দক্ষিণ কোরিয়ায় মূদ্রাস্ফীতির রেকর্ড
অনলাইন ডেস্ক | ৬ জুলাই, ২০২২ ১৭:৫০
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্ববাজারে জ্বালানিও খাদ্যশস্যের দাম বাড়ায় বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে। তারই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ কোরিয়ায় কয়েক মাস ধরে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েই চলছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির পরিসংখ্যান সংস্থার অনুমান, আগামী মাসে মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। গত জুন মাসে মূল্য বৃদ্ধির চার-পঞ্চমাংশেরও বেশির জন্য দায়ী ছিল শিল্প পণ্যও পরিষেবার দাম।
দেশটিতে পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম বছরে ৩৯.৬ শতাংশ বেড়েছে, যা ২৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বিশেষ করে, ডিজেলের দাম ৫০.৭ শতাংশ, পেট্রল ৩১.৪ শতাংশ, কেরোসিন ৭২.১ শতাংশ এবং গাড়ির জন্য তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বেড়েছে ২৯.১ শতাংশ। দক্ষিণ কোরিয়া তার জ্বালানি চাহিদার জন্য মূলত আমদানির ওপর নির্ভরশীল।
মহামারি করোনার প্রভাবে বিশ্বব্যাপী আর্থ-সামাজিক সংকটের মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাড়ছে মূল্যস্ফীতির হার। জ্বালানি ও খাদ্যশস্যের ক্রমবর্ধমান দামের কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে নিম্ন আয় থেকে শুরু করে উচ্চ আয়ের দেশেও। এরই মধ্যে কোরিয়াতে মুদ্রাস্ফীতির কারণে বিপর্যয় নেমে এসেছে।
এছাড়া বিদ্যুৎ ও প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতির উদ্বেগ সত্ত্বেও দক্ষিণ কোরিয়া সরকার তৃতীয় ত্রৈমাসিকে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে রাষ্ট্রীয় বিদ্যুত সংস্থাটি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
ব্যাংক অব কোরিয়া (বিওকে) মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে পূর্বাভাস দিয়ে বলেছে, ‘মৌসুমি বৃষ্টিপাত এবং অন্যান্য কারণে কৃষি পণ্য, গবাদি পশু এবং মৎস্য সম্পদের দাম ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে পারে’।
বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশে দেশে জীবনযাত্রার সংকট গভীর হচ্ছে। বিশেষ করে করোনার প্রভাব কাটাতে না কাটাতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ায় বিশ্ববাজারে খাদ্য, জ্বালানিসহ পণ্যসামগ্রীর দাম ও জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ায় মূল্যস্ফীতি বাড়ছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাস, তেল ও খাদ্য শস্যের দাম বেড়েছে। এতে আমদানিনির্ভর দেশগুলোই বেশি বেকায়দায় পড়েছে। তাদের ওপর উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ পড়ছে। এ জন্য ভোক্তাদের খরচ কমাতে হচ্ছে। এ অবস্থায় নীতি নির্ধারকদের ওপর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চাপ বাড়ছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৬ জুলাই, ২০২২ ১৭:৫০

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্ববাজারে জ্বালানিও খাদ্যশস্যের দাম বাড়ায় বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে। তারই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ কোরিয়ায় কয়েক মাস ধরে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েই চলছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির পরিসংখ্যান সংস্থার অনুমান, আগামী মাসে মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। গত জুন মাসে মূল্য বৃদ্ধির চার-পঞ্চমাংশেরও বেশির জন্য দায়ী ছিল শিল্প পণ্যও পরিষেবার দাম।
দেশটিতে পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম বছরে ৩৯.৬ শতাংশ বেড়েছে, যা ২৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বিশেষ করে, ডিজেলের দাম ৫০.৭ শতাংশ, পেট্রল ৩১.৪ শতাংশ, কেরোসিন ৭২.১ শতাংশ এবং গাড়ির জন্য তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বেড়েছে ২৯.১ শতাংশ। দক্ষিণ কোরিয়া তার জ্বালানি চাহিদার জন্য মূলত আমদানির ওপর নির্ভরশীল।
মহামারি করোনার প্রভাবে বিশ্বব্যাপী আর্থ-সামাজিক সংকটের মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাড়ছে মূল্যস্ফীতির হার। জ্বালানি ও খাদ্যশস্যের ক্রমবর্ধমান দামের কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে নিম্ন আয় থেকে শুরু করে উচ্চ আয়ের দেশেও। এরই মধ্যে কোরিয়াতে মুদ্রাস্ফীতির কারণে বিপর্যয় নেমে এসেছে।
এছাড়া বিদ্যুৎ ও প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতির উদ্বেগ সত্ত্বেও দক্ষিণ কোরিয়া সরকার তৃতীয় ত্রৈমাসিকে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে রাষ্ট্রীয় বিদ্যুত সংস্থাটি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
ব্যাংক অব কোরিয়া (বিওকে) মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে পূর্বাভাস দিয়ে বলেছে, ‘মৌসুমি বৃষ্টিপাত এবং অন্যান্য কারণে কৃষি পণ্য, গবাদি পশু এবং মৎস্য সম্পদের দাম ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে পারে’।
বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশে দেশে জীবনযাত্রার সংকট গভীর হচ্ছে। বিশেষ করে করোনার প্রভাব কাটাতে না কাটাতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ায় বিশ্ববাজারে খাদ্য, জ্বালানিসহ পণ্যসামগ্রীর দাম ও জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ায় মূল্যস্ফীতি বাড়ছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাস, তেল ও খাদ্য শস্যের দাম বেড়েছে। এতে আমদানিনির্ভর দেশগুলোই বেশি বেকায়দায় পড়েছে। তাদের ওপর উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ পড়ছে। এ জন্য ভোক্তাদের খরচ কমাতে হচ্ছে। এ অবস্থায় নীতি নির্ধারকদের ওপর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চাপ বাড়ছে।