লেবার পার্টির ভরাডুবির মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের বিশাল জয়
অনলাইন ডেস্ক | ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৫:৪৫
ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে অভূতপূর্ব জয় পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত চারজন প্রার্থী। তাদের দল লেবার পার্টি হারলেও ওই চারজন বিশাল ব্যবধানে প্রতিপক্ষকে নিজ নিজ আসনে হারিয়ে দিয়েছেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর লেবার পার্টি কোনো নির্বাচনে এতটা খারাপ ফলাফল করেনি।
যে চারটি আসনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতরা লড়েছেন, সেখানে তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাদের অর্ধেক ভোটও পাননি বলে দেখা যাচ্ছে।
হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন এলাকা থেকে জয় পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি ২৮,০৮০ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টির জনি লাক পেয়েছেন ১৩৮৯২ ভোট।
টিউলিপ সিদ্দিক জয়লাভ করলেও গতবারের চেয়ে ১০ শতাংশ ভোট কম পেয়েছেন। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থীও গতবারের চেয়ে আট শতাংশ ভোট কম পেয়েছেন।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার বড় মেয়ে তিনি। এ নিয়ে তিনি টানা তিনবার নির্বাচনে জয়লাভ করলেন।
বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসন থেকে জয়লাভ করেছেন রুশনারা আলী। তিনি পেয়েছেন ৪৪,০৫২ ভোট।
অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থী নিকোলাস স্টোভোল্ড পেয়েছেন ৬৫২৮ ভোট। প্রদত্ত ভোটের প্রায় ৭৩ শতাংশ পেয়েছেন রুশনারা আলী। তিনি ২০১০ সাল থেকে ওই এলাকা থেকে নির্বাচিত এমপি।
আরেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আফসানা বেগম লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছেন পপলার অ্যান্ড লাইমহাউজ আসন থেকে। তিনি পেয়েছেন ৩৮,৬৬০ ভোট এবং কনজারভেটিভ প্রার্থী পেয়েছেন ৯৭৫৬ ভোট।
লন্ডনের আরেকটি আসন ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন থেকে জয়লাভ করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুপা হক। তার প্রাপ্ত ভোট ২৮,১৩২, আর কনজারভেটিভ প্রার্থী জুলিয়ান গ্যালান্ট ১৪,৮৩২ ভোট পেয়েছেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৫:৪৫

ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে অভূতপূর্ব জয় পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত চারজন প্রার্থী। তাদের দল লেবার পার্টি হারলেও ওই চারজন বিশাল ব্যবধানে প্রতিপক্ষকে নিজ নিজ আসনে হারিয়ে দিয়েছেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর লেবার পার্টি কোনো নির্বাচনে এতটা খারাপ ফলাফল করেনি।
যে চারটি আসনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতরা লড়েছেন, সেখানে তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাদের অর্ধেক ভোটও পাননি বলে দেখা যাচ্ছে।
হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন এলাকা থেকে জয় পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি ২৮,০৮০ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টির জনি লাক পেয়েছেন ১৩৮৯২ ভোট।
টিউলিপ সিদ্দিক জয়লাভ করলেও গতবারের চেয়ে ১০ শতাংশ ভোট কম পেয়েছেন। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থীও গতবারের চেয়ে আট শতাংশ ভোট কম পেয়েছেন।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার বড় মেয়ে তিনি। এ নিয়ে তিনি টানা তিনবার নির্বাচনে জয়লাভ করলেন।
বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসন থেকে জয়লাভ করেছেন রুশনারা আলী। তিনি পেয়েছেন ৪৪,০৫২ ভোট।
অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থী নিকোলাস স্টোভোল্ড পেয়েছেন ৬৫২৮ ভোট। প্রদত্ত ভোটের প্রায় ৭৩ শতাংশ পেয়েছেন রুশনারা আলী। তিনি ২০১০ সাল থেকে ওই এলাকা থেকে নির্বাচিত এমপি।
আরেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আফসানা বেগম লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছেন পপলার অ্যান্ড লাইমহাউজ আসন থেকে। তিনি পেয়েছেন ৩৮,৬৬০ ভোট এবং কনজারভেটিভ প্রার্থী পেয়েছেন ৯৭৫৬ ভোট।
লন্ডনের আরেকটি আসন ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন থেকে জয়লাভ করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুপা হক। তার প্রাপ্ত ভোট ২৮,১৩২, আর কনজারভেটিভ প্রার্থী জুলিয়ান গ্যালান্ট ১৪,৮৩২ ভোট পেয়েছেন।