রানি ভিক্টোরিয়ার জন্মদিন আজ
অনলাইন ডেস্ক | ২৪ মে, ২০২২ ০৯:২০
রানি ভিক্টোরিয়ার জন্মদিন আজ। ১৮১৯ সালের এই দিনে লন্ডনের কেনসিংটন প্রাসাদে তার জন্ম হয়। পুরো নাম আলেকজান্দ্রিনা ভিক্টোরিয়া, মা ডাকতেন দ্রিনা বলে। তিনি ছিলেন ডিউক অব কেন্ট অ্যাডওয়ার্ডের একমাত্র সন্তান। ছোট থেকেই জার্মান এবং ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন ভিক্টোরিয়া।
রানির মুকুট মাথায় দেওয়ার পর ভিক্টোরিয়ার প্রথম নির্দেশ ছিল- এক ঘণ্টা একা থাকতে দাও। ১৮৩৭ সালের জুনে রাজা চতুর্থ উইলিয়াম মারা যাওয়ার পর খুব সকালে ভিক্টোরিয়াকে বলা হয় তিনি এখন ব্রিটেনের রানি।
ভিক্টোরিয়ার শপথগ্রহণের দুবছর পর ১৮৩৯ সালে মামাতো ভাই অ্যালবার্ট ব্রিটেনে যান। ১৮৪০ সালে তারা বিয়ে করেন। মোট নয় ছেলেমেয়ের জন্ম হয়েছিল তাদের ঘরে। ১৮৫৪ থেকে ১৮৫৬ সময়কালে রাশিয়া ও তার তুর্কি মিত্রদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ব্রিটেন ও ফ্রান্স। রানি ভিক্টোরিয়া সৈন্যদের শীত থেকে বাঁচাতে মোজাসহ নানা সাহায্য উপকরণ পাঠান। তিনি যুদ্ধে স্বামী হারানো নারীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েও চিঠি লেখেন। এ ছাড়া সৈন্যদের সম্মানিত করতে পদক চালু করেন।
ভারতে ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহে বহু ইউরোপিয়ান মারা যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ সরকার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে সরাসরি ভারতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। ১৮৭৭ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রয়েল টাইটেল অ্যাক্ট পাসের মাধ্যমে ভারতের সম্রাজ্ঞী হন রানি ভিক্টোরিয়া। রানি ভারতকে মুকুটের মণি বা রত্ন হিসেবে উল্লেখ করেন। ১৯০১ সালে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে রানি ভিক্টোরিয়া মারা যান।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৪ মে, ২০২২ ০৯:২০

রানি ভিক্টোরিয়ার জন্মদিন আজ। ১৮১৯ সালের এই দিনে লন্ডনের কেনসিংটন প্রাসাদে তার জন্ম হয়। পুরো নাম আলেকজান্দ্রিনা ভিক্টোরিয়া, মা ডাকতেন দ্রিনা বলে। তিনি ছিলেন ডিউক অব কেন্ট অ্যাডওয়ার্ডের একমাত্র সন্তান। ছোট থেকেই জার্মান এবং ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন ভিক্টোরিয়া।
রানির মুকুট মাথায় দেওয়ার পর ভিক্টোরিয়ার প্রথম নির্দেশ ছিল- এক ঘণ্টা একা থাকতে দাও। ১৮৩৭ সালের জুনে রাজা চতুর্থ উইলিয়াম মারা যাওয়ার পর খুব সকালে ভিক্টোরিয়াকে বলা হয় তিনি এখন ব্রিটেনের রানি।
ভিক্টোরিয়ার শপথগ্রহণের দুবছর পর ১৮৩৯ সালে মামাতো ভাই অ্যালবার্ট ব্রিটেনে যান। ১৮৪০ সালে তারা বিয়ে করেন। মোট নয় ছেলেমেয়ের জন্ম হয়েছিল তাদের ঘরে। ১৮৫৪ থেকে ১৮৫৬ সময়কালে রাশিয়া ও তার তুর্কি মিত্রদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ব্রিটেন ও ফ্রান্স। রানি ভিক্টোরিয়া সৈন্যদের শীত থেকে বাঁচাতে মোজাসহ নানা সাহায্য উপকরণ পাঠান। তিনি যুদ্ধে স্বামী হারানো নারীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েও চিঠি লেখেন। এ ছাড়া সৈন্যদের সম্মানিত করতে পদক চালু করেন।
ভারতে ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহে বহু ইউরোপিয়ান মারা যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ সরকার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে সরাসরি ভারতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। ১৮৭৭ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রয়েল টাইটেল অ্যাক্ট পাসের মাধ্যমে ভারতের সম্রাজ্ঞী হন রানি ভিক্টোরিয়া। রানি ভারতকে মুকুটের মণি বা রত্ন হিসেবে উল্লেখ করেন। ১৯০১ সালে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে রানি ভিক্টোরিয়া মারা যান।