ভারতে পালালেন মিয়ানমারের ৩ পুলিশ
অনলাইন ডেস্ক | ৪ মার্চ, ২০২১ ১৪:০৮
মিয়ানমার থেকে ৩ পুলিশ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরাম পার হয়ে দেশটিতে আশ্রয় চেয়েছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ভারতীয় প্রশাসনকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনটিতে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর আদেশ মানবেন না, তাই ওই তিন কনস্টেবল দেশটি থেকে পালিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন।
মিজোরামের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা স্টিফেন লালরিনাওমা সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, ‘তারা বলেছেন সেনাবাহিনী থেকে যে নির্দেশ পেয়েছেন, সেটি মানতে পারবেন না বলেই পালিয়ে এসেছেন।’
মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থল সীমান্ত রয়েছে। হাতেগোনা কিছু রোহিঙ্গা দেশটিতে আগে প্রবেশ করলেও পুলিশ সদস্যদের এভাবে আশ্রয় চাওয়ার ঘটনা বিরল।
১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। এরপর শুরু হয় বিক্ষোভ। এখন পর্যন্ত সেখানে অর্ধশতাধিক বিক্ষোভকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
অভ্যুত্থানের পর ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। রাজধানী নেপিডোতে সেনাশাসন বিরোধী বিক্ষোভকালে গুলিতে আহত হন ২০ বছরের এক তরুণী। তিনি নেপিডোর একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
২০ ফেব্রুয়ারি একদিনে মারা যান দুজন। একটি শিপইয়ার্ডের কর্মীদের সেনাবিরোধী আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ গুলি চালালে ওই দুজন প্রাণ হারান।
এরপর ১ মার্চ একদিনে মারা যান ১৮ জন। ৩ মার্চ প্রাণ হারান আরও ৩৮ জন!
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৪ মার্চ, ২০২১ ১৪:০৮

মিয়ানমার থেকে ৩ পুলিশ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরাম পার হয়ে দেশটিতে আশ্রয় চেয়েছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ভারতীয় প্রশাসনকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনটিতে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর আদেশ মানবেন না, তাই ওই তিন কনস্টেবল দেশটি থেকে পালিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন।
মিজোরামের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা স্টিফেন লালরিনাওমা সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, ‘তারা বলেছেন সেনাবাহিনী থেকে যে নির্দেশ পেয়েছেন, সেটি মানতে পারবেন না বলেই পালিয়ে এসেছেন।’
মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থল সীমান্ত রয়েছে। হাতেগোনা কিছু রোহিঙ্গা দেশটিতে আগে প্রবেশ করলেও পুলিশ সদস্যদের এভাবে আশ্রয় চাওয়ার ঘটনা বিরল।
১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। এরপর শুরু হয় বিক্ষোভ। এখন পর্যন্ত সেখানে অর্ধশতাধিক বিক্ষোভকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
অভ্যুত্থানের পর ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। রাজধানী নেপিডোতে সেনাশাসন বিরোধী বিক্ষোভকালে গুলিতে আহত হন ২০ বছরের এক তরুণী। তিনি নেপিডোর একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
২০ ফেব্রুয়ারি একদিনে মারা যান দুজন। একটি শিপইয়ার্ডের কর্মীদের সেনাবিরোধী আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ গুলি চালালে ওই দুজন প্রাণ হারান।
এরপর ১ মার্চ একদিনে মারা যান ১৮ জন। ৩ মার্চ প্রাণ হারান আরও ৩৮ জন!