মিয়ানমারে আন্দোলনকারীদের হত্যার প্রতিবাদে কূটনীতিকদের বিদ্রোহ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৫ মার্চ, ২০২১ ১৫:১০
মিয়ানমারে গণতন্ত্রকামীদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে দেশটির সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছেন দেশটির কূটনীতিকরা।
শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, এমন পরিস্থিতিতে ঠিক বোঝা যাচ্ছে না ওয়াশিংটনে মিয়ানমার দূতাবাস দেশটির সামরিক সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছে কিনা।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূত প্রকাশ্যে বিশ্ববাসীকে সামরিক সরকারবিরোধী অবস্থান নেওয়ার আহ্বানের পর এবার ওয়াশিংটনে দেশটির দূতাবাস বেসামরিক লোকদের হত্যার প্রতিবাদে সামরিক সরকারকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ দেখানোর আহ্বান জানায়।
মিয়ানমারে গত বুধবার সেনাবিরোধী গণবিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে অন্তত ৩৮ জন নিহত হওয়ায় ওয়াশিংটনে দেশটির দূতাবাস এমন বার্তা দিলো।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনে মিয়ানমার দূতাবাসের এক কূটনীতিক পদত্যাগ করেছেন। সেখানকার অন্তত তিন কূটনীতিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বলেছেন, তারা সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন।
মিয়ানমারের মানবাধিকার-বিষয়ক জাতিসংঘের তদন্তকারী টমাস অ্যান্ড্রুস নিরাপত্তা পরিষদকে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ও সামরিক সরকারের ওপর অর্থনৈতিক আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
এক প্রতিবেদনে টমাস অ্যান্ড্রুস বলেছেন, বর্তমানে সেনা-নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমার ওয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজ’র ওপরও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবরোধ আরোপ করা উচিত। এই সংস্থাটিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আয়ের বৃহৎ উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এদিকে, সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের কয়েকদিন আগে দেশটির সেনাবাহিনী নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে প্রায় ১০০ কোটি ডলার সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণাৎ তা জব্দ করে নেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দেশটির সেনা-নিয়ন্ত্রিত ব্যবসাগুলোর লেনদেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের সেনাদের আর্থিকভাবে লাভবান করতে পারে এমন উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন স্থগিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বিগত বছরগুলোতে দেশটির নানা উন্নয়ন প্রকল্পে ইইউয়ের ২৪১ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ ছিল।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৫ মার্চ, ২০২১ ১৫:১০

মিয়ানমারে গণতন্ত্রকামীদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে দেশটির সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছেন দেশটির কূটনীতিকরা।
শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, এমন পরিস্থিতিতে ঠিক বোঝা যাচ্ছে না ওয়াশিংটনে মিয়ানমার দূতাবাস দেশটির সামরিক সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছে কিনা।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূত প্রকাশ্যে বিশ্ববাসীকে সামরিক সরকারবিরোধী অবস্থান নেওয়ার আহ্বানের পর এবার ওয়াশিংটনে দেশটির দূতাবাস বেসামরিক লোকদের হত্যার প্রতিবাদে সামরিক সরকারকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ দেখানোর আহ্বান জানায়।
মিয়ানমারে গত বুধবার সেনাবিরোধী গণবিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে অন্তত ৩৮ জন নিহত হওয়ায় ওয়াশিংটনে দেশটির দূতাবাস এমন বার্তা দিলো।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনে মিয়ানমার দূতাবাসের এক কূটনীতিক পদত্যাগ করেছেন। সেখানকার অন্তত তিন কূটনীতিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বলেছেন, তারা সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন।
মিয়ানমারের মানবাধিকার-বিষয়ক জাতিসংঘের তদন্তকারী টমাস অ্যান্ড্রুস নিরাপত্তা পরিষদকে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ও সামরিক সরকারের ওপর অর্থনৈতিক আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
এক প্রতিবেদনে টমাস অ্যান্ড্রুস বলেছেন, বর্তমানে সেনা-নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমার ওয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজ’র ওপরও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবরোধ আরোপ করা উচিত। এই সংস্থাটিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আয়ের বৃহৎ উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এদিকে, সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের কয়েকদিন আগে দেশটির সেনাবাহিনী নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে প্রায় ১০০ কোটি ডলার সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণাৎ তা জব্দ করে নেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দেশটির সেনা-নিয়ন্ত্রিত ব্যবসাগুলোর লেনদেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের সেনাদের আর্থিকভাবে লাভবান করতে পারে এমন উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন স্থগিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বিগত বছরগুলোতে দেশটির নানা উন্নয়ন প্রকল্পে ইইউয়ের ২৪১ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ ছিল।