কল্যাণ-অকল্যাণ
ওয়ায়ত জান্নাহ | ২৪ জুন, ২০২২ ০০:০০
কোনো কোনো মানুষ বিপদে পড়লে কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ ভালোভাবে সম্পাদন করতে না পারলে তাদের বলতে শোনা যায়, ‘কার মুখ দেখে যে বের হয়েছিলাম!’ এটি একটি ভিত্তিহীন চিন্তা-ভাবনা ও ইসলামি আকিদা পরিপন্থী কথা।
ইসলাম এমন কুলক্ষণে কথায় বিশ্বাস করে না। কারও দর্শন কল্যাণ কিংবা অকল্যাণ বয়ে আনে। ইসলাম এমন বিশ^াসের কথা বলে না, বরং এ থেকে নিষেধ করে। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, রোগের কোনো সংক্রমণ নেই, কুলক্ষণ বলে কিছু নেই, পেঁচা অশুভের লক্ষণ নয়, সফর মাসের কোনো অশুভ নেই।’ সহিহ্ বোখারি : ৫৭০৭
এমনটি ফেরাউনের বিশ^াস ছিল। যখন তার দলবল কোনো বিপদ-আপদের সম্মুখীন হতো, দোষ চাপাত হজরত মুসা (আ.)-এর কাঁধে। বলত, এসব বিপদ-আপদ মুসার কারণে এসেছে। আল্লাহতায়ালা এ সম্পর্কে বলেন, ‘যখন তাদের কাছে কল্যাণ আসত বলত, এটা আমাদের অর্জন। আর যখন তাদের কাছে অকল্যাণ আসত, তারা এটাকে মুসা ও তার সঙ্গীদের কুলক্ষণ বলে গণ্য করত।’ সুরা আরাফ : ১৩১
এ ধরনের বিশ্বাস রাখা শিরক। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কুলক্ষণ গ্রহণ করা শিরক, কুলক্ষণ গ্রহণ করা শিরক এভাবে তিনি তিনবার বলেন।’ সুনানে আবু দাউদ : ৩৯১২
তিনি আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি কুলক্ষণ গ্রহণ করে কোনো প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত বাতিল করল, সে শিরক করল।’ মুসনাদে আহমাদ : ৭০৪৫
এমনকি কেউ যদি এরূপ কথা বলে, সে উম্মতে মুহাম্মাদির অন্তর্ভুক্ত নয়। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কুলক্ষণ গ্রহণ করে বা যার জন্য কুলক্ষণ গ্রহণ করা হয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ তাবারানি : ৩৫৫
তাছাড়া এমন বিশ^াসের মাধ্যমে ওই ব্যক্তির ব্যাপারে কু-ধারণা পোষণ করা হয়; যা ইসলামে নিষিদ্ধ। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদাররা! তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাকো। কেননা কিছু ধারণা গোনাহ।’ সুরা হুজুরাত : ১২
শেয়ার করুন
ওয়ায়ত জান্নাহ | ২৪ জুন, ২০২২ ০০:০০

কোনো কোনো মানুষ বিপদে পড়লে কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ ভালোভাবে সম্পাদন করতে না পারলে তাদের বলতে শোনা যায়, ‘কার মুখ দেখে যে বের হয়েছিলাম!’ এটি একটি ভিত্তিহীন চিন্তা-ভাবনা ও ইসলামি আকিদা পরিপন্থী কথা।
ইসলাম এমন কুলক্ষণে কথায় বিশ্বাস করে না। কারও দর্শন কল্যাণ কিংবা অকল্যাণ বয়ে আনে। ইসলাম এমন বিশ^াসের কথা বলে না, বরং এ থেকে নিষেধ করে। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, রোগের কোনো সংক্রমণ নেই, কুলক্ষণ বলে কিছু নেই, পেঁচা অশুভের লক্ষণ নয়, সফর মাসের কোনো অশুভ নেই।’ সহিহ্ বোখারি : ৫৭০৭
এমনটি ফেরাউনের বিশ^াস ছিল। যখন তার দলবল কোনো বিপদ-আপদের সম্মুখীন হতো, দোষ চাপাত হজরত মুসা (আ.)-এর কাঁধে। বলত, এসব বিপদ-আপদ মুসার কারণে এসেছে। আল্লাহতায়ালা এ সম্পর্কে বলেন, ‘যখন তাদের কাছে কল্যাণ আসত বলত, এটা আমাদের অর্জন। আর যখন তাদের কাছে অকল্যাণ আসত, তারা এটাকে মুসা ও তার সঙ্গীদের কুলক্ষণ বলে গণ্য করত।’ সুরা আরাফ : ১৩১
এ ধরনের বিশ্বাস রাখা শিরক। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কুলক্ষণ গ্রহণ করা শিরক, কুলক্ষণ গ্রহণ করা শিরক এভাবে তিনি তিনবার বলেন।’ সুনানে আবু দাউদ : ৩৯১২
তিনি আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি কুলক্ষণ গ্রহণ করে কোনো প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত বাতিল করল, সে শিরক করল।’ মুসনাদে আহমাদ : ৭০৪৫
এমনকি কেউ যদি এরূপ কথা বলে, সে উম্মতে মুহাম্মাদির অন্তর্ভুক্ত নয়। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কুলক্ষণ গ্রহণ করে বা যার জন্য কুলক্ষণ গ্রহণ করা হয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ তাবারানি : ৩৫৫
তাছাড়া এমন বিশ^াসের মাধ্যমে ওই ব্যক্তির ব্যাপারে কু-ধারণা পোষণ করা হয়; যা ইসলামে নিষিদ্ধ। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদাররা! তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাকো। কেননা কিছু ধারণা গোনাহ।’ সুরা হুজুরাত : ১২