আপনার জিজ্ঞাসা
| ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
যৌতুক লেনদেন করে বিয়ে
মোহাম্মদ শারবিন, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ
প্রশ্ন : যৌতুকের বিনিময়ে বিয়ে করা স্ত্রীর গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তান বৈধ হবে কি-না?
উত্তর : বিয়ের সময় কিংবা বিয়ের আগে-পরে যেকোনো সময় কনে বা কনেপক্ষের কাছ থেকে বর বা বরপক্ষের লোকেরা যে সম্পদ অথবা সেবা গ্রহণ করে কিংবা সামাজিক প্রথার কারণে তাদের দেওয়া হয়, তদ্রƒপ কনে বা কনেপক্ষের লোকেরা মোহর ও ভরণ-পোষণের অধিক যা কিছু উসুল করে বা সামাজিক প্রথার কারণে তাদের দেওয়া হয় এই সবই যৌতুক।
ইসলামের দৃষ্টিতে যৌতুকের লেনদেন জঘন্য অপরাধ। এটা শুধু কবিরা গোনাহ নয়, অনেকগুলো কবিরা গোনাহের সমষ্টি। ইসলামের বিধানে যৌতুক অনেক বড় জুলুম এবং অন্যের সম্পদ হরণের পর্যায়ভুক্ত। কারণ, শরিয়তের একটি স্বতঃসিদ্ধ মূলনীতি হলো, কোনো কাজের দ্বারা যদি হারামের দরজা খোলে তাহলে সেটাও হারাম হয়ে যায়। তাহলে যে কাজ নিজে হারাম এবং আরও অনেক হারামের জনক তা কত জঘন্য ও ভয়াবহ হতে পারে? যৌতুক এমন অপরাধ, যা আরও বহু অপরাধের জন্ম দেয়। যৌতুকের দাবি পূরণের জন্য অনেক অভিভাবক সুদ-ঘুষের কারবার ও বিভিন্ন হারাম উপার্জনে লিপ্ত হয়। এমনকি আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটে। আর স্ত্রীর ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন এমনকি হত্যা ও আত্মহত্যাও সাধারণ বিষয়। তেমনি কনেপক্ষ শক্তিশালী হলে দুই পরিবারে বিবাদ-বিসংবাদ, মামলা-মোকদ্দমা এমনকি খুন-জখম পর্যন্ত হতে থাকে। - সহিহ্ ইবনে হিববান : ১৭২৩
সন্তান জন্মের ক্ষেত্র তৈরি হয় বিয়ে নামক পবিত্র বন্ধনের মাধ্যমে। এই বন্ধনের গোড়াপত্তন যদি হয় একটি অন্যায্য অমানবিক শর্তারোপের মধ্য দিয়ে, তাহলে এ বন্ধন থেকে জন্ম নেওয়া সন্তানসন্ততির ওপর যে এর খারাপ প্রভাব পড়বে তা অনস্বীকার্য। তবে যৌতুকের বিনিময়ে বিয়ের পর ওই সন্তান বৈধ সন্তান বলেই বিবেচিত হবে। ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ২/৩২১
এক ব্যক্তির আজান ও ইমামতি
মো. সেলিম হাসান, সদর, নরসিংদী
প্রশ্ন : গ্রামাঞ্চলের মসজিদগুলোতে সাধারণত আলাদা মুয়াজ্জিন থাকে না। বরং ইমাম ও মুয়াজ্জিন একই ব্যক্তি হয়ে থাকেন। শরিয়তের দৃষ্টিতে এটা কেমন?
উত্তর : নির্ধারিত মুয়াজ্জিন না থাকলে মুক্তাদিদের মধ্যে সহিহ্-শুদ্ধভাবে ইকামত দিতে পারে এমন কেউ ইকামত দেবেন। এ ছাড়া ইমাম আজান-ইকামত উভয়টি বলতে পারেন। এতে কোনো অসুবিধা নেই। আর আজান যে দেবে তার অসন্তুষ্টি না থাকলে অন্য যে কেউ ইকামত দিতে পারে। বিশেষত যখন এ দায়িত্বের জন্য নির্ধারিত কোনো ব্যক্তি না থাকে। হাদিসে এসেছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নির্দেশে হজরত বিলাল আজান দিয়েছেন এবং হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ ইকামত দিয়েছেন। সুনানে আবু দাউদ : ৫১২
মাসবুকের বিতরের নামাজ
মুহাম্মাদ তাকী, মিরসরাই, চট্টগ্রাম
প্রশ্ন : কোনো মাসবুক যদি বিতরের
তৃতীয় রাকাতের রুকুতে ইমামের সঙ্গে শরিক হয় তাহলে কী তাকে নিজ তৃতীয় রাকাতেও দোয়া কুনুত পড়তে হবে?
উত্তর : বিতরের তৃতীয় রাকাতের রুকুতে জামাতে শরিক হলে উক্ত রাকাত পাওয়ার কারণে কুনুত পেয়েছে বলে ধরা হবে। তাই সে তার ছুটে যাওয়া রাকাত আদায়ের সময় কুনুত পড়বে না। খুলাসাতুল ফাতাওয়া : ১/১৭১
শেয়ার করুন
| ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

যৌতুক লেনদেন করে বিয়ে
মোহাম্মদ শারবিন, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ
প্রশ্ন : যৌতুকের বিনিময়ে বিয়ে করা স্ত্রীর গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তান বৈধ হবে কি-না?
উত্তর : বিয়ের সময় কিংবা বিয়ের আগে-পরে যেকোনো সময় কনে বা কনেপক্ষের কাছ থেকে বর বা বরপক্ষের লোকেরা যে সম্পদ অথবা সেবা গ্রহণ করে কিংবা সামাজিক প্রথার কারণে তাদের দেওয়া হয়, তদ্রƒপ কনে বা কনেপক্ষের লোকেরা মোহর ও ভরণ-পোষণের অধিক যা কিছু উসুল করে বা সামাজিক প্রথার কারণে তাদের দেওয়া হয় এই সবই যৌতুক।
ইসলামের দৃষ্টিতে যৌতুকের লেনদেন জঘন্য অপরাধ। এটা শুধু কবিরা গোনাহ নয়, অনেকগুলো কবিরা গোনাহের সমষ্টি। ইসলামের বিধানে যৌতুক অনেক বড় জুলুম এবং অন্যের সম্পদ হরণের পর্যায়ভুক্ত। কারণ, শরিয়তের একটি স্বতঃসিদ্ধ মূলনীতি হলো, কোনো কাজের দ্বারা যদি হারামের দরজা খোলে তাহলে সেটাও হারাম হয়ে যায়। তাহলে যে কাজ নিজে হারাম এবং আরও অনেক হারামের জনক তা কত জঘন্য ও ভয়াবহ হতে পারে? যৌতুক এমন অপরাধ, যা আরও বহু অপরাধের জন্ম দেয়। যৌতুকের দাবি পূরণের জন্য অনেক অভিভাবক সুদ-ঘুষের কারবার ও বিভিন্ন হারাম উপার্জনে লিপ্ত হয়। এমনকি আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটে। আর স্ত্রীর ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন এমনকি হত্যা ও আত্মহত্যাও সাধারণ বিষয়। তেমনি কনেপক্ষ শক্তিশালী হলে দুই পরিবারে বিবাদ-বিসংবাদ, মামলা-মোকদ্দমা এমনকি খুন-জখম পর্যন্ত হতে থাকে। - সহিহ্ ইবনে হিববান : ১৭২৩
সন্তান জন্মের ক্ষেত্র তৈরি হয় বিয়ে নামক পবিত্র বন্ধনের মাধ্যমে। এই বন্ধনের গোড়াপত্তন যদি হয় একটি অন্যায্য অমানবিক শর্তারোপের মধ্য দিয়ে, তাহলে এ বন্ধন থেকে জন্ম নেওয়া সন্তানসন্ততির ওপর যে এর খারাপ প্রভাব পড়বে তা অনস্বীকার্য। তবে যৌতুকের বিনিময়ে বিয়ের পর ওই সন্তান বৈধ সন্তান বলেই বিবেচিত হবে। ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ২/৩২১
এক ব্যক্তির আজান ও ইমামতি
মো. সেলিম হাসান, সদর, নরসিংদী
প্রশ্ন : গ্রামাঞ্চলের মসজিদগুলোতে সাধারণত আলাদা মুয়াজ্জিন থাকে না। বরং ইমাম ও মুয়াজ্জিন একই ব্যক্তি হয়ে থাকেন। শরিয়তের দৃষ্টিতে এটা কেমন?
উত্তর : নির্ধারিত মুয়াজ্জিন না থাকলে মুক্তাদিদের মধ্যে সহিহ্-শুদ্ধভাবে ইকামত দিতে পারে এমন কেউ ইকামত দেবেন। এ ছাড়া ইমাম আজান-ইকামত উভয়টি বলতে পারেন। এতে কোনো অসুবিধা নেই। আর আজান যে দেবে তার অসন্তুষ্টি না থাকলে অন্য যে কেউ ইকামত দিতে পারে। বিশেষত যখন এ দায়িত্বের জন্য নির্ধারিত কোনো ব্যক্তি না থাকে। হাদিসে এসেছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নির্দেশে হজরত বিলাল আজান দিয়েছেন এবং হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ ইকামত দিয়েছেন। সুনানে আবু দাউদ : ৫১২
মাসবুকের বিতরের নামাজ
মুহাম্মাদ তাকী, মিরসরাই, চট্টগ্রাম
প্রশ্ন : কোনো মাসবুক যদি বিতরের
তৃতীয় রাকাতের রুকুতে ইমামের সঙ্গে শরিক হয় তাহলে কী তাকে নিজ তৃতীয় রাকাতেও দোয়া কুনুত পড়তে হবে?
উত্তর : বিতরের তৃতীয় রাকাতের রুকুতে জামাতে শরিক হলে উক্ত রাকাত পাওয়ার কারণে কুনুত পেয়েছে বলে ধরা হবে। তাই সে তার ছুটে যাওয়া রাকাত আদায়ের সময় কুনুত পড়বে না। খুলাসাতুল ফাতাওয়া : ১/১৭১