আতিথেয়তার আদবকেতা
মাওলানা ইসমাইল নাজিম | ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
মানুষে-মানুষে বন্ধন সুদৃঢ় করার শক্তিশালী হাতিয়ার মেহমানদারি। অতিথির যথাযথ সম্মান ও আপ্যায়ন ইসলামি শিষ্টাচারের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। অতিথিপরায়ণতাকে মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন রাসুল (সা.)। তিনি ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার মেহমানকে সম্মান করে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬০১৮)।
মেহমানদারি করা নবীদের সুন্নত। আল্লাহর নবী ইবরাহিম (আ.) কর্তৃক মানুষের বেশ ধারণ করে আসা ফেরেশতাদের মেহমানদারি করার ঘটনা পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। কথিত আছে, তার কাছে প্রতি রাতে তিন থেকে ১০ আবার কখনো ১০০ জন পর্যন্ত মেহমানের সমাগম ঘটত। (তাম্বিহুল গাফিলিন)
প্রিয়নবী (সা.) ছিলেন অতিথিপরায়ণতার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। মেহমানদারি করতে গিয়ে অনেক সময় তিনি নিজেই অনাহারে থাকতেন। মেহমানের যথাযথ সেবা করার মতো সামর্থ্য না থাকলে তিনি মেহমানকে সচ্ছল সাহাবিদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতেন। নবুয়ত লাভের আগে থেকেই তিনি অতিথিসেবায় প্রসিদ্ধি লাভ করেন। সেই কথারই সাক্ষ্য দিয়ে খাদিজা (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর কসম, আল্লাহ আপনাকে কখনো লাঞ্ছিত করবেন না। আপনি আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করেন, অসহায়ের পাশে দাঁড়ান, নিঃস্বকে উপার্জনক্ষম করেন, অতিথিকে আপ্যায়ন করেন, বিপদ-আপদে এগিয়ে আসেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৩)
ফিকহের দৃষ্টিকোণে মেহমানদারি সুন্নত। তবে অনেক আলেমের মতে, যেখানে অপরিচিত মুসাফিরদের থাকার কোনো সরাইখানা কিংবা হোটেল-মোটেলের ব্যবস্থা নেই, সেখানে তাদের আতিথেয়তা-আপ্যায়ন ওই এলাকাবাসীর জন্য ওয়াজিব। আতিথেয়তার ইসলাম নির্দেশিত বেশ কিছু শিষ্টাচার রয়েছে। মেজবান ও মেহমানের করণীয় সম্পর্কে হাদিসে সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মেজবানের করণীয়
এক. মেহমান এলে দ্রুতই তাকে স্বাগত জানাবে। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন আবদুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধিদল মহানবী (সা.)-এর কাছে আগমন করে, তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমরা কারা?’ তারা বলল, ‘আমরা রবিআ শাখার লোক।’ মহানবী (সা.) বললেন, ‘তোমাদের স্বাগতম। প্রতিনিধিদল, তোমাদের আগমন শুভ হোক! এটা তোমাদের অপরিচিত কোনো জায়গা নয়। এখানে লজ্জিত হওয়ার কিছু নেই।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৩)
দুই. উপস্থিত যা আছে, তার মধ্য থেকে উত্তম খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করবে। রাসুলুল্লাহ (সা.)-ইরশাদ করেছেন, ‘... সে ব্যক্তি ধ্বংস হোক, যার কাছে তার কয়েকজন ভাই আসে আর সে ঘরে যা আছে, তা তাদের সামনে পেশ করাকে কম মনে করে। ওই সব লোক ধ্বংস হোক, যারা তাদের সামনে যা পেশ করা হয়, তারা সেটাকে তুচ্ছ ও কম মনে করে।’ (মুসনাদে আহমদ)
তিন. মেহমানের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা করবে। মেজবানের বসার স্থানে মেহমানেরও অযাচিতভাবে বসে পড়া উচিত নয়। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কেউ কারও ঘরে গেলে তার অনুমতি ছাড়া তার নির্দিষ্ট আসনে বসবে না।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৮৩)
চার. মেজবান নিজেই মেহমানদারি-আপ্যায়নের কাজে অংশগ্রহণ করবে। কোরআনে বর্ণিত ইবরাহিম (আ.)-এর ঘটনায় আমরা দেখতে পাই, তিনি নিজেই দ্রুত আগত মেহমানদের জন্য মেহমানদারির ব্যবস্থা করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘তোমার কাছে ইবরাহিমের সম্মানিত মেহমানদের কথা পৌঁছেছে কি? যখন তারা তার কাছে উপস্থিত হয়ে বলল, ‘সালাম।’ জবাবে সেও বলল, ‘সালাম।’ তারা ছিল অপরিচিত লোক। তারপর ইবরাহিম তার স্ত্রীর কাছে গেল এবং মোটাতাজা গরুর বাছুর ভুনা করে নিয়ে এলো। তারপর তা তাদের সামনে রেখে বলল, ‘তোমরা খাচ্ছো না কেন?’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত : ২৪-২৭)
পাঁচ. মেহমানদারি করতে গিয়ে খাবারের অপচয় করবে না এবং লোক দেখানো আয়োজন করবে না। আনাস (রা.) বলেন, ‘আমরা উমর (রা.)-এর কাছে ছিলাম। তিনি বললেন, ‘আমাদের লৌকিকতা প্রদর্শন করতে নিষেধ করা হয়েছে।’ (বুখারি, হাদিস : ৭২৯৩)। অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘দুজনের খাবার তিনজনের জন্য যথেষ্ট। তিনজনের খাবার চারজনের জন্য যথেষ্ট।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৩৯২)
মেহমানের করণীয়
এক. আতিথেয়তা গ্রহণের পর দৃষ্টি সংযত রাখা মেহমানের দায়িত্ব। আল্লাহ বলেন, ‘মুমিনদের বলে দাও, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে।’ (সুরা নুর, আয়াত : ৩০)
দুই. উঁচুস্বরে চিৎকার-চেঁচামেচি করে কথা বলবে না। লোকমান (আ.)-এর কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘তোমার কণ্ঠস্বর নিচু রেখো। নিশ্চয়ই কণ্ঠস্বরের মধ্যে গাধার কণ্ঠস্বরই সবচেয়ে অপ্রীতিকর।’ (সুরা লোকমান, আয়াত : ১৯)
তিন. খাবার শেষ হলে মেজবানের জন্য দোয়া করা মেহমানের কর্তব্য। হাদিসে বর্ণিত দোয়া ‘আল্লাহুম্মা বারিক লাহুম ফিমা রাজাকতাহুম ওয়াগফির লাহুম ওয়ারহামহুম।’ অর্থ : হে আল্লাহ, আপনি তাদের রিজিকে বরকত দান করুন, তাদের ক্ষমা করুন এবং তাদের ওপর অনুগ্রহ করুন। (মুসলিম, হাদিস : ২০৪২)
চার. প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে মেজবানের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাওয়া উচিত। অহেতুক বসে থেকে মেজবানের কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে না। মহানবী (সা.)-এর আতিথেয়তায় আসা সাহাবিদের উদ্দেশ্য করে আল্লাহ বলেন, ‘খাওয়া-দাওয়া শেষে তোমরা চলে যাও। তোমরা কথাবার্তায় মশগুল হয়ে পড়ো না। কারণ তোমাদের এই আচরণ নবীকে পীড়া দেয়। সে তোমাদের উঠিয়ে দিতে সংকোচ বোধ করে।’ (সুরা আহজাব, আয়াত : ৫৩)
পাঁচ. প্রয়োজন ছাড়া তিনদিনের বেশি মেজবানের কাছে অবস্থান করা উচিত নয়। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘... মেহমানের বিশেষ মেহমানদারি এক দিন ও এক রাত। স্বাভাবিক মেহমানদারি তিনদিন। এর বেশি করলে তা সদকা হিসেবে গণ্য হবে। মেহমানের জন্য বৈধ নয় যে, সে দীর্ঘদিন অবস্থান করে মেজবানকে বিরক্ত করবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬১৩৫)
শেয়ার করুন
মাওলানা ইসমাইল নাজিম | ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

মানুষে-মানুষে বন্ধন সুদৃঢ় করার শক্তিশালী হাতিয়ার মেহমানদারি। অতিথির যথাযথ সম্মান ও আপ্যায়ন ইসলামি শিষ্টাচারের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। অতিথিপরায়ণতাকে মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন রাসুল (সা.)। তিনি ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার মেহমানকে সম্মান করে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬০১৮)।
মেহমানদারি করা নবীদের সুন্নত। আল্লাহর নবী ইবরাহিম (আ.) কর্তৃক মানুষের বেশ ধারণ করে আসা ফেরেশতাদের মেহমানদারি করার ঘটনা পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। কথিত আছে, তার কাছে প্রতি রাতে তিন থেকে ১০ আবার কখনো ১০০ জন পর্যন্ত মেহমানের সমাগম ঘটত। (তাম্বিহুল গাফিলিন)
প্রিয়নবী (সা.) ছিলেন অতিথিপরায়ণতার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। মেহমানদারি করতে গিয়ে অনেক সময় তিনি নিজেই অনাহারে থাকতেন। মেহমানের যথাযথ সেবা করার মতো সামর্থ্য না থাকলে তিনি মেহমানকে সচ্ছল সাহাবিদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতেন। নবুয়ত লাভের আগে থেকেই তিনি অতিথিসেবায় প্রসিদ্ধি লাভ করেন। সেই কথারই সাক্ষ্য দিয়ে খাদিজা (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর কসম, আল্লাহ আপনাকে কখনো লাঞ্ছিত করবেন না। আপনি আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করেন, অসহায়ের পাশে দাঁড়ান, নিঃস্বকে উপার্জনক্ষম করেন, অতিথিকে আপ্যায়ন করেন, বিপদ-আপদে এগিয়ে আসেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৩)
ফিকহের দৃষ্টিকোণে মেহমানদারি সুন্নত। তবে অনেক আলেমের মতে, যেখানে অপরিচিত মুসাফিরদের থাকার কোনো সরাইখানা কিংবা হোটেল-মোটেলের ব্যবস্থা নেই, সেখানে তাদের আতিথেয়তা-আপ্যায়ন ওই এলাকাবাসীর জন্য ওয়াজিব। আতিথেয়তার ইসলাম নির্দেশিত বেশ কিছু শিষ্টাচার রয়েছে। মেজবান ও মেহমানের করণীয় সম্পর্কে হাদিসে সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মেজবানের করণীয়
এক. মেহমান এলে দ্রুতই তাকে স্বাগত জানাবে। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন আবদুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধিদল মহানবী (সা.)-এর কাছে আগমন করে, তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমরা কারা?’ তারা বলল, ‘আমরা রবিআ শাখার লোক।’ মহানবী (সা.) বললেন, ‘তোমাদের স্বাগতম। প্রতিনিধিদল, তোমাদের আগমন শুভ হোক! এটা তোমাদের অপরিচিত কোনো জায়গা নয়। এখানে লজ্জিত হওয়ার কিছু নেই।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৩)
দুই. উপস্থিত যা আছে, তার মধ্য থেকে উত্তম খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করবে। রাসুলুল্লাহ (সা.)-ইরশাদ করেছেন, ‘... সে ব্যক্তি ধ্বংস হোক, যার কাছে তার কয়েকজন ভাই আসে আর সে ঘরে যা আছে, তা তাদের সামনে পেশ করাকে কম মনে করে। ওই সব লোক ধ্বংস হোক, যারা তাদের সামনে যা পেশ করা হয়, তারা সেটাকে তুচ্ছ ও কম মনে করে।’ (মুসনাদে আহমদ)
তিন. মেহমানের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা করবে। মেজবানের বসার স্থানে মেহমানেরও অযাচিতভাবে বসে পড়া উচিত নয়। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কেউ কারও ঘরে গেলে তার অনুমতি ছাড়া তার নির্দিষ্ট আসনে বসবে না।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৮৩)
চার. মেজবান নিজেই মেহমানদারি-আপ্যায়নের কাজে অংশগ্রহণ করবে। কোরআনে বর্ণিত ইবরাহিম (আ.)-এর ঘটনায় আমরা দেখতে পাই, তিনি নিজেই দ্রুত আগত মেহমানদের জন্য মেহমানদারির ব্যবস্থা করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘তোমার কাছে ইবরাহিমের সম্মানিত মেহমানদের কথা পৌঁছেছে কি? যখন তারা তার কাছে উপস্থিত হয়ে বলল, ‘সালাম।’ জবাবে সেও বলল, ‘সালাম।’ তারা ছিল অপরিচিত লোক। তারপর ইবরাহিম তার স্ত্রীর কাছে গেল এবং মোটাতাজা গরুর বাছুর ভুনা করে নিয়ে এলো। তারপর তা তাদের সামনে রেখে বলল, ‘তোমরা খাচ্ছো না কেন?’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত : ২৪-২৭)
পাঁচ. মেহমানদারি করতে গিয়ে খাবারের অপচয় করবে না এবং লোক দেখানো আয়োজন করবে না। আনাস (রা.) বলেন, ‘আমরা উমর (রা.)-এর কাছে ছিলাম। তিনি বললেন, ‘আমাদের লৌকিকতা প্রদর্শন করতে নিষেধ করা হয়েছে।’ (বুখারি, হাদিস : ৭২৯৩)। অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘দুজনের খাবার তিনজনের জন্য যথেষ্ট। তিনজনের খাবার চারজনের জন্য যথেষ্ট।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৩৯২)
মেহমানের করণীয়
এক. আতিথেয়তা গ্রহণের পর দৃষ্টি সংযত রাখা মেহমানের দায়িত্ব। আল্লাহ বলেন, ‘মুমিনদের বলে দাও, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে।’ (সুরা নুর, আয়াত : ৩০)
দুই. উঁচুস্বরে চিৎকার-চেঁচামেচি করে কথা বলবে না। লোকমান (আ.)-এর কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘তোমার কণ্ঠস্বর নিচু রেখো। নিশ্চয়ই কণ্ঠস্বরের মধ্যে গাধার কণ্ঠস্বরই সবচেয়ে অপ্রীতিকর।’ (সুরা লোকমান, আয়াত : ১৯)
তিন. খাবার শেষ হলে মেজবানের জন্য দোয়া করা মেহমানের কর্তব্য। হাদিসে বর্ণিত দোয়া ‘আল্লাহুম্মা বারিক লাহুম ফিমা রাজাকতাহুম ওয়াগফির লাহুম ওয়ারহামহুম।’ অর্থ : হে আল্লাহ, আপনি তাদের রিজিকে বরকত দান করুন, তাদের ক্ষমা করুন এবং তাদের ওপর অনুগ্রহ করুন। (মুসলিম, হাদিস : ২০৪২)
চার. প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে মেজবানের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাওয়া উচিত। অহেতুক বসে থেকে মেজবানের কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে না। মহানবী (সা.)-এর আতিথেয়তায় আসা সাহাবিদের উদ্দেশ্য করে আল্লাহ বলেন, ‘খাওয়া-দাওয়া শেষে তোমরা চলে যাও। তোমরা কথাবার্তায় মশগুল হয়ে পড়ো না। কারণ তোমাদের এই আচরণ নবীকে পীড়া দেয়। সে তোমাদের উঠিয়ে দিতে সংকোচ বোধ করে।’ (সুরা আহজাব, আয়াত : ৫৩)
পাঁচ. প্রয়োজন ছাড়া তিনদিনের বেশি মেজবানের কাছে অবস্থান করা উচিত নয়। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘... মেহমানের বিশেষ মেহমানদারি এক দিন ও এক রাত। স্বাভাবিক মেহমানদারি তিনদিন। এর বেশি করলে তা সদকা হিসেবে গণ্য হবে। মেহমানের জন্য বৈধ নয় যে, সে দীর্ঘদিন অবস্থান করে মেজবানকে বিরক্ত করবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬১৩৫)