্টি। মোট ৬৫০ আসনের ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ৩২৬ আসন। গতবারের চেয়ে ইতোমধ্যে ৪৭ আসন বেশি পেয়েছে তারা।
অন্যদিকে ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের মিশনে থাকা লেবার পার্টির ভরাডুবি হয়েছে। এখন পর্যন্ত তারা পেয়েছে ২০৩ আসন যা গতবারের চেয়ে ৫৯টি কম।
দলের ভরাডুবি মেনে নিয়ে পরবর্তী নির্বাচনে দলের নেতৃত্বে না থাকার ঘোষণা দিয়েছেন লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন।
এছাড়া ব্রিটেনের রাজনীতিতে মোড় ঘোরানো এই নির্বাচনে ভালো ফল করেছে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতাকামী দল এসএনপি। এখন পর্যন্ত ৪৮টি আসন পেয়েছে তারা। আসন হিসেবে গতবারের চেয়ে ১৩টি আর ভোট হিসেবে ৮.২ শতাংশ বেশি।
‘ব্রেক্সিট কার্যকর করো’ এই স্লোগানে নির্বাচনে প্রচারণা চালানো বরিস এই ফলাফলকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। অন্যদিকে এই ফলাফলকে ‘হতাশাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন জেরেমি করবিন।
এছাড়া এই ফলাফলকে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে দ্বিতীয় গণভোটের পক্ষে জনগণের ‘স্পষ্ট বার্তা’ বলে দাবি করেছেন সেখানকার স্বাধীনতাকামী এসএনপি নেতা নিকোলা সার্জন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১২:১৯

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায়ই ছিল কনজারভেটিভ পার্টি। এরপরও ব্রেক্সিট ইস্যুতে বাজি ধরেন ‘পাগলা ঘোড়া’ বরিস জনসন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে বাজিমাত করলেন তিনি। নিরঙ্কুশ জয় ছিনিয়ে এনেছেন নিজের মিশন বাস্তবায়নে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়কে ‘শ্বেতাঙ্গ বিপ্লব’ বলা হলে, জনসনের বিজয়কে ‘ব্রিটিশ জাতীয়বাদের উত্থান’ বললে অত্যুক্তি হবে না।
বিবিসিতে প্রকাশিত সর্বশেষ ফলাফল অনুযায়ী ঘোষিত ৬৪২ আসনের মধ্যে ৩৫৮টিতে জয় পেয়েছে টোরি হিসেবে পরিচিত কনজারভেটিভ পার্টি। মোট ৬৫০ আসনের ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ৩২৬ আসন। গতবারের চেয়ে ইতোমধ্যে ৪৭ আসন বেশি পেয়েছে তারা।
অন্যদিকে ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের মিশনে থাকা লেবার পার্টির ভরাডুবি হয়েছে। এখন পর্যন্ত তারা পেয়েছে ২০৩ আসন যা গতবারের চেয়ে ৫৯টি কম।
দলের ভরাডুবি মেনে নিয়ে পরবর্তী নির্বাচনে দলের নেতৃত্বে না থাকার ঘোষণা দিয়েছেন লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন।
এছাড়া ব্রিটেনের রাজনীতিতে মোড় ঘোরানো এই নির্বাচনে ভালো ফল করেছে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতাকামী দল এসএনপি। এখন পর্যন্ত ৪৮টি আসন পেয়েছে তারা। আসন হিসেবে গতবারের চেয়ে ১৩টি আর ভোট হিসেবে ৮.২ শতাংশ বেশি।
‘ব্রেক্সিট কার্যকর করো’ এই স্লোগানে নির্বাচনে প্রচারণা চালানো বরিস এই ফলাফলকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। অন্যদিকে এই ফলাফলকে ‘হতাশাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন জেরেমি করবিন।
এছাড়া এই ফলাফলকে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে দ্বিতীয় গণভোটের পক্ষে জনগণের ‘স্পষ্ট বার্তা’ বলে দাবি করেছেন সেখানকার স্বাধীনতাকামী এসএনপি নেতা নিকোলা সার্জন।