
পবিত্র রমজান মাসে কেউ একবারের বেশি ওমরাহ পালন করতে পারবে না বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। গতকাল রবিবার (২৬ মার্চ) সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যারা হজ করতে চান তাদের নুসুক অ্যাপ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। নির্ধারিত সময়কে গুরুত্ব দিতে হবে। তবে ওমরাহর তারিখ পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। তাই অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ডিলিট করে নতুন করে অনুমোদন নেওয়া যাবে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, অ্যাপয়েন্টমেন্টগুলো পর্যায়ক্রমে আপডেট করা হয়। কেউ যদি কাঙ্ক্ষিত আসন খালি না পান তাহলে পরবর্তী তারিখের জন্য অনুসন্ধান করতে পারবেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সম্ভাবনাকে ক্ষুন্ন না করার আহ্বান জানিয়েছেন। সৌদি আরবে শান্তি প্রচেষ্টা স্বাভাবিককরণ সংশ্লিষ্ট আলোচনার পর তিনি এমন আহ্বান জানালেন। খবর এএফপির।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, সৌদি আরব সফর শেষ করার পর ব্লিঙ্কেন এই অঞ্চলের দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের সম্পর্ক আরো গভীর করার বিষয়ে আলোচনা করতে নেতানিয়াহুর সাথে টেলিফোনে কথা বলেন।
এদিকে ব্লিঙ্কেন উপসাগরীয় এ দেশ সফর করায় বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন তার কঠোর সমালোচনা করে। এ বছরের শুরুতে জর্ডান এবং মিশরে আলোচনার কথা উল্লেখ করে মিলার বলেন, ব্লিঙ্কেন দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে দুর্বল করে এমন পদক্ষেপগুলো এড়াতে আকাবা এবং আরম আল-শেখের আঞ্চলিক বৈঠকের প্রতিশ্রুতিগুলো বজায় রাখার প্রয়োজনীয় নিয়ে আলোচনা করেন। ওই দুই বৈঠকে ইসরায়েল, ফিলিস্তিন ও মার্কিন কর্মকর্তারা একত্রিত হয়েছিলেন।
এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রপন্থী ইসরাইলের প্রধান মানবাধিকার গ্রুপের সামনে এক বক্তৃতায় ব্লিঙ্কেন বলেন, সৌদি আরব কর্তৃক ইহুদি এ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি অর্জনে তিনি কাজ করবেন।
বৃহস্পতিবার ব্লিঙ্কেনের সাথে কথা বলার সময় প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেছিলেন যে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ হচ্ছে এ অঞ্চলের স্বার্থে এবং তা সকলের জন্য উল্লেখযোগ্য সুবিধা বয়ে আনবে।
তিনি বলেন, কিন্তু ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য শান্তির পথ খুঁজে বের করা ছাড়া এবং এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা না করে যে কোন স্বাভাবিককরণ তেমন সুবিধা বয়ে আনবে না। অতএব, আমি মনে করি ফিলিস্তিনিদের মর্যাদা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের একটি উপায় বের করার জন্য আমাদের একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের ব্যাপারে কোন পথ খোঁজার বিষয়ে মনোনিবেশ করা উচিত হবে।
সূত্র: বাসস
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের যুদ্ধক্ষেত্র বরাবর প্রচণ্ড লড়াইয়ের খবর জানিয়েছে রাশিয়া। এদিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট পুতিন কিয়েভের পাল্টা এ আক্রমণ শুরু হওয়ার কথা জানিয়ে তা ব্যর্থ হওয়ার দাবি করেছেন।
প্রথমবারের মতো মার্কিন এবং জার্মান সামরিক অস্ত্র দেখার বর্ণনা দিয়েছে রুশ ব্লগাররা। এ থেকে আভাস পাওয়া যায় যে, ইউক্রেন তার বহু প্রত্যাশিত পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে।
শুক্রবার (৯ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তবে পাল্টা আক্রমণ চালানোর সামরিক এই পদক্ষেপের বিষয়ে একেবারেই নিরব রয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তিনি ‘প্রচন্ড’ যুদ্ধ এবং ‘তীব্র লড়াইয়ের কথা বলেছেন। তবে এ সময় পাল্টা আক্রমণের বিষয়ে উল্লেখ করার মতো মন্তব্য করার সময় এখনও আসেনি বলে আভাস দেন।
এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও এদিন রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ শুরু করার কথা জানিয়েছেন। তবে এ আক্রমণ সফল হয়নি বলে দাবি তার।
সোচিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়েছে। এতে কৌশলগত বাহিনীর ব্যবহারই তার প্রমাণ। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী কোনো ক্ষেত্রেই লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। রুশ সেনাদের সাহস এবং যথাযথ কর্মপন্থার জন্য ধন্যবাদ।’
অন্যদিকে ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা দাবি করেছে যে, তারা এমন একটি টেলিফোন কল আটকে দিয়েছে , যেটি প্রমাণ করে যে রাশিয়ার একটি নাশকতাকারী দল কাখোভকা বাঁধ বিস্ফোরণের জন্য দায়ী। তারা টেলিগ্রামে কথিত ওই কলের একটি অডিও ক্লিপ পোস্ট করেছে।
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে একটি কার ওয়াশ কেন্দ্রে ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত পাঁচ ইসরায়েলিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এ সম্প্রদায়ের ওপর এটি হচ্ছে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা। বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) পুলিশ এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি ও দ্য গার্ডিয়ানের।
খবরে বলা হয়, চলতি বছর এ ধরনের বন্দুক হামলার ঘটনায় নিহত আরব ইসরায়েলিদের সংখ্যা বেড়ে ৯৬ জনে দাঁড়াল। এ হামলার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত সম্প্রদায়টির ক্রমবর্ধমান অপরাধমূলক কর্মকান্ড মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
পুলিশ জানায়, নাজারেথের ঠিক পশ্চিমে ইয়াফিয়া নামক একটি আরব গ্রামে এ ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। এক বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।
ঘটনাস্থল থেকে কথা বলার সময় পুলিশ মুখপাত্র এলি লেভি সরকারি সম্প্রচার কেন্দ্র কান’কে বলেন, ‘এক বা একাধিক ব্যক্তি’ ওই কার ওয়াশ কেন্দ্রে লোকজনের ওপর বেপরোয়া গুলি বর্ষণ করে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ আরব ইসরায়েলি। তারা ফিলিস্তিনিদের বংশধর। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল গঠনের পর তারা তাদের ভূমিতে থেকে যায়।
গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত সুদানের একটি এতিমখানা থেকে আটকে পরা ৩০০ শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকটি নবজাতকও রয়েছে। রেড ক্রসের ইন্টারন্যাশনাল কমিটি বৃহস্পতিবার (৮ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেল্যে।
প্রতিবদেনে বলা হয়েছে, সুদানের রাজধানী খার্তুমে প্রচন্ড লড়াই চলছিল। এতে একটি এতিমখানায় আটকে পরা ৩শ’টি শিশুকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে ত্রাণ সংস্থাগুলো। এদের মধ্যে বেশ কয়েকটি নবজাত এবং বড় শিশু রয়েছে। তাদের সঙ্গে ৭০জন সেবাকর্মীও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে রেড ক্রসের ইন্টারন্যাশনাল কমিটি (আইসিআরসি) জানিয়েছে, আল মায়কোমা এতিমখানা থেকে এই শিশুদেরকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে তাদের একটি দল।
এদের মধ্য থেকে ১ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের খার্তুমের দক্ষিণ-পূর্বে জাজিরা প্রদেশের রাজধানী মাদানিতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের দেখভালের জন্য ৭০ জন তত্ত্বাবধায়ক দেওয়া হয়েছে।
সুদানে আইসিআরসি প্রতিনিধি দলের প্রধান জিন-ক্রিস্টোফ স্যান্ডোজ বলেন, ‘তারা (শিশুরা) এমন একটি এলাকায় কঠিন মুহূর্ত কাটিয়েছে যেখানে গত ৬ সপ্তাহ ধরে সংঘাত চলছে।’
এদিকে জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফের মুখপাত্র রিকার্ডো পিরেস বলেন, ‘খার্তুমের আল মায়কোমা এতিমখানা থেকে কমপক্ষে ৩শ’ শিশুকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুদানের সামাজিক উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই শিশুদের দায়িত্ব নিয়েছে। তাদের চিকিৎসা সেবা, খাদ্য, শিক্ষামূলক কার্যক্রম এবং খেলাসহ মানবিক সহায়তা প্রদান করছে ইউনিসেফ।’
ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নিয়ে গত ১৫ এপ্রিল সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর (আরএসএফ )মধ্যে রাজধানী খার্তুমে সহিংস সংঘর্ষ শুরু হয়। তখন রাজধানীর এই এতিমখানাটিতে আটকা পড়ে ক্ষুধা এবং অসুস্থতায় মারা যায় ৭১টি শিশু।
পূর্ব ইউরোপীয় দেশ বেলারুশের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন সমর্থন ও সরকার বিরোধীদের দমনের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়।
লন্ডন বলেছে, নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অর্থায়নকারী মিত্র বেলারুশের রপ্তানিকে আঘাত করবে এবং রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর প্রচেষ্টাকে রোধ করবে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলো মস্কো ও এর পশ্চিম প্রতিবেশী মিনস্কের ওপর কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যুক্তরাজ্য এখন বেলারুশ থেকে সোনা, সিমেন্ট, কাঠ ও রাবার আমদানি নিষিদ্ধ করছে এবং রাসায়নিক ও জীবাণু অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার হতে পারে এমন পণ্য, প্রযুক্তি ও উপকরণের পাশাপাশি ব্যাংক নোট ও যন্ত্রপাতি রপ্তানি বন্ধ করছে।
বেলারুশিয়ান মিডিয়া সংস্থাগুলোকে ইন্টারনেটসহ যুক্তরাজ্যে প্রোপাগান্ডা ও বিভ্রান্তি ছড়াতে বাধা দেয়ার লক্ষ্যেও ব্রিটেন এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ব্যবস্থাগুলো সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি ও ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীদের অনুমোদিত রাশিয়ান আউটলেটগুলোর মতো বেলারুশিয়ান মিডিয়া সংস্থাগুলোর ওয়েবসাইটে ও অ্যাক্সেস সীমাবদ্ধ করবে।
পররাষ্ট্র সচিব জেমস ক্লিভারলি এক বিবৃতিতে বলেন, নতুন প্যাকেজটি ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে উপেক্ষা করে রাশিয়ান যুদ্ধের প্রচেষ্টাকে সহজতর করার ক্ষেত্রে লুকাশেঙ্কো ও তার প্রশাসনের উপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়াবে।
তিনি বলেন, ইউক্রেনের প্রতি যতদিন আমাদের সমর্থন লাগবে ততদিন পর্যন্ত তা দৃঢ়ভাবে অব্যাহত থাকবে এবং যুক্তরাজ্য পুতিনের যুদ্ধের সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করবে না।
বেলারুশ ১৯৯৪ সাল থেকে লুকাশেঙ্ক শাসিত। ২০২০ সালে ব্যাপক সরকার বিরোধী বিক্ষোভ দমনের জন্য লুকাশেঙ্কোর সরকারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য অন্যতম। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধে ভূমিকার জন্য গত বছর পশ্চিমা দেশগুলো বিভিন্ন নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
লুকাশেঙ্কো রাশিয়াকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর জন্য বেলারুশিয়ান অঞ্চল ও আকাশসীমা ব্যবহার করার পাশাপাশি মস্কোর বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও লজিস্টিক সহায়তা প্রদানের অনুমতি দিয়েছেন।
আগের ইনিংসের মতোই ব্যর্থ উসমান খাজা। পারেননি ডেভিড ওয়ার্নারও। প্রথম ইনিংসের দুই সেঞ্চুরিয়ানও ফিরে গেছেন। দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে তাই খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থায় নেই অস্ট্রেলিয়া। তবুও তৃতীয় দিন শেষে এগিয়ে আছে তারা।
ওভালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে ২৯৬ রানে আটকে দেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান করে অসিরা। এগিয়ে আছে ২৯৬ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিংয়ের শুরুটা ভালো করেছে ভারত। অস্ট্রেলিয়াকে চেপে ধরেছে তারা।
দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খাজা ফেরেন ২৪ রানের মধ্যেই। মারনাস লাবুশান ও স্টিভেন স্মিথের ৬২ রানের জুটি ভাঙেন রবীন্দ্র জাদেজা, পরে ট্রাভিস হেডকেও ফেরান এই স্পিনার। টেস্ট ক্যারিয়ারে অষ্টমবারের মতো স্মিথকে আউট করেছেন জাদেজা।
তৃতীয় দিন শেষে মারনাস লাবুশানের সঙ্গে অপরাজিত আছেন ক্যামেরুন গ্রিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া: ৪৬৯ ও ৪৪ ওভারে ১২৩/৪ (লাবুশেন ৪১*, স্মিথ ৩৪; জাদেজা ২/২৫, উমেশ ১/২১)ভারত ১ম ইনিংস: ৬৯.৪ ওভারে ২৯৬ (রাহানে ৮৯, শার্দূল ৫১, জাদেজা ৪৮; কামিন্স ৩/৮৩, গ্রিন ২/৪৪, বোল্যান্ড ২/৫৯)।
বাসায় তেলাপোকা মারার ওষুধ দেওয়ার পর বিষক্রিয়ায় মারা গেছে রাজধানীর বারিধারা এলাকার ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন তুষারের দুই ছেলে। তার মেয়ে এখনো অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। গত শনিবার ‘ডিসিএস অরগানাইজেন লিমিটেড’ নামের একটি পেস্ট কন্ট্রোল কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা বাসায় ওষুধ দিয়ে ছয় ঘণ্টা পরে ঢুকে ঘর পরিষ্কার করতে বলেছিলেন। পরিবারটি ৯ ঘণ্টা পরে বাসায় ঢুকে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়। এ সময় তাদের সবারই পেট খারাপ, বমির মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
ওই পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সেই পেস্ট কন্ট্রোল কোম্পানি পোকামাকড় নিধনের জন্য অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড ট্যাবলেট (গ্যাস ট্যাবলেট) ব্যবহার করেছিল, যেটা থেকে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়। সেই গ্যাসের বিষক্রিয়াতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠানের ৫ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে রাজধানীতে গত পাঁচ বছরে এই বিষক্রিয়ায় বেশ কয়েকজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চমাত্রার এই কীটনাশক বাসায় ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ বিভিন্নভাবে সাধারণ কীটনাশক হিসেবে দেদার বিক্রি হচ্ছে সারা দেশে।
সূত্র বলছে, রাজধানীসহ সারা দেশে কয়েক শতাধিক পেস্ট কন্ট্রোল প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব কোম্পানির প্রায় ৯৫ ভাগের কোনো অনুমোদন নেই। কৃষি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এসব দেখভাল করার কথা থাকলেও তারাও খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না।
পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান সেবা নিন প্ল্যাটফর্ম লি.-এর চেয়ারম্যান শামসুল আলম বলেন, দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো পেস্ট কন্ট্রোল প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। অধিক মুনাফার আশায় তারা এক ধরনের নিষিদ্ধ ট্যাবলেট ব্যবহার করে। আবার অনেকে লিকুইড কেমিক্যাল ব্যবহার করে। কিন্তু কোন মাত্রায় এসব ব্যবহার করতে হয় তার প্রশিক্ষণ নেই। সরকারের পক্ষ থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত।
রাজধানীর বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা যায় অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড ট্যাবলেট যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে। ফুটপাত থেকে শুরু করে দেয়াল লিখন ও অনলাইনের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে চটকদার বিজ্ঞাপন। অথচ চাষাবাদ ছাড়া অন্য কাজে যার ব্যবহার নিষিদ্ধ। বদ্ধ ঘরে এই ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করলে যে কারও বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মাইকিং করে এসব কীটনাশক বিক্রি করছিলেন কাঞ্চন মিয়া। এ ধরনের কীটনাশক বিক্রির অনুমতি তার আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের অনুমতি লাগে না। দশ বছর ধরে এই ব্যবসা করি। কেউ তো কিছু বলে না। কোথা থেকে এসব পণ্য সংগ্রহ করা হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেশিরভাগ পুরান ঢাকা থেকে সংগ্রহ করি। গাজীপুর সাভার থেকেও এসে দিয়ে যায়। এসব ব্যবহারে মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে তা জানেন না বলে জানান তিনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন কীটনাশক জাতীয় একপ্রকার ওষুধের জেনেটিক বা গ্রুপ নাম হলো অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড। বাজারে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড ট্যাবলেট আকারে ফসটক্সিন, সেলফস, কুইকফস, কুইকফিউম, ডেসিয়াগ্যাস এক্সটি ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়। অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড ট্যাবলেট গ্যাস ট্যাবলেট নামেও পরিচিত। বাতাসের সংস্পর্শে এসে জীবনবিনাশী ভয়াবহ টক্সিক গ্যাস ফসফিন উৎপাদন করে। এই ট্যাবলেট সাধারণত গুদামজাত শস্যের পোকা দমন, ধান ক্ষেতের পোকা দমন, কলাগাছের পোকা দমন ও ইঁদুর দমনে ব্যবহার হয়ে থাকে। গত এক দশকে দেশে এই বিষাক্ত কীটনাশক মানুষের বাসাবাড়িতে ব্যবহার বাড়ছে। দেশের বাজারে ট্যাবলেট আকারে সহজলভ্য। রাজধানীতে ছারপোকা দমনে প্রায় যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে এই ট্যাবলেট।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে বালাইনাশক গ্রহণ করলে সেটা দ্রুত ফুসফুসে শোষিত হয় এবং রক্তে মিশে যায়। যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ বালাইনাশক শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয় তাহলে নাক, গলা ও ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারের যে দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান রয়েছে এসব বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে কোন কোন কীটনাশক কোন মাত্রায় কোন কোন কীটপতঙ্গের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে সেটি নির্দিষ্ট করে নিশ্চিত করতে হবে। আমদানির সময়ও বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। অথবা দেশেই যদি তৈরি করতে হয় তাহলে যথাযথ কর্র্তৃপক্ষের লাইসেন্স নিয়ে উৎপাদন করতে হবে। এটির গুণগত মান থাকছে কি না তারও পরীক্ষা করতে হবে।
পরিবেশ গবেষক পাভেল পার্থ বলেন, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি ওই বাসায় পেস্ট কন্ট্রোল প্রতিষ্ঠানটি অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড ব্যবহার করেছে। যদিও আমরা এ বিষয়ে নিশ্চিত না। আমার মতে এটা আরও বেশি তদন্ত করা উচিত। সরকারের যে প্রতিষ্ঠান এসব বিক্রির অনুমোদন দেয় তাদের এই তদন্ত করে জানানো দরকার কী ধরনের কেমিক্যাল সেখানে ব্যবহার করা হয়েছিল। কারণ পেস্ট কন্ট্রোলের নামে কী ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় এটা জানাটা জরুরি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোন ধরনের কীটনাশক কীভাবে ব্যবহার করা হবে তার কোনো নীতিমালা নেই। কীটনাশকগুলো সাধারণ কৃষিজমিতে ব্যবহৃত হয়। ঢাকা শহরে এরকম বিষ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা উচিত। তাছাড়া রাস্তাঘাটে এসব জিনিস অহরহ বিক্রি হচ্ছে। এসবও তদন্তের আওতায় আনতে হবে।
আরও এক কর্মী গ্রেপ্তার : দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় টিটু মোল্লা নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি বালাইনাশক কোম্পানিটির কর্মকর্তা। গত সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ভাটারা থানার ওসি আবুল বাসার মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, ওই ঘটনায় করা মামলায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের মেয়ে অর্পিতা শাহরিয়ার কবির মুমুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাতে বনানীর বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রাতেই পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
শুক্রবার সকালে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বনানীর একটি বাসা থেকে অর্পিতা শাহরিয়ার কবির মুমুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়, যা ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। পরে রাতেই পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে স্ত্রী হারান শাহরিয়ার কবির।
নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এরপর দুপুরে বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে। এই বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
সরকারের গুরুত্বপূর্ণ তিন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এখানে মূলত আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে দেশের রাজনীতিতে যে উত্তাপ দেখা দিয়েছে তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আনিসুল হক গণমাধ্যমে বলেছেন, তাদের এ বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মূলত শ্রম আইন নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের শ্রম আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পরামর্শ ছিল। বৈঠকে সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একটি সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এ মাসেই জেনেভা যাওয়ার কথা রয়েছে।
পরে বেলা ১টা ১০ মিনিটে মার্কিন দূতাবাসে প্রবেশ করেন বিএনপি মহাসচিব। এরপর বেলা আড়াইটার দিকে তিনি দূতাবাস থেকে বের হন। রাতে মির্জা ফখরুল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সামনে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে তার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই নীতি দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়ক হবে আমরা মনে করি বলে রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রদূতকে আমি জানিয়েছি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া আওয়ামী লীগের অধীনে দেশে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। দেশের জনগণও তাই মনে করে। এ ছাড়া নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমাদের কোনো আলাপ হয়নি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সম্প্রতি আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছিলেন, “নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবেন।” তার এমন বক্তব্য নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠলে পরে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেয় আইন মন্ত্রণালয়। এরপর গতকাল মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কীভাবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দেশের সংবিধানে কী আছে তা-ও জানতে চেয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।’
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। কোনো ধরনের রাখঢাক ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করছেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আরও বেশি দৌড়ঝাঁপ শুরু করছেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের দূরত্ব এখন স্পষ্ট। আলোচনা আছে, সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পশ্চিমা এ দেশটি হঠাৎ আরও ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে এতদিন যুক্তরাষ্ট্রের মতপার্থক্য ছিল না। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করছে দেশটি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও এ নিয়ে কোনো দ্বিমত করেনি। এরই মধ্যে, ভিসানীতি ঘোষণা করে সরকারকে বড় চাপ দেওয়ার পূর্বাভাস দেয় যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি নিয়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপি একে অন্যকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে। তবে ভিসানীতি যে সরকারের ও আওয়ামী লীগের ওপরই বেশি চাপ তৈরি করেছে, সেটা ভেতরে-বাইরে আলোচনা আছে।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায় ও কূটনীতি-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র দেশ রূপান্তরকে জানিয়েছে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান পাল্টে নির্বাচনের স্বার্থে প্রয়োজনে সংবিধানের বাইরে যেতে হবে সরকারকে এমন প্রস্তাব দিতে চলেছে। ওই সূত্রগুলো দাবি করেছে, গত মাসের শেষের দিকে অথবা চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বাসভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পিটার হাস ওই বৈঠকে রাজনৈতিক সমঝোতায় না আসলে সব দলের অংশগ্রহণে জাতীয় সরকারের আদলে একটা কিছু করার বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন। তা না হলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে সংবিধানসম্মত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব করেন। এ প্রস্তাব সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও দেওয়া হয়েছে। আনিসুল হকের সঙ্গে শ্রম আইন নিয়েও দীর্ঘ আলাপ করেন এ রাষ্ট্রদূত।
আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা দেশ রূপান্তরকে বলেন, পিটার হাসের ওই প্রস্তাব নিয়ে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে গেলে তাতে বড় আপত্তি তোলা হয়। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা পাওয়া যাবে না এটা ধরেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরুর বার্তা দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। তারা স্বীকার করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ক্রমেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে। তবে নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের অসহযোগিতা করবে ধরে নিয়েই সরকারি দল আওয়ামী লীগ প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পিটার হাস সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গেও নির্ধারিত-অনির্ধারিত বৈঠক করা শুরু করেছেন। গত সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে পিটার হাসকে উদ্দেশ্য করে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, রাষ্ট্রদূতরা সীমা লঙ্ঘন করলে আইনি ব্যবস্থা নেবে সরকার।
আগামী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় হয়ে ওঠার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর এক সদস্য দেশ রূপান্তরকে বলেন, পিটার হাসের দৌড়ঝাঁপ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘নাহি ছাড়ি’ অবস্থান আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে।
সরকারের দুই মন্ত্রীও দেশ রূপান্তরের কাছে স্বীকার করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সরকারের বিপক্ষে যেতে শুরু করেছে। ‘অন্যায় হস্তক্ষেপ’ বেড়েছে পিটার হাসের।
আওয়ামী লীগের কূটনীতিসম্পৃক্ত এক নেতা বলেন, সরকার বিকল্প হিসেবে শক্তিশালী দেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করে চলেছে। বিকল্প দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠলে নির্বাচন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকে মাইনাস করে চলার এক ধরনের কৌশল গ্রহণ করা হবে। এ কৌশলে নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে গেলে যুক্তরাষ্ট্রর সঙ্গে সম্পর্ক ঝালাই করা হবে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর আরেক সদস্য দেশ রূপান্তরকে বলেন, ভিসানীতি মূলত সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। অনেকেই ভিসানীতিকে সব গেল বলে ধরে নিয়ে অবস্থান টলমলে করে তুলতে চায়। এরকম অবস্থা আওয়ামী লীগকে একটু চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। দলের নেতাকর্মীরা যেন সাহস হারিয়ে না ফেলে, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করার কৌশল গ্রহণ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এমন কথা শোনা যাচ্ছে যে, আওয়ামী লীগ কি তাদের অবস্থান থেকে সরতে শুরু করবে? আবার প্রশ্নও আছে যে, নির্বাচন কি হবে? জাতীয় সরকার আসবে খুব শিগগিরই, এমন গুঞ্জনও রয়েছে জোরালোভাবে। শুধু তাই নয়, বাতিল হওয়া নির্বাচন পদ্ধতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এমন গুঞ্জনও শুরু হয়েছে। যদিও এসবে কোনো ভিত্তি রয়েছে মনে করেন না আওয়ামী লীগ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। তারা দাবি করেন, সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে। এ ইস্যুতে কোনো শক্তির সঙ্গেই আপস করবেন না আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দলটির সভাপতিম-লীর সদস্য ফারুক খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, কোনো দেশের চাওয়ায় বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন হবে না। দেশের মানুষের চাওয়া অনুযায়ী সংবিধানসম্মতভাবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, সবার মতো করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে বদ্ধপরিকর।
কূটনীতিসম্পৃক্ত আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের আরেক নেতা বলেন, দৃশ্যত যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সরকারের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে মনে করা হলেও সেপ্টেম্বরের আগে পশ্চিমা এ দেশটি তার চূড়ান্ত অবস্থান পরিষ্কার করবে না বলে তারা মনে করছেন। ওই নেতা বলেন, সেপ্টেম্বরে ভারত সফর রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। মূলত সেই সফরেই বোঝা যাবে সরকার কোনদিকে যাবে। এ নেতা আরও বলেন, ‘আমাদের ডিপ্লোম্যাসি (পররাষ্ট্রনীতি) পরস্পরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নীতি। কূটনীতিতে প্রধানমন্ত্রী দেশি-বিদেশি অনেক নেতাকে ছাড়িয়ে গেছেন। সেই আস্থা-বিশ্বাসও প্রধানমন্ত্রীর ওপর আমাদের রয়েছে।’
এতদিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিষ্কার হয়ে না ওঠায় সরকার ও আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করতেন, দেশটিকে তারা বোঝাতে পেরেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সমালোচনা প্রমাণ করে না যে, ক্ষমতাধর দেশটির সঙ্গে আওয়ামী লীগের বোঝাপড়া ঠিক আছে। যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি ঘোষণার পরই দেশটির অবস্থান আওয়ামী লীগের পক্ষে আছে এমন কথা কেউ আর বিশ্বাস করছে না।
আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা দেশ রূপান্তরকে বলেন, আমেরিকাকে মাইনাস ধরেই এগিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলটির শীর্ষ পর্যায়ের দুই নেতা আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আগের চেয়ে বেশি স্পষ্ট হয়ে ওঠায় রাজনীতিতে তারা ‘ব্যাকফুটে’ চলে যাচ্ছেন কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমি একটাই বুঝি, একটাই জানি, আগামী নির্বাচন সংবিধানসম্মতভাবেই হবে। এ জায়গা থেকে একটুও নড়বে না সরকার।’
নিজের বিদায়ী ম্যাচ বলেই কিনা জ্বলে উঠলেন সার্জিও রামোস। শুরুতেই পেয়ে যান গোলের দেখা। কিলিয়ান এমবাপ্পে আছেন তার আগের মতোই। তিনিও ডাবল লিড এনে দেন। তবে বিদায়ী ম্যাচে নিষ্প্রভ রইলেন লিওনেল মেসি। তাতেই কিনা শুরুতেই এগিয়ে যাওয়া ম্যাচটি হার দিয়ে শেষ করেছে পিএসজি।
লিগ ওয়ানের শেষ ম্যাচে ক্লেরমো ফুতের সঙ্গে ৩-২ গোলে হেরে গেছে প্যারিসিয়ানরা। তাতে রাঙানোর বদলে বিষাদভরা বিদায় হলো মেসি-রামোসদের।
আগেই লিগ শিরোপা নিশ্চিত করা পিএসজি মৌসুমে নিজেদের এই শেষ ম্যাচে দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছিল। হুগো একিতেকে ও আশরাফ হাকিমিকে ফেরান কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের।
শুরুতে গুছিয়ে উঠতে সময় লেগেছে পিএসজির। প্রথম ১০ মিনিটের পর ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২১ মিনিটের মধ্যে এগিয়ে গিয়েছিল ২-০ গোলে। রামোস ১৬ মিনিটে হেড থেকে এবং তার ৫ মিনিট পর কিলিয়ান এমবাপ্পে পেনাল্টি থেকে গোল করেন।
২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ক্লেরম ফুতের পাল্টা লড়াই শুরু করতে সময় নিয়েছে মাত্র ৩ মিনিট। ২৪ মিনিটে গোল করেন ক্লেরমঁর গাস্তিয়েন। এর প্রায় ১২ মিনিট পরই পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগ নষ্ট করেন ক্লেরমঁ স্ট্রাইকার কেয়ি। পরে অবশ্য ৬৩ মিনিটে তাঁর গোলেই জিতেছে ক্লেরমঁ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ক্লেরমঁর হয়ে সমতাসূচক গোলটি জেফানের।
বিরতির পর গোলের দারুণ একটি সুযোগ নষ্ট করেন মেসি। ৫৪ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে এমবাপ্পে ঢুকে পড়েন ক্লেরমঁর বিপদসীমায়। তাঁর ক্রস পেয়ে যান ডান প্রান্ত দিয়ে দৌড় বক্সে ঢোকা মেসি। সামনে গোলকিপার একা, কিন্তু মেসি অবিশ্বাস্যভাবে বলটা পোস্টের ওপর দিয়ে মারেন।
সতীর্থ গোলকিপার সের্হিও রিকোর সুস্থতা কামনা করে বিশেষ জার্সি পরে মাঠে দাঁড়িয়েছিলেন মেসি-এমবাপ্পেরা। ঘোড়ায় চড়তে গিয়ে দূর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন রিকো। ম্যাচে বিশেষ জার্সি পরে খেলেছে পিএসজি। মেসি-রামোসদের জার্সির পেছনে রিকোর নাম লেখা ছিল।
৩৮ ম্যাচে ৮৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে মৌসুম শেষ করল পিএসজি। ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে লেঁস। তৃতীয় মার্শেইয়ের সংগ্রহ ৭৩ পয়েন্ট। ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে ইউরোপা লিগ নিশ্চিত করা রেঁনে।