
মুমিন অনবরত গোনাহ করে না। বরং সে তার (হঠাৎ হয়ে যাওয়া) গোনাহের জন্য অনুতপ্ত হয় এবং তওবা করে। মুমিনের এ গুণের কথা কোরআনে কারিমে বর্ণনা করা হয়েছে এভাবে, ‘এবং তারা সেই সব লোক, যারা কখনো কোনো অশ্লীল কাজ করে ফেললে বা (অন্য কোনোভাবে) নিজেদের প্রতি জুলুম (গোনাহ) করলে সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তার ফলে নিজেদের গোনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কেইবা আছে, যে গোনাহ ক্ষমা করতে পারে?’ সুরা আলে ইমরান : ১৩৫
আল্লাহ ক্ষমা করতে ভালোবাসেন, ক্ষমার আশ্বাসবাণী শুনিয়েছেন। বান্দা গোনাহগার কিন্তু আল্লাহ ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু। তার দয়া অসীম, ক্ষমা অতি ব্যাপক। সুতরাং কোনো গোনাহ হয়ে গেলে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। আল্লাহ বলেছেন, ‘বলে দাও, হে আমার বান্দারা! যারা নিজেদের ওপর সীমালঙ্ঘন করেছে, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব পাপ ক্ষমা করেন। তিনি তো অতি ক্ষমাশীল, বড় মেহেরবান।’ সুরা যুমার : ৫৩
আল্লাহ ক্ষমাশীল, তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনার পাশাপাশি গোনাহ থেকে বাঁচারও চেষ্টা করতে হবে। হাদিসে কুদসিতে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ বলেন, হে বনী আদম! তুমি যত গোনাহই করো, যতক্ষণ আমাকে ডাকতে থাকবে এবং আমার কাছে (ক্ষমার) আশা রাখবে আমি তোমার পূর্বের সব (গোনাহ) মাফ করে দেবো, কোনো পরোয়া করব না। হে বনী আদম! তোমার গোনাহ যদি (এত বেশি হয় যে তা) আকাশের মেঘমালা পর্যন্ত পৌঁছে যায়, অতঃপর তুমি আমার কাছে ক্ষমা চাও, আমি ক্ষমা করে দেবো, কোনো পরোয়া করব না। হে বনী আদম! যদি তুমি শিরিক থেকে বেঁচে থাক, আর পৃথিবীভরা গোনাহ নিয়ে আসো তাহলে আমি ওই পরিমাণ ক্ষমা নিয়ে উপস্থিত হবো।’ তিরমিজি : ৩৫৪০
মুস্তাকিম বিল্লাহ
আল্লাহতায়ালা মানুষসহ অন্য সব প্রাণী এবং প্রাণবন্ত ও নির্জীব জিনিস এবং সমগ্র মহাবিশ্বের স্রষ্টা। কিন্তু মানুষের সৃষ্টি এবং অন্যান্য প্রাণী ও জীবের মধ্যে পার্থক্য কী? পার্থক্যটি মানুষের যুক্তির ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। রয়েছে তার সঠিক থেকে ভুল, ভালো থেকে খারাপ, জায়েজ থেকে অনুচিত ইত্যাদির মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষমতার মধ্যে। যারা এই পার্থক্য উপলব্ধি করেন তারা নিশ্চিতভাবে জানেন যে, কোথা থেকে অর্থ উপার্জন করতে হবে এবং কোথা থেকে নয়, আর কষ্টার্জিত অর্থ কোথায় ব্যয় করবেন আর কোথায় করবেন না। এটা এই কারণে যে, আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন ‘সর্বোত্তম কাঠামোতে।’ -সুরা ত্বীন : ৪
মানুষকে সর্বোত্তম কাঠামোয় সৃষ্টি করা হয়েছে। এর মানে হচ্ছে, তাকে এমন উন্নত পর্যায়ের দৈহিক সৌষ্ঠব দান করা হয়েছে, যা অন্য কোনো প্রাণীকে দেওয়া হয়নি। আকার আকৃতির বাইরেও আল্লাহতায়ালা তাকে জ্ঞানী, শক্তিবান, বক্তা, শ্রোতা, কুশলী ও প্রজ্ঞাবান করেছেন। ফাতহুল কাদির মানুষকে এসব এবং এ জাতীয় অন্যান্য শক্তি ও ক্ষমতা দিয়ে আশীর্বাদ করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, মানুষ যে ক্ষমতা ও যোগ্যতার অধিকারী তা সে উপলব্ধি করে কিনা? সে কি সেগুলোর সঠিক ব্যবহার করে? সে কি সমস্ত নিয়ামত ও অনুগ্রহের জন্য কথায় ও কাজে আল্লাহতায়ালাকে ধন্যবাদ দেয়? চারপাশের জগতের ব্যাপারে একটি উপলব্ধি আমাদের বলে যে, আল্লাহতায়ালার একত্বে এবং তার শিক্ষায় বিশ্বাসী শুধু কিছু লোকই তা করতে সক্ষম। অন্যথায়, জনসাধারণের বিশাল অংশ ঐশী শিক্ষার প্রতি একেবারে উদাসীন হয়ে জাগতিক আনন্দে গভীরভাবে নিমজ্জিত। ফলে তারা তাদের ইচ্ছা ও উচ্চাকাক্সক্ষার দাস ছাড়া আর কিছুই নয়। কিছুদিন আগে, এক খবরে প্রকাশ হয়েছে, এক জাপানি তার পছন্দমতো ডিজাইন করা একটি আসল নেকড়ের পোশাক পেতে প্রায় ১৮.৮৫ লাখ ডলার খরচ করেছেন। এ জন্য তিনি জেপেট নামে একটি পেশাদার কোম্পানিকে নিয়োগ দেন। কিন্তু কেন তিনি এমন করলেন? তিনি বলেছিলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই পশুদের প্রতি আমার ভালেবাসা এবং টিভিতে কিছু আসল প্রাণীর স্যুট দেখে আমি একদিন অনুরূপ কিছুর স্বপ্ন দেখেছিলাম।’
এ খবরটি মনে করিয়ে দেয় টোকো নামে আরেক জাপানির ঘটনার কথা। তিনিও জেপেটের একজন গ্রাহক ছিলেন। তিনি প্রায় ১২.১৭ লাখ ডলার খরচ করেছিলেন এক ধরনের কুকুরের পোশাক তৈরি করতে, যা তাকে কুকুরের মতো সাজার দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ করেছিল।
এই দুই জাপানির গল্প থেকে বোঝা যায়, তারা এমনটা করেছিল কারণ তারা আল্লাহ প্রদত্ত মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ কোথায় ব্যয় করবে এবং কোথায় নয় তা বিচার করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিল। তাদের এই ধরনের ব্যয় সম্পদের নিছক অপচয় এবং আল্লাহ আমাদের ওপর যে দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন তার লঙ্ঘন।
মহান আল্লাহ বলেছেন, আমাদের কাছে যা কিছু আছে তা আল্লাহর আমানত। আমরা এটিকে আমাদের জীবনের প্রয়োজনীয়তার জন্য ব্যয় করতে পারি এবং দরিদ্র ও অভাবীদের জন্যও ব্যয় করতে পারি, অবশ্যই প্রতিটি ক্ষেত্রে এই অনুগ্রহের জন্য আমরা আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাই।
আমরা যদি কাউকে ভালোবাসি, তাহলে আমাদের উচিত এমন একজনকে ভালোবাসা যিনি অমর; একটি কুকুর বা নেকড়ে অবশ্যই নশ্বর। একইভাবে আমরা যদি কিছু স্বপ্ন দেখি তবে আমাদের স্বপ্নটি মানবিকভাবে উচ্চ ও মহৎ হওয়া উচিত।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমার বন্ধু রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে তিনটি অসিয়ত করেছেনএক. প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখা, দুই. দুই রাকাত চাশতের নামাজ পড়া, তিন. ঘুমের আগে বিতরের নামাজ পড়া।’ সহিহ বোখারি : ১১৭৮
আলোচ্য হাদিসে নবী করিম (সা.) তিনটি বিশেষ আমলের নির্দেশ দিয়েছেন, যা থেকে নফল রোজা ও নামাজের গুরুত্ব বুঝে আসে। হাদিসবিশারদরা বলেন, যদিও এ হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-কে সম্বোধন করা হয়েছে, তবু তা উম্মতের প্রতিটি ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য।
সবার উচিত আমল তিনটির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া।
প্রিয় তিন আমলের তাৎপর্য আলোচ্য হাদিসে নবী করিম (সা.) যে তিনটি আমলের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন তার তাৎপর্য সম্পর্কে হাদিসবিশারদরা বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তাদের আলোচনার সারকথা নিম্নে তুলে ধরা হলো।
প্রতি মাসে তিন দিন রোজা : হজতর রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতে বলেছেন। অন্য হাদিসে এসেছে, তিনি প্রতি মাসের মধ্যবর্তী তিন দিন রোজা রাখতেন। ইসলামি ফিকহের পরিভাষায় যাকে ‘আইয়ামে বিদ’-এর রোজা বলা হয়। বহু সাহাবি ও আগেকার বুজুর্গরা গুরুত্বের সঙ্গে এ তিন দিন রোজা রাখতেন। এ রোজার তাৎপর্য হলো, হাদিসে এসেছে, আল্লাহ ভালো কাজের প্রতিদান কমপক্ষে ১০ গুণ বৃদ্ধি করেন। সুতরাং কেউ তিন দিন রোজা রাখলে সে পুরো মাস তথা ৩০ দিন রোজা রাখার সমান সওয়াব লাভ করবে।
চাশতের নামাজ : আরও একাধিক বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা চাশতের নামাজের মর্যাদা প্রমাণিত। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের প্রত্যেকের প্রতিটি গ্রন্থির বিপরীতে সদকা (দান) করা আবশ্যক। প্রতিটি তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ) সদকা, প্রতিটি তাহমিদ (আল হামদুলিল্লাহ) সদকা, প্রতিটি তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) প্রতিটি তাকবির (আল্লাহু আকবার) সদকা, সৎকাজের আদেশ সদকা ও অসৎ কাজে নিষেধ সদকা। আর এসব চাশতের দুই রাকাত নামাজ পড়লেই আদায় হয়ে যায়।’ সহিহ মুসলিম : ৭২০
ফকিহরা বলেন, চাশতের নামাজ সর্বনিম্ন দুই রাকাত ও সর্বোচ্চ আট রাকাত। এ নামাজের তাৎপর্য হলো, ব্যক্তি যেন দিনের শুরুতে মহান আল্লাহর দরবারে নফল নামাজের মাধ্যমে সাহায্য ও নৈকট্য প্রার্থনা করতে পারে। এ ছাড়া চাশতের নামাজ আল্লাহর দরবার সুস্থ-স্বাভাবিক অবস্থায় দিন শুরু করতে পারার কৃতজ্ঞতা আদায়। যেমনটি সহিহ মুসলিমের হাদিসে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
ঘুমের আগে বিতর নামাজ আদায় : বিতর নামাজ ওয়াজিব। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) তা আদায় করতে উৎসাহিত করেছেন এবং তিনি নিজে মুকিম ও মুসাফির অবস্থায় সর্বাবস্থায় আদায় করেছেন। এশার নামাজের পর থেকে সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত বিতর নামাজ আদায় করা যায়। উত্তম হলোরাতের শেষ তৃতীয়াংশে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়ের পর তা আদায় করা। আলোচ্য হাদিসে ঘুমের আগে বিতরের নামাজ আদায়ের নির্দেশ তাদের জন্য যাদের শেষ রাতে তাহাজ্জুদের জন্য উঠতে না পারার ভয় আছে।
জানাজা। আরবি শব্দ। অর্থ মৃতদেহ বা লাশ। আর জানাজার নামাজ অর্থ মৃতদেহের নামাজ। এজন্য কোনো মুসলমান মারা গেলে তার মাগফেরাতের জন্য তার মৃতদেহ সামনে নিয়ে বিশেষ নিয়মে যে দোয়া করা হয়, তার নাম জানাজার নামাজ। এই নামাজ মহল্লার দু-একজন আদায় করলেই আদায় হয়ে যায়। তবে কেউই যদি আদায় না করে, তাহলে সবাই গোনাহগার হবে। কথাগুলো এ জন্য বলছি যে, সেদিন একটি জানাজার নামাজে গিয়েছিলাম। সেখানে জানাজার নামাজ ও দাফন শেষে বাড়ি ফেরার সময় সন্তানদের যে কান্না, চিৎকার আর সবাইকে উদ্দেশ করে বাবার কবরের দিকে ইশারা করে বাবা, বাবা করে হাউমাউ করে কান্না। যার বর্ণনা দেওয়ার মতো ভাষা আমার জানা নেই। কারণ, বাবা হারানো সন্তানের স্বভাবতই যে কষ্ট সে কষ্ট থেকে তারা কথাই বলতে পারছিলেন না। তাদের কণ্ঠ বারবার রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছিল। কোমলপ্রাণ বয়োবৃদ্ধ মুসল্লিদের অনেককেও দেখলাম চোখের কোণের পানি মুছছেন। আর হয়তো ভাবছেন! আমাদেরও কখন জানি ডাক আসে চলে যাওয়ার না ফেরার দেশের।
সত্যি! আজকের সূর্যোদয় আমাদের যাদের ওপর হয়েছে, দিনশেষ হতে না হতে অনেকের সময় হয়তো ফুরিয়ে যাবে। আগামীকালের সূর্যোদয় হয়তো আর দেখার সুযোগ হবে না। কী অমোঘ সত্য তাই না! যা ভুলে থাকা যায়, কিন্তু অতিক্রম করা যায় না, এড়িয়ে যাওয়া যায় না। তবে কি জানেন? এই যে দিন-রাতের গমনাগমন, সকাল-দুপুর-বিকেলের প্রাকৃতিক এই পরিবর্তন, সপ্তাহ-মাস-বছরের এই চক্রাকার আবর্তনসবকিছুই বারবার আমাদের বলে যায় বেলা ফুরোনোর কথা। আমাদের দেহ-মনের পরিবর্তন আমাদের বার্তা দিয়ে যায় বেলা ফুরোনোর কথা। আমাদের প্রিয়জনদের চলে যাওয়া ও জানাজার নামাজ আমাদের বার্তা দিয়ে যায় আমাদেরও বেলা ফুরোনোর কথা।
অতএব, আমাদের উচিত এই জানাজা নামাজের বার্তা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজের আমলের মধ্যে পরিবর্তন আনা। নিজেকে সদা প্রস্তুত রাখা। আর সর্বোপরি, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিস, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের জানাজার নামাজ পড়া পর্যন্ত উপস্থিত থাকবে, তার জন্য এক কিরাত সওয়াব রয়েছে। আর যে ব্যক্তি দাফন করা পর্যন্ত উপস্থিত থাকবে, তার জন্য দুই কিরাত সওয়াব রয়েছে। জিজ্ঞাসা করা হলো, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.), দুই কিরাতের পরিমাণ কতটুকু? তিনি বললেন, দুই বড় পাহাড়ের সমান।’সহিহ বোখারি : ১৩২৪/১৩২৫
পিতা-মাতার কাছে ছেলেমেয়ের চেয়ে মূল্যবান আর কিছু নেই। প্রত্যেক পিতা-মাতা তাদের সন্তানের জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলেন। তাদের পড়াশোনা শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তোলেন। কর্মজীবনে প্রতিষ্ঠিত করেন, যাতে তারা সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে পারে। শুধু ছেলেমেয়ের সুখের কথা চিন্তা করলে এই ছেলেমেয়ে সদকায়ে জারিয়া হতে পারে না। তাকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সন্তান নিজে থেকে ভালো মানুষ হতে পারে না। তাকে তৈরি করে নিতে হয়। সৎ ও আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলেই কেবল তার থেকে সদকায়ে জারিয়া পাওয়ার আশা করা যেতে পারে।
শুধু হাত তুলে দোয়া করলেই সদকায়ে জারিয়া হয় না। আরও কিছু কাজ করতে হয়। তিনটি কাজ সদকায়ে জারিয়া- ১. খাল খনন বা টিউবওয়েল বসানো অর্থাৎ মানুষের পানির ব্যবস্থা করা। ২. এমন কিছু লিখে যাওয়া, যা থেকে মানুষ উপকৃত হবে, কল্যাণ লাভ করবে। যতদিন এই দুটো কাজ মানুষের কল্যাণে ব্যবহৃত হবে ততদিন কবরবাসী পিতা-মাতার কবরে পৌঁছে যাবে সদকায়ে জারিয়ার বিনিময় মূল্য। ৩. নেক সন্তান, যে সন্তান বালেগ হওয়ার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হকের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে ততদিন তার পিতা-মাতার কবরে সমপরিমাণ নেকি পৌঁছে দেবেন মহান আল্লাহ।
যে সন্তান পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, হালাল খাবার খায়, হারাম থেকে দূরে থাকে, শরিয়তের বিধিনিষেধ কঠোরভাবে পালন করে, সুদ-ঘুষ, অশ্লীলতা-ব্যভিচার, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রাহাজানি করে না, ফজর থেকে নিয়ে দিনরাত প্রতিটি কাজ আল্লাহতায়ালার হুকুমমাফিক পালন করে, তার করা প্রতিটি সৎকাজের বিনিময় আল্লাহতায়ালা তার পিতা-মাতাকে পৌঁছে দেবেন।
সন্তান হকের পথে সংগ্রাম করলে, দান-খয়রাত করলে তার বিনিময় সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যাবে পিতা-মাতার কবরে। হাসিমুখে কথা বলাও সদকা, আর এই সদকার বিনিময়টুকুও দয়াময় আল্লাহ লাখো কোটি গুণ বৃদ্ধি করে পৌঁছে দেন পিতা-মাতার কবরে।
টেস্ট ক্রিকেটে সিলেটের পথচলা শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। অভিজাত সংস্করণে যা ছিল দেশের অষ্টম ভেন্যু। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ম্যাচ দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে পা রাখে দেশের সবচেয়ে সুন্দর এই স্টেডিয়ামটি। তবে মাঠের অভিষেক ম্যাচেই হেরে যায় বাংলাদেশ। তারপর আর কোনো পাঁচ দিনের খেলা গড়ায়নি এই মাঠে। এ নিয়ে স্থানীয়দের আক্ষেপের শেষ নেই।
অবশেষে অপেক্ষার প্রহর ফুরাচ্ছে। পাঁচ বছর পর আবারও টেস্ট ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, ‘আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে আমরা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্ট আয়োজন করতে পারব বলে আশা করছি। এটি আমাদের জন্য খুব একটি উপলক্ষ হবে। কারণ পাঁচ বছর পর সিলেটের মাঠে টেস্ট ক্রিকেট ফিরবে।’
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রতিনিধি দল সিলেট সফর করেছে। তারা সেখানকার মাঠসহ সব সুযোগ সুবিধা পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়ে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। সবকিছু দেখে তারা এখানে আরও বেশি ম্যাচ আয়োজনের জন্য উন্মুখ বলে জানিয়েছেন বিসিবির নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান নাদেল।
তিনি যোগ করেছেন, ‘নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রতিনিধি দল আমাদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বেশ মুগ্ধ। তাদের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয়েছে আমরা তাদের সব প্রত্যাশা ও প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারব।’
এফটিপি সূচি অনুযায়ী চলতি বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্ট ম্যাচের সিরিজে খেলার কথা নিউজিল্যান্ডের। তবে সিরিজটি হবে দুই ভাগে। প্রথম ভাগে সেপ্টেম্বরের শেষভাগে বাংলাদেশের সঙ্গে ওয়ানডে খেলবে কিউইরা। এই সিরিজ খেলেই বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে দুই দল।
বিশ্বকাপের পর হবে দুই দলের টেস্ট সিরিজ। নভেম্বরের শেষ দিকে আবারও বাংলাদেশে আসবে কিউইরা। বিসিবি প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী ২১ নভেম্বর ঢাকায় পা রাখার কথা সফরকারীদের। এরপর একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে দলটি। ২৮ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর হবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজের প্রথম টেস্ট।
প্রথম দুই সেটই গড়িয়েছে টাইব্রেকারে। প্রথমটি নিষ্পত্তি হয়েছে ৮৫ মিনিটে। দ্বিতীয়টিও টাইব্রেকারে। সেটির নিষ্পত্তি ঘণ্টার ওপরে। দুটোতেই জয় নোভাক জকোভিচের। তারপরেরটিও জিতে যান এই সার্বিয়ান। ১৪তম ফ্রেঞ্চ ওপেনের খেলায় স্পেনের আলেজান্দ্রো ফোকিনার সঙ্গে ৩-০ সেটে জয়লাভ করেন তিনি। যে জয়ে মধুর প্রতিশোধ নিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছেন তিনি।
৩৬ বছর বয়সী এই নাম্বার ওয়ান টেনিস তারকা প্রথম সেটে কিছুটা ছন্দহীন ছিলেন। তবে চ্যাম্পিয়নদের ঘুরে দাঁড়াতে তো সময় বেশি লাগে না। জকোভিচও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। তারপর ফোকিনাকে কোনো সেট জিততে না দিয়েই ম্যাচ শেষ করেন তিনি।
প্রায় ৪ ঘণ্টাব্যাপী চলা এই ম্যাচটিতে এক পেশে জয় হলেও প্রতিটি সেটেই উত্তেজনার পারদ ছড়িয়েছেন দুজন। সমর্থকেরাও বারবার হয়েছেন রোমাঞ্চিত। তবে শেষ পর্যন্ত নোভাক জকোভিচের সমর্থকেরাই হাসি নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আগামী সোমবার জকোভিচ শেষ ষোলোর ম্যাচ খেলতে নামবেন। সেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে কার্লোস আলকারাজকে পেতে পারেন তিনি।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনাল দেখতে কুমিল্লায় উড়ে গেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে শুরু হয়েছে ম্যাচটি। সালাউদ্দিন ম্যাচ শুরুর ঘণ্টা খানেক আগে কুমিল্লায় পৌঁছান।
ঢাকা থেকে সড়ক পথে কুমিল্লায় পাড়ি দিতে মাত্র দুই ঘণ্টা সময় লাগে। তবে সালাউদ্দিন দূরত্বটা পাড়ি দিয়েছেন হেলিকপ্টারে করে। যা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
টাকার অভাবে কদিন আগে নারী ফুটবলারদের অলিম্পিক বাছাইয়ে পাঠায়নি বাফুফে। অথচ ঢাকা থেকে কুমিল্লায় যেতে বাফুফে সভাপতি বেছে নিলেন হেলিকপ্টার।
হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে কুমিল্লার এই যাত্রায় বাফুফে সভাপতির সঙ্গী হয়েছেন সংস্থার নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ।