আপনার জিজ্ঞাসা
| ৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০
ওয়াক্ত হওয়ার আগে ইফতার করা
মুহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম, ধামরাই, ঢাকা
প্রশ্ন : একজন মহররমের দশ তারিখ রোজা রেখেছিল। মাগরিবের আগে আজান শুনে ইফতার করেন। পরে মসজিদে গিয়ে দেখেন ওয়াক্তের আগে আজান দেওয়ার কারণে কিছু লোক মোয়াজ্জিনকে বকাঝকা করছে। ওই লোকের রোজা কি সহিহ হয়েছে?
উত্তর : বাস্তবেই যদি সময়ের আগে আজান হয়ে থাকে এবং তা শুনে রোজাদার ইফতার করে থাকেন, তাহলে তার ওই রোজা আদায় হয়নি। সে ক্ষেত্রে পরে ওই রোজা তাকে কাজা করে নিতে হবে। খুলাসাতুল ফাতাওয়া : ১/২৫৬
নফল রোজার কাজা
আয়েশা বেগম, মতলব, চাঁদপুর
প্রশ্ন : আমি ফরজ, ওয়াজিব পালনের পাশাপাশি কিছু নফল আমল করার চেষ্টা করি। গত বছর আশুরার দিন রোজা রাখি। হঠাৎ দিনের বেলা মাসিক শুরু হয়। কিছু না ভেবে রোজা অবস্থায় কিছু না খেয়ে দিনটি কাটিয়ে দিই। আমি জানি, ফরজ রোজা অবস্থায় মাসিক শুরু হলে কাজা করতে হয়। নফল রোজার বিধান জানা নেই। এ ক্ষেত্রে আমার কি করণীয়?
উত্তর : হ্যাঁ, নফল রোজা অবস্থায় মাসিক স্রাব শুরু হলে পরে তার কাজা করে নিতে হবে। কেননা নফল রোজা শুরুর পর তা পূর্ণ করা আবশ্যক। ফাতহুল কাদির : ২/২৮০
আশুরার রোজা কটি
মো. আবু জাফর, জিন্দাবাজার, সিলেট
প্রশ্ন : আশুরার রোজা কি শুধু ১০ মহররম? নাকি এর সঙ্গে আগে বা পরে এক দিন মিলিয়ে রাখতে হবে। একজন বললেন, শুধু ১০ মহররম রাখলেও নাকি তা আশুরার রোজা হিসেবে আদায় হবে। সঠিক কোনটি?
উত্তর : আশুরার রোজা মূলত ১০ মহররমের রোজা। তবে এই রোজার সঙ্গে আরও একটি রোজা মিলিয়ে রাখার ব্যাপারে হাদিসে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখো এবং তাতে ইহুদিদের বিরোধিতা করো, আশুরার আগে এক দিন বা পরে এক দিন রোজা রাখো।’ সহিহ ইবনে খুজাইমা : ২০৯৫
তাই ৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ দুদিন রোজা রাখা উত্তম। অবশ্য কেউ যদি শুধু ১০ মহররম রোজা রাখে তবে সেটিও আশুরার রোজা হিসেবেই গণ্য হবে। তবে হাদিসের নির্দেশনার ওপর আমল না করার জন্য মকরুহ তথা অনুত্তম হবে। ফাতাওয়া তাতারখানিয়া : ৩/৪১৮
শেয়ার করুন
| ৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০

ওয়াক্ত হওয়ার আগে ইফতার করা
মুহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম, ধামরাই, ঢাকা
প্রশ্ন : একজন মহররমের দশ তারিখ রোজা রেখেছিল। মাগরিবের আগে আজান শুনে ইফতার করেন। পরে মসজিদে গিয়ে দেখেন ওয়াক্তের আগে আজান দেওয়ার কারণে কিছু লোক মোয়াজ্জিনকে বকাঝকা করছে। ওই লোকের রোজা কি সহিহ হয়েছে?
উত্তর : বাস্তবেই যদি সময়ের আগে আজান হয়ে থাকে এবং তা শুনে রোজাদার ইফতার করে থাকেন, তাহলে তার ওই রোজা আদায় হয়নি। সে ক্ষেত্রে পরে ওই রোজা তাকে কাজা করে নিতে হবে। খুলাসাতুল ফাতাওয়া : ১/২৫৬
নফল রোজার কাজা
আয়েশা বেগম, মতলব, চাঁদপুর
প্রশ্ন : আমি ফরজ, ওয়াজিব পালনের পাশাপাশি কিছু নফল আমল করার চেষ্টা করি। গত বছর আশুরার দিন রোজা রাখি। হঠাৎ দিনের বেলা মাসিক শুরু হয়। কিছু না ভেবে রোজা অবস্থায় কিছু না খেয়ে দিনটি কাটিয়ে দিই। আমি জানি, ফরজ রোজা অবস্থায় মাসিক শুরু হলে কাজা করতে হয়। নফল রোজার বিধান জানা নেই। এ ক্ষেত্রে আমার কি করণীয়?
উত্তর : হ্যাঁ, নফল রোজা অবস্থায় মাসিক স্রাব শুরু হলে পরে তার কাজা করে নিতে হবে। কেননা নফল রোজা শুরুর পর তা পূর্ণ করা আবশ্যক। ফাতহুল কাদির : ২/২৮০
আশুরার রোজা কটি
মো. আবু জাফর, জিন্দাবাজার, সিলেট
প্রশ্ন : আশুরার রোজা কি শুধু ১০ মহররম? নাকি এর সঙ্গে আগে বা পরে এক দিন মিলিয়ে রাখতে হবে। একজন বললেন, শুধু ১০ মহররম রাখলেও নাকি তা আশুরার রোজা হিসেবে আদায় হবে। সঠিক কোনটি?
উত্তর : আশুরার রোজা মূলত ১০ মহররমের রোজা। তবে এই রোজার সঙ্গে আরও একটি রোজা মিলিয়ে রাখার ব্যাপারে হাদিসে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখো এবং তাতে ইহুদিদের বিরোধিতা করো, আশুরার আগে এক দিন বা পরে এক দিন রোজা রাখো।’ সহিহ ইবনে খুজাইমা : ২০৯৫
তাই ৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ দুদিন রোজা রাখা উত্তম। অবশ্য কেউ যদি শুধু ১০ মহররম রোজা রাখে তবে সেটিও আশুরার রোজা হিসেবেই গণ্য হবে। তবে হাদিসের নির্দেশনার ওপর আমল না করার জন্য মকরুহ তথা অনুত্তম হবে। ফাতাওয়া তাতারখানিয়া : ৩/৪১৮