চীনের ‘হুমকি’ প্রসঙ্গে সতর্ক করলো মার্কিন ও ব্রিটিশ গোয়েন্দা প্রধান
অনলাইন ডেস্ক | ৭ জুলাই, ২০২২ ১২:০০
সংবাদ সম্মেলনে এমআই ফাইভ ও এফবিআই প্রধান
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম দুই গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানেরা চীনের হুমকি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
বিবিসি জানায়, লন্ডনের টেমস হাউসে এমআই ফাইভ-এর সদর দপ্তরে বুধবার হাজির হন যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই-এর কর্মকর্তারা। সেখানে দুই সংস্থার ডিরেক্টর প্রথমবার প্রকাশ্যে একসঙ্গে হাজির হন।
সাম্প্রতিক কালে বিশ্বের দুই প্রথম সারির গোয়েন্দা সংস্থা এমআই ফাইভ ও এফবিআই প্রধানদের এমন যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন ‘নজিরবিহীন’।
এফবিআই ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার রে বলেন, চীন ‘আমাদের অর্থনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় দীর্ঘমেয়াদি হুমকি’ এবং সাম্প্রতিক নির্বাচনসহ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেছে। এখন বিষয়টি আমরা দুই দেশ মিলে ইউরোপ এবং অন্য মিত্র দেশগুলোকে বোঝানোর চেষ্টা করছি।’
অন্যদিকে এমআই ফাইভ প্রধান কেন ম্যাককালাম জানান, তার সংস্থা গত তিন বছরে চীনা কার্যকলাপের বিরুদ্ধে দ্বিগুণেরও বেশি কাজ করেছে এবং এটি আবার দ্বিগুণ করা হবে।
এমআই ফাইভ এখন ২০১৮ সালের তুলনায় চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কার্যকলাপ সম্পর্কে সাতগুণ বেশি তদন্ত চালাচ্ছে বলেও তিনি যোগ করেন।
এফবিআই-এর ওয়ে সতর্ক করে জানান, চীন যদি জোরপূর্বক তাইওয়ান দখলে নেয়, তবে এটি ‘বিশ্বে সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যবসায়িক বাধাগুলোর একটি’ হয়ে উঠবে।
এ সময় সম্ভাব্য প্রযুক্তি নিয়ে সতর্ক করেন এফবিআই প্রধান। তার কথায়, আমরা চীনের জনগণকে নিশানা করতে চাই না। তারা নিজেরাই নানা অনিয়ম এবং নিপীড়নের শিকার।
আমেরিকা এবং ইউরোপের শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলোকে চীনের সঙ্গে ব্যবসা করার ‘ঝুঁকি’ সম্পর্কে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘যে কোনো সময় আপনাদের প্রযুক্তি চুরি হতে পারে।’
এ যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে ব্রিটিশ গোয়েন্দা প্রধান অভিযোগ করেন, কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত একদলীয় চীনের শাসকেরা আমেরিকা ও ইউরোপের গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং মুক্ত সংবাদমাধ্যমের সুযোগ নিয়ে অনৈতিকভাবে নিজেদের স্বার্থরক্ষা করতে তৎপর।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৭ জুলাই, ২০২২ ১২:০০

যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম দুই গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানেরা চীনের হুমকি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
বিবিসি জানায়, লন্ডনের টেমস হাউসে এমআই ফাইভ-এর সদর দপ্তরে বুধবার হাজির হন যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই-এর কর্মকর্তারা। সেখানে দুই সংস্থার ডিরেক্টর প্রথমবার প্রকাশ্যে একসঙ্গে হাজির হন।
সাম্প্রতিক কালে বিশ্বের দুই প্রথম সারির গোয়েন্দা সংস্থা এমআই ফাইভ ও এফবিআই প্রধানদের এমন যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন ‘নজিরবিহীন’।
এফবিআই ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার রে বলেন, চীন ‘আমাদের অর্থনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় দীর্ঘমেয়াদি হুমকি’ এবং সাম্প্রতিক নির্বাচনসহ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেছে। এখন বিষয়টি আমরা দুই দেশ মিলে ইউরোপ এবং অন্য মিত্র দেশগুলোকে বোঝানোর চেষ্টা করছি।’
অন্যদিকে এমআই ফাইভ প্রধান কেন ম্যাককালাম জানান, তার সংস্থা গত তিন বছরে চীনা কার্যকলাপের বিরুদ্ধে দ্বিগুণেরও বেশি কাজ করেছে এবং এটি আবার দ্বিগুণ করা হবে।
এমআই ফাইভ এখন ২০১৮ সালের তুলনায় চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কার্যকলাপ সম্পর্কে সাতগুণ বেশি তদন্ত চালাচ্ছে বলেও তিনি যোগ করেন।
এফবিআই-এর ওয়ে সতর্ক করে জানান, চীন যদি জোরপূর্বক তাইওয়ান দখলে নেয়, তবে এটি ‘বিশ্বে সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যবসায়িক বাধাগুলোর একটি’ হয়ে উঠবে।
এ সময় সম্ভাব্য প্রযুক্তি নিয়ে সতর্ক করেন এফবিআই প্রধান। তার কথায়, আমরা চীনের জনগণকে নিশানা করতে চাই না। তারা নিজেরাই নানা অনিয়ম এবং নিপীড়নের শিকার।
আমেরিকা এবং ইউরোপের শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলোকে চীনের সঙ্গে ব্যবসা করার ‘ঝুঁকি’ সম্পর্কে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘যে কোনো সময় আপনাদের প্রযুক্তি চুরি হতে পারে।’
এ যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে ব্রিটিশ গোয়েন্দা প্রধান অভিযোগ করেন, কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত একদলীয় চীনের শাসকেরা আমেরিকা ও ইউরোপের গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং মুক্ত সংবাদমাধ্যমের সুযোগ নিয়ে অনৈতিকভাবে নিজেদের স্বার্থরক্ষা করতে তৎপর।