আফগানিস্তানে নিঃশর্ত ক্ষমা পাচ্ছে সাবেক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা
অনলাইন ডেস্ক | ৭ জুলাই, ২০২২ ১৩:২৪
ব্যাপক দুর্নীতির জন্য দায়ী সাবেক কর্মকর্তাদের দায়ী করবে না বলে জানিয়েছে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। খবর ভয়েস অব আমেরিকা।
তালিবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, ‘যারা আগের আগ্রাসনের সময় আমেরিকান ব্যবস্থা থেকে নিজেদের লালন-পালন ও সমৃদ্ধ করেছিল, সেই সব সম্পত্তি ও সম্পদের মালিকানা তাদেরই থাকবে।’
তিনি বলেন, শুধু গত দুই দশকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বা সরকারি সম্পত্তি দখল করেছেন এমন দুর্নীতির জন্য সন্দেহভাজন সাবেক কর্মকর্তারা আদালতের মুখোমুখি হবেন।
দুর্নীতির মাধ্যমে বিগত আফগান সরকারের কিছু কর্মকর্তার অর্জিত সম্পত্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে মুজাহিদ বলেন, ‘যারা আগের ব্যবস্থার অপব্যবহার করেছে’ তাদের আইনি জবাবদিহির সম্মুখীন হবে না এবং তারা সম্পদ রাখতে পারবে।
২০০২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন প্রকল্পে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি ডলারের বেশি ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো দাতারা একই উদ্দেশ্যে হাজার হাজার কোটি ডলার দিয়েছে।
এ বিষয়ে আফগান-আমেরিকান বিশ্লেষক ওয়াহেদ ফকিরি বলেছেন, ‘দুর্নীতি প্রজাতন্ত্রটির অসম্মানজনক পতনের একটি প্রধান কারণ ছিল। এটি পুরো ব্যবস্থাকেই ক্ষুণ্ন করেছে। বিশেষ করে প্রজাতন্ত্রের বৈধতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। এ ছাড়া দুর্নীতি তালিবানকে শক্তিশালী করেছে। তালিবানের প্রচারকে কার্যকর ও বাস্তব করে তুলেছে।’
তবে আফগানিস্তানের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হালিম ফিদাই বলেন, দুর্নীতি একটি কারণ, কিন্তু ইসলামিক রিপাবলিক অফ আফগানিস্তানের পতনের অন্তর্নিহিত কারণ নয়।
ফিদাই বলেন, ‘দুর্নীতি তুলে ধরার লক্ষ্য হলো, যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের ভুল কাজ থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়া। তালিবান বিদ্রোহীরাও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। কারণ তারা কর আরোপ করেছিল এবং উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অর্থ আদায় করেছিল।’
ফিদাই বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় ত্রুটিপূর্ণ ছিল এবং এমনকি তা আফগানিস্তানে দুর্নীতিতে ইন্ধন জুগিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রথম দিকে দুর্নীতির মাত্রা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে, ক্ষমতাপ্রাপ্ত যুদ্ধবাজ এবং অন্যান্য দুর্নীতিবাজ নায়কেরা, অতি তাড়াতাড়ি এত টাকা ঢেলে দিয়েছে যে এটি হজম করা সম্ভব হয়নি।"
প্রায় এক বছর ক্ষমতায় থাকার পরও তালিবান দুর্নীতি দমনে কোনো নীতি ঘোষণা করেনি বা এ জন্য কোনো সরকারি সংস্থা নিয়োগ করেনি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৭ জুলাই, ২০২২ ১৩:২৪

ব্যাপক দুর্নীতির জন্য দায়ী সাবেক কর্মকর্তাদের দায়ী করবে না বলে জানিয়েছে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। খবর ভয়েস অব আমেরিকা।
তালিবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, ‘যারা আগের আগ্রাসনের সময় আমেরিকান ব্যবস্থা থেকে নিজেদের লালন-পালন ও সমৃদ্ধ করেছিল, সেই সব সম্পত্তি ও সম্পদের মালিকানা তাদেরই থাকবে।’
তিনি বলেন, শুধু গত দুই দশকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বা সরকারি সম্পত্তি দখল করেছেন এমন দুর্নীতির জন্য সন্দেহভাজন সাবেক কর্মকর্তারা আদালতের মুখোমুখি হবেন।
দুর্নীতির মাধ্যমে বিগত আফগান সরকারের কিছু কর্মকর্তার অর্জিত সম্পত্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে মুজাহিদ বলেন, ‘যারা আগের ব্যবস্থার অপব্যবহার করেছে’ তাদের আইনি জবাবদিহির সম্মুখীন হবে না এবং তারা সম্পদ রাখতে পারবে।
২০০২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন প্রকল্পে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি ডলারের বেশি ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো দাতারা একই উদ্দেশ্যে হাজার হাজার কোটি ডলার দিয়েছে।
এ বিষয়ে আফগান-আমেরিকান বিশ্লেষক ওয়াহেদ ফকিরি বলেছেন, ‘দুর্নীতি প্রজাতন্ত্রটির অসম্মানজনক পতনের একটি প্রধান কারণ ছিল। এটি পুরো ব্যবস্থাকেই ক্ষুণ্ন করেছে। বিশেষ করে প্রজাতন্ত্রের বৈধতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। এ ছাড়া দুর্নীতি তালিবানকে শক্তিশালী করেছে। তালিবানের প্রচারকে কার্যকর ও বাস্তব করে তুলেছে।’
তবে আফগানিস্তানের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হালিম ফিদাই বলেন, দুর্নীতি একটি কারণ, কিন্তু ইসলামিক রিপাবলিক অফ আফগানিস্তানের পতনের অন্তর্নিহিত কারণ নয়।
ফিদাই বলেন, ‘দুর্নীতি তুলে ধরার লক্ষ্য হলো, যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের ভুল কাজ থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়া। তালিবান বিদ্রোহীরাও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। কারণ তারা কর আরোপ করেছিল এবং উন্নয়ন প্রকল্প থেকে অর্থ আদায় করেছিল।’
ফিদাই বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় ত্রুটিপূর্ণ ছিল এবং এমনকি তা আফগানিস্তানে দুর্নীতিতে ইন্ধন জুগিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রথম দিকে দুর্নীতির মাত্রা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে, ক্ষমতাপ্রাপ্ত যুদ্ধবাজ এবং অন্যান্য দুর্নীতিবাজ নায়কেরা, অতি তাড়াতাড়ি এত টাকা ঢেলে দিয়েছে যে এটি হজম করা সম্ভব হয়নি।"
প্রায় এক বছর ক্ষমতায় থাকার পরও তালিবান দুর্নীতি দমনে কোনো নীতি ঘোষণা করেনি বা এ জন্য কোনো সরকারি সংস্থা নিয়োগ করেনি।