
মহান আল্লাহ বলেন, ‘মুমিন তো তারাই যাদের হৃদয় আল্লাহকে স্মরণ করা হলে কম্পিত হয় এবং তার আয়াতসমূহ তাদের কাছে পাঠ করা হলে তা তাদের ইমান বাড়ে। আর তারা তাদের রবের ওপরই নির্ভর করে।’ -সুরা আল আনফাল : ০২
অন্তরসমূহের উচ্চ মর্যাদাপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ বিশেষণ, যাকে কোরআন মাজিদ ‘কম্পিত অন্তর’ নামে আখ্যায়িত ও চিহ্নিত করেছে। ইমান যার গভীর পর্যন্ত পূর্ণ করে দিয়েছে এবং তার অঙ্গগুলো রবের কাছে বিনয়াবনত হয়েছে। ফলে তার মর্যাদা সুউচ্চ হয়েছে ও তার সুনাম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মহান রবের প্রশংসাপ্রাপ্ত হয়েছে। মুমিন বান্দা ভীতিকর অবস্থা থেকে মুক্ত নয়, যা সে অনুভব করে ওয়াজ-নসিহত ও কোরআন মাজিদের আয়াতসমূহ শোনার পর। যা শ্রবণে তার অন্তর আলোকিত হয়, শরীর শিহরিত হয় ও তার রুহ ঊর্ধ্ব জগতে বিচরণ করে। এই কম্পিত অন্তরগুলোই ইমানের প্রকৃত স্বাদ আস্বাদন করে, আনুগত্যের মধ্যে তৃপ্তি পায়, যাবতীয় ফেতনা ও সংশয়ের পথ বন্ধ করে দেয় এবং অন্তরের রোগ থেকে নিরাপদ থাকে। অন্তরে কম্পন সৃষ্টির অন্যতম মাধ্যম হলো আল্লাহর জিকিরে জিহ্বাকে ব্যস্ত রাখা। জিকিরের মাধ্যমে অন্তর পবিত্র হয়, দেহ ও আত্মা পরিশুদ্ধ হয় এবং মোনাজাতে তৃপ্তি পাওয়া যায়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘এবং সুসংবাদ দিন বিনীতদের। যাদের কাছে আল্লাহর নাম স্মরণ করা হলে তাদের অন্তর কেঁপে ওঠে।’ -সুরা আল হজ : ৩৪-৩৫
অন্তর কেঁপে ওঠে কারণ, তাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হলে তারা স্মরণ করে, উপদেশ দিলে উপদেশ গ্রহণ করে এবং ভীতি প্রদর্শন করা হলে ভীত হয়। সবচেয়ে বড় জিকির হলো কোরআন তেলাওয়াত করা ও তার আয়াতসমূহ মধুর সুরে পাঠ করা। সুতরাং যে ব্যক্তি কোরআনের দিকে ধাবিত হবে ও হৃদয়কে কোরআনের জন্য প্রশস্ত করবে এবং তার ছায়াতলে জীবন ধারণ করবে; তার অন্তর হবে নরম, হৃদয় হবে কম্পিত, তার মধ্যে আল্লাহর ব্যাপারে ভয় ও লজ্জার সৃষ্টি হবে এবং তার ইমান বৃদ্ধি পাবে। আমরা কীভাবে অন্তরের প্রাঞ্জলতা, শিহরণ ও ভয়ের আশা করব যদি আমরা অন্তরকে পরিপূর্ণ করে রাখি এমন বিষয় দ্বারা, যা রবের উপদেশ গ্রহণে প্রতিবন্ধক।
আপনি যদি আপনার অন্তরকে কোরআনের কাছে না পান, তাহলে কোথায় পাবেন? আপনি যদি অন্তরে উপদেশ ও কোরআনের প্রভাব অনুভব না করেন, তাহলে তার কারণ অনুসন্ধান করুন এবং এই রোগের চিকিৎসা করুন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করি, আর জ্ঞানী লোকেরা ছাড়া কেউ তা বুঝে না।’ -সুরা আল আনকাবুত : ৪৩
অন্তরে কম্পন সৃষ্টির আরেকটি মাধ্যম হলো আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে সম্মান করা। আর এগুলোকে সম্মান করা আল্লাহর আদেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নামান্তর। সুতরাং আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.) যেগুলোকে সম্মানিত করেছেন তা-ই সম্মানিত। আর এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা অন্তরের বিশুদ্ধতার পরিচায়ক। অন্তরে কম্পন সৃষ্টির আরেকটি মাধ্যম হলো, এটাকে জ্ঞানের পাত্রে পরিণত করা যা আল্লাহর কাছে পৌঁছায় এবং তার সুন্দর নাম ও উন্নত গুণাবলির মাধ্যমে আল্লাহকে জানার দাবি রাখে।
অন্তরে কম্পন সৃষ্টির আরেকটি মাধ্যম হলো তওবা, বারবার ইস্তিগফার করা ও দ্রুত পাপ থেকে তওবা করতে গাফিলতি না করা। যেহেতু অন্তরকে পরিশুদ্ধকারী এসব বিষয় ছাড়া অন্তরের কম্পন অর্জিত হয় না। সুতরাং রুগ্ণ অন্তর কীভাবেই বা কম্পিত হবে? উদাসীন হৃদয় কীভাবে ভীত হবে? মহান আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমরা উভয়ে আল্লাহর কাছে তওবা করো (তবে তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর), কারণ তোমাদের উভয়ের অন্তর তো বাঁকা হয়ে পড়েছে।’ -সুরা আত তাহরিম : ০৪
সৎকাজ সম্পাদন করা, দানে অভ্যস্ত হওয়া এবং নানাবিধ সৎকর্ম পালন করায় হৃদয়ে কোমলতা, ভয়, কম্পন ও নম্রতা তৈরি হয়। সেই সঙ্গে বেশি বেশি মৃত্যুর কথা স্মরণ, মৃত্যুর জন্য সদা প্রস্তুতি গ্রহণ করে থাকা পরকালের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, দুনিয়াবিমুখ করে এবং ব্যর্থতা ও উদাসীনতা থেকে হৃদয়কে উজ্জীবিত ও জাগ্রত করে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় এতে উপদেশ রয়েছে তার জন্য, যার আছে অন্তঃকরণ অথবা যে শ্রবণ করে মনোযোগের সঙ্গে।’ -সুরা কাফ : ৩৭
কাজেই যে ব্যক্তি নিজের অন্তরের পরিচর্যা করে ও আল্লাহর সঙ্গে সততা বজায় রাখে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের পথ দেখাবেন ও সরল পথের ওপর অবিচল রাখবেন। বিজ্ঞ লোকেরা তাদের অন্তরের পরিচর্যা করে। আর অন্তর আল্লাহর দুই আঙুলের মধ্যে অবস্থিত, তিনি যেভাবে চান তা পরিবর্তন করেন। আল্লাহ সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞাত নবী করিম (সা.)-ও অন্তর পরিবর্তন হওয়ার আশঙ্কা পোষণ করতেন। তাই অন্তরের অবিচলতার জন্য তার নিয়মিত দোয়া ছিল ইয়া মুকাল্লিবাল কুলুব, সাব্বিত কালবি আলা দ্বীনিক। অর্থ : হে অন্তরের পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের ওপর অটল রাখুন।’ তাহলে অন্যদের অবস্থা কী রকম?
যখন আল্লাহ বান্দাকে তাকওয়া ও অন্তরের ভয় অর্জনের যোগ্য হওয়ার তওফিক দেবেন, তখন সে অচিরেই এর সুফল লাভ করবে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা উপভোগ করবে। অন্তরে আল্লাহভীতির অন্যতম ফল হলো উভয় জগতের স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন লাভ। কেননা তারাই কেয়ামতের দিন বলবে, ‘নিশ্চয় আগে আমরা পরিবার-পরিজনের মধ্যে শঙ্কিত অবস্থায় ছিলাম। অতঃপর আমাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন এবং আমাদের আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করেছেন।’ -সুরা আত তুর : ২৬-২৭
আল্লাহর সঙ্গে নিভৃতে মোনাজাত ও তার বন্ধুত্বের স্বাদ ছাড়া যদি হৃদয়ের ভীতির কোনো ফলাফল না থাকত, তবুও সেটিই হতো শ্রেষ্ঠ অর্জন ও আনন্দের উপলক্ষ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাতের বিভিন্ন প্রহরে সিজদাবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে আনুগত্য প্রকাশ করে, আখেরাতকে ভয় করে এবং তার রবের অনুগ্রহ প্রত্যাশা করে, (সে কি তার সমান, যে তা করে না?) বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না, তারা কি সমান? বোধশক্তি সম্পন্ন লোকেরাই শুধু উপদেশ গ্রহণ করে।’ -সুরা যুমার : ০৯
হৃদয়ের মধ্যে আল্লাহর ভীতির অন্যতম ফলাফল হলো এটি ব্যক্তিকে সৎকাজে প্রতিযোগিতা করতে অনুপ্রাণিত করে এবং তার দোয়া কবুল হয়। আল্লাহর ব্যাপারে কোনো ব্যক্তির হৃদয়ে ভয়ভীতি এবং শঙ্কার পরিমাণ অনুপাতে সে ফেতনা ও কুপ্রবৃত্তি থেকে নিরাপদে থাকবে এবং আল্লাহ তার কাছে ইমানকে প্রিয় করে দেবেন ও সেটাকে তার হৃদয়গ্রাহী করবেন। অনুরূপভাবে সে ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য নয় যে, সে ফাসাদপ্রিয়দের পথে চলবে; বরং সে নিজে তা থেকে মুক্ত এবং সমাজে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখে। কেননা প্রকৃত মুসলিম তো সেই ব্যক্তি যার মুখ ও হাত থেকে অপর মুসলিমরা নিরাপদ।
হৃদয়ের কম্পন সৃষ্টজীবের প্রতি দয়া, পারস্পরিক আচরণে নম্রতা এবং অন্যদের রূঢ় আচরণের বিপরীতে সদয় আচরণের ফল দেয়। ভীত হৃদয়ের ব্যক্তি আল্লাহর রহমত লাভ করে। যে ব্যক্তি হৃদয়ের ভীতি, শঙ্কা এবং অন্তরের ব্যাধি থেকে হৃদয়ের নিষ্কলুষতার মতো অন্তরের গুণাবলির মধ্য থেকে এই মহান গুণটি অর্জনের ইচ্ছা করবে; তার কর্তব্য হলো আল্লাহর ভালোবাসা বাস্তবায়িত করা, আল্লাহর কাছে যা রয়েছে তা প্রাপ্তির প্রত্যাশা করা এবং তার আমল হয়তো তিনি কবুল করবেন না এই ভয়ে থাকা।
৩ ফেব্রুয়ারি মসজিদে নববিতে প্রদত্ত জুমার খুতবা। অনুবাদ মুহাম্মদ আতিকুর রহমান
১. তোমাদের মধ্যে সর্বসেরা সে, যে কোরআন শিখে এবং শেখায়। -সহিহ বোখারি : ৫০২৭
২. নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সে, যে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম আচরণের অধিকারী। -সহিহ বোখারি : ৬০৩৫
৩. তোমাদের মধ্যে সর্বসেরা ব্যক্তি সে, যে ঋণ পরিশোধের বেলায় ভালো। -সহিহ বোখারি : ২৩০৫
৪. তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সে, যার কাছ থেকে সবাই কল্যাণ আশা করে, অনিষ্টের আশঙ্কা করে না। -জামে তিরমিজি : ২২৬৩/২৪৩২
৫. তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সে, যে তার পরিবারের কাছে ভালো। -ইবনে হিব্বান : ৪১৭৭
৬. তোমাদের মধ্যে সে সর্বোত্তম, যে খাদ্য দান করে এবং সালামের জবাব দেয়। -সহিহুল জামে : ৩৩১৮
৭. তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সে ব্যক্তি, যে নামাজে কোমল-স্কন্ধ। অর্থাৎ কেউ নামাজের কাতারে প্রবেশ করতে চাইলে কাঁধ কোমল করে তাকে সুযোগ দেয়। -সুনানে আবু দাউদ : ৬৭২
৮. সেরা মানুষ সে, যার বয়স দীর্ঘ এবং কর্ম ভালো হয়। -জামিউল আহাদিস : ১২১০১
৯. সেরা মানুষ সে, যে মানবতার জন্য অধিক কল্যাণকর-উপকারী। -সহিহুল জামে : ৩২৮৯
১০. শ্রেষ্ঠ মানুষ হলো সে, যার অন্তর পরিচ্ছন্ন এবং মুখ সত্যবাদী। সাহাবিরা প্রশ্ন করলেন, সত্যবাদী মুখ বুঝা গেল, কিন্তু পরিচ্ছন্ন অন্তরবিশিষ্ট কে? নবীজি (সা.) ইরশাদ করেন, যে অন্তর স্বচ্ছ-নির্মল, মুত্তাকি, যাতে কোনো পাপ নেই, বাড়াবাড়ি বা জুলুম নেই, নেই খেয়ানত ও বিদ্বেষ। -সহিহুল জামে : ৩২৯১
১১. মহান আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম সঙ্গী সে, যে তার সঙ্গীর কাছে উত্তম। আর আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম প্রতিবেশী সে যে তার প্রতিবেশীর কাছে উত্তম। -জামে তিরমিজি : ১৯৪৪
ময়মনসিংহ জেলা সদরে প্রায় ১২৫০ একর জায়গাজুড়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। সবুজ শ্যামলে ভরপুর ক্যাম্পাসে ঢুকলেই কৃষি অনুষদের পাশে চোখে পড়ে বৃহৎ মিনারের দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনন্য স্থাপত্যের মধ্যে এটি অন্যতম। মসজিদটির অসাধারণ নির্মাণশৈলী ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে এক নতুন রূপ দিয়েছে। দেশের বৃহত্তর এক গম্বুজের মসজিদ এটি।
চতুর্ভুজ আকৃতির এই মসজিদের তিনটি অংশ রয়েছে। মূল ভবনটি মসজিদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ জায়গাজুড়ে অবস্থিত। মূল ভবনে ২৬ কাতারে নামাজ পড়া যায়। মসজিদের পূর্ব পাশে রয়েছে একটি বারান্দা। বারান্দায় নামাজ পড়ার জন্য ১৩টি কাতার রয়েছে। মূল অংশ এবং বারান্দা মিলে ৩৯টি কাতারে প্রায় ৪ হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। মূল মসজিদের ঠিক মধ্যখানে ১২টি পিলারের ওপর স্থাপিত একটি সুবিশাল গম্বুজ, যেটিকে দেশের এক গম্বুজের মসজিদগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ গম্বুজ বলে জানা যায়। এটিই মূলত এই মসজিদের স্থাপত্যশৈলীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক। গম্বুজের ওপর রয়েছে একটি অর্ধ চাঁদ।
মসজিদের আঙিনাকে মূল ক্যাম্পাস থেকে পৃথক করার জন্য চারধারে রয়েছে দৃষ্টি আকর্ষণীয় দেয়ালে ঘেরা তিনটি করিডর, যা মসজিদের বারান্দার একপাশ থেকে শুরু হয়ে অন্যপাশে গিয়ে শেষ হয়েছে। এসব করিডরে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন বাগানবিলাস ফুলের সমারোহ, যা মসজিদটিতে এনে দিয়েছে এক স্বর্গীয় সৌন্দর্য। মসজিদের বারান্দায় প্রবেশ করার জন্য পূর্ব পাশে দুটি, উত্তর এবং দক্ষিণে দুটিসহ চারটি দরজা রয়েছে। এরপর বারান্দা থেকে মসজিদটির মূল ভবনে প্রবেশ করতে আটটি দরজা রয়েছে। এ ছাড়া মসজিদের পশ্চিম পাশে মুসল্লিদের অজু করার জন্য রয়েছে একটি অজুখানা। পূর্ব পাশে রয়েছে একটি বিস্তৃত খোলা মাঠ।
মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে। সে বছরের ৩০ এপ্রিল মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল কালাম মুহাম্মদ আমীনুল হক। দুই বছর পর ১৯৯৫ সালে ২ জুন মসজিদটির উদ্বোধন করে উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহ মোহাম্মদ ফারুক।
মসজিদটিতে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ছাড়াও শুক্রবার জুমার নামাজ পড়া হয়। শুক্রবার মসজিদটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীতে মসজিদটি ভরে ওঠে কানায় কানায়। জুমা ছাড়াও বৃহৎ পরিসরে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।
ইসলামি শরিয়তের বিধান হলো পায়খানা বা প্রস্রাব করার সময় কেবলার দিকে মুখ করে বা পিঠ দেওয়া যাবে না। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কেবলার দিকে মুখ করে বা পিঠ দিয়ে প্রস্রাব-পায়খানা করলে সে গোনাহগার হবে। একইভাবে কেবলার দিকে ফিরে সহবাস করাও নিষিদ্ধ। ইসলামি শরিয়তের এই বিধানের রহস্য হলো, আল্লাহর ঘর ও নিদর্শনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন তোমাদের কেউ পায়খানা-প্রস্রাব করে, তখন যেন সে কেবলার দিকে মুখ বা পিঠ দিয়ে না বসে। -সহিহ বোখারি : ৩৯৪
প্রজ্ঞাবান আলেমরা এই শরয়ি বিধানের তিনটি কারণ চিহ্নিত করেছেন। তা হলো ১. কাবাঘর আল্লাহর নিদর্শনগুলোর অন্যতম। কাবাঘরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা আল্লাহর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের শামিল। আর কাবাঘরের প্রতি অসম্মান মহান স্রষ্টার প্রতিই অসম্মন। এ জন্যই আল্লাহ কাবাঘরের তওয়াফ করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং কাবার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করতে বলেছেন। আর তা করতে বলেছেন পূতঃপবিত্র অবস্থায়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর নিদর্শনাবলির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করল, নিশ্চয়ই তা অন্তরে বিদ্যমান আল্লাহভীতির অনুকূল।’ -সুরা হজ : ৩২
২. যে ঘরকে আল্লাহ নিজের বলে ঘোষণা করেছেন এবং যেদিকে ফিরে মানুষকে ইবাদত করার নির্দেশ দিয়েছেন, সেদিকে ফিরে প্রস্রাব-পায়খানা করা সুনিশ্চিত বেয়াদবি। এতে মহান আল্লাহ ক্ষুব্ধ হন। কেননা পৃথিবীর কোনো রাজা-বাদশাহ ও ক্ষমতাধর ব্যক্তিও তার ঘরের দিকে ফিরে পায়খান-প্রস্রাব করার অনুমতি দেবে না। এই বেয়াদবির কুফল হলো, এর ফলে ব্যক্তির অন্তর থেকে ধীরে ধীরে আল্লাহর সম্মান ও মর্যাদা লোপ পাবে এবং সমাজের ওপরও তার কুফল পড়বে। কোনো একজন কবি বলেছেন, ‘বেয়াদব ব্যক্তি শুধু নিজেকেই ধ্বংস করে না; বরং পৃথিবীর কোনায় কোনায় তার আগুন ছড়িয়ে দেয়।’
৩. ইমানের দাবি হলো, মুমিনের অন্তরে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও মর্যাদা বিরাজ করবে এবং তার আচার-আচরণেও তা প্রকাশ পাবে। যেন তার ভেতর ও বাইরের মধ্যে মিল থাকে। এখন কোনো ব্যক্তি যদি মুখে ইমানের দাবি করে এবং কেবলার দিকে ফিরে মল-মূত্র ত্যাগ করে, তবে সে দাবি মিথ্যা ছাড়া কিছুই না। কেননা তার দাবির সঙ্গে আচরণের কোনো মিল নেই। এটা সুস্পষ্ট মুনাফেকি।
টেস্ট ক্রিকেটে সিলেটের পথচলা শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। অভিজাত সংস্করণে যা ছিল দেশের অষ্টম ভেন্যু। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ম্যাচ দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে পা রাখে দেশের সবচেয়ে সুন্দর এই স্টেডিয়ামটি। তবে মাঠের অভিষেক ম্যাচেই হেরে যায় বাংলাদেশ। তারপর আর কোনো পাঁচ দিনের খেলা গড়ায়নি এই মাঠে। এ নিয়ে স্থানীয়দের আক্ষেপের শেষ নেই।
অবশেষে অপেক্ষার প্রহর ফুরাচ্ছে। পাঁচ বছর পর আবারও টেস্ট ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, ‘আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে আমরা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্ট আয়োজন করতে পারব বলে আশা করছি। এটি আমাদের জন্য খুব একটি উপলক্ষ হবে। কারণ পাঁচ বছর পর সিলেটের মাঠে টেস্ট ক্রিকেট ফিরবে।’
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রতিনিধি দল সিলেট সফর করেছে। তারা সেখানকার মাঠসহ সব সুযোগ সুবিধা পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়ে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। সবকিছু দেখে তারা এখানে আরও বেশি ম্যাচ আয়োজনের জন্য উন্মুখ বলে জানিয়েছেন বিসিবির নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান নাদেল।
তিনি যোগ করেছেন, ‘নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রতিনিধি দল আমাদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বেশ মুগ্ধ। তাদের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয়েছে আমরা তাদের সব প্রত্যাশা ও প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারব।’
এফটিপি সূচি অনুযায়ী চলতি বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্ট ম্যাচের সিরিজে খেলার কথা নিউজিল্যান্ডের। তবে সিরিজটি হবে দুই ভাগে। প্রথম ভাগে সেপ্টেম্বরের শেষভাগে বাংলাদেশের সঙ্গে ওয়ানডে খেলবে কিউইরা। এই সিরিজ খেলেই বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে দুই দল।
বিশ্বকাপের পর হবে দুই দলের টেস্ট সিরিজ। নভেম্বরের শেষ দিকে আবারও বাংলাদেশে আসবে কিউইরা। বিসিবি প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী ২১ নভেম্বর ঢাকায় পা রাখার কথা সফরকারীদের। এরপর একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে দলটি। ২৮ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর হবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজের প্রথম টেস্ট।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনাল দেখতে কুমিল্লায় উড়ে গেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে শুরু হয়েছে ম্যাচটি। সালাউদ্দিন ম্যাচ শুরুর ঘণ্টা খানেক আগে কুমিল্লায় পৌঁছান।
ঢাকা থেকে সড়ক পথে কুমিল্লায় পাড়ি দিতে মাত্র দুই ঘণ্টা সময় লাগে। তবে সালাউদ্দিন দূরত্বটা পাড়ি দিয়েছেন হেলিকপ্টারে করে। যা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
টাকার অভাবে কদিন আগে নারী ফুটবলারদের অলিম্পিক বাছাইয়ে পাঠায়নি বাফুফে। অথচ ঢাকা থেকে কুমিল্লায় যেতে বাফুফে সভাপতি বেছে নিলেন হেলিকপ্টার।
হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে কুমিল্লার এই যাত্রায় বাফুফে সভাপতির সঙ্গী হয়েছেন সংস্থার নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ।