প্রেমিকা হত্যার অভিযোগে ইরানে তরুণের মৃত্যুদণ্ড, বিশ্বব্যাপী নিন্দা
অনলাইন ডেস্ক | ২৫ নভেম্বর, ২০২১ ১৮:২১
প্রেমিকাকে হত্যার অভিযোগে ইরানের রাজধানী তেহরানে বুধবার এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো ইরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগ করেছে। কারণ ওই যুবকের বিরুদ্ধে যে সময়ে বান্ধবীকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল তখন তার বয়স ছিল ১৮ বছরের নীচে। আন্তর্জাতিক আইনে নাবালকদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া নিষিদ্ধ।
মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাহার করার জন্য আন্তর্জাতিক আবেদন সত্ত্বেও ইরানের রাজধানীর কাছে রাজাই শাহর কারাগারে আরমান আবদোলালি নামের ওই যুবকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ২৫ বছর। ২০১৪ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরের বছর বান্ধবী গাজালেহ শাকৌরকে হত্যার জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
ইরানের বিচার বিভাগের মিজান অনলাইন ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তার মৃত্যুদণ্ড তার নিহত প্রেমিকার পরিবারের দাবি করা ‘কেসাস’ বা ‘চোখের বদলে চোখ এবং প্রাণের বদলে প্রাণ’ এর ইসলামি ন্যায় বিচারের নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গত ১১ অক্টোবর ইরানের কাছে আবদোলালির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাহার করার জন্য আবেদন জানিয়েছিল।
লন্ডন ভিত্তিক এই মানবাধিকার সংস্থা বলেছে যে, তাকে দুবার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তবে উভয়বারই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা বন্ধ করা হয়েছিল।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অভিযোগ করে যে, আরমান আবদোলালির ওপর অত্যাচার চালিয়ে অপরাধের ‘স্বীকারোক্তি’ আদায় করা হয়েছিল। আর সেই স্বীকারোক্তি ওপর ভিত্তি করেই তাকে মৃত্যদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অ্যামনেস্টি এই রায়কে পক্ষপাতদুষ্ট এবং অন্যায় রায় বলে আখ্যায়িত করেছে।
ইরানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনা পর্যবেক্ষণকারী নরওয়ের অসলো-ভিত্তিক এনজিও ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) এর প্রধান মাহমুদ আমিরি মোগাদ্দাম, এই মৃত্যুদণ্ডকে একটি ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ’১৮ বছরের কম বয়সে সংঘটিত একটি কথিত অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। আরমানকে নির্যাতনের অধীনে নেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে এবং সুষ্ঠু বিচার ও যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে’।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৫ নভেম্বর, ২০২১ ১৮:২১

প্রেমিকাকে হত্যার অভিযোগে ইরানের রাজধানী তেহরানে বুধবার এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো ইরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগ করেছে। কারণ ওই যুবকের বিরুদ্ধে যে সময়ে বান্ধবীকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল তখন তার বয়স ছিল ১৮ বছরের নীচে। আন্তর্জাতিক আইনে নাবালকদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া নিষিদ্ধ।
মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাহার করার জন্য আন্তর্জাতিক আবেদন সত্ত্বেও ইরানের রাজধানীর কাছে রাজাই শাহর কারাগারে আরমান আবদোলালি নামের ওই যুবকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ২৫ বছর। ২০১৪ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরের বছর বান্ধবী গাজালেহ শাকৌরকে হত্যার জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
ইরানের বিচার বিভাগের মিজান অনলাইন ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তার মৃত্যুদণ্ড তার নিহত প্রেমিকার পরিবারের দাবি করা ‘কেসাস’ বা ‘চোখের বদলে চোখ এবং প্রাণের বদলে প্রাণ’ এর ইসলামি ন্যায় বিচারের নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গত ১১ অক্টোবর ইরানের কাছে আবদোলালির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাহার করার জন্য আবেদন জানিয়েছিল।
লন্ডন ভিত্তিক এই মানবাধিকার সংস্থা বলেছে যে, তাকে দুবার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তবে উভয়বারই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা বন্ধ করা হয়েছিল।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অভিযোগ করে যে, আরমান আবদোলালির ওপর অত্যাচার চালিয়ে অপরাধের ‘স্বীকারোক্তি’ আদায় করা হয়েছিল। আর সেই স্বীকারোক্তি ওপর ভিত্তি করেই তাকে মৃত্যদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অ্যামনেস্টি এই রায়কে পক্ষপাতদুষ্ট এবং অন্যায় রায় বলে আখ্যায়িত করেছে।
ইরানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনা পর্যবেক্ষণকারী নরওয়ের অসলো-ভিত্তিক এনজিও ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) এর প্রধান মাহমুদ আমিরি মোগাদ্দাম, এই মৃত্যুদণ্ডকে একটি ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ’১৮ বছরের কম বয়সে সংঘটিত একটি কথিত অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। আরমানকে নির্যাতনের অধীনে নেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে এবং সুষ্ঠু বিচার ও যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে’।