নির্মাতা টুটুল ও নাট্যকার হীরা হাসপাতালে
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অবস্থায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন গুণী নির্মাতা সাইদুল আনাম টুটুল। এর দুই দিনের মধ্যে একই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন আরেক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নাট্যকার মান্নান হীরা।
গত ১৫ ডিসেম্বর রাত ২টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সাইদুল আনাম টুটুল। তাকে রাতেই রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে গতকাল সকালে মগবাজারে নিজ অফিসে হৃদরোগে আক্রান্ত হন মান্নান হীরা। তাকে প্রথমে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে দুপুর ১২টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ ও আরণ্যক নাট্যদলের সহকর্মীরা রয়েছেন।
টুটুলের বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল দুপুরে ডিরেক্টরস গিল্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক, নাট্যনির্মাতা তুহিন হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘টুটুল ভাই লাইফ সাপোর্টে আছেন। চিকিৎসকরা রোববার রাতে জানিয়েছিলেন, তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়। হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তবে সোমবার (গতকাল) সকালে কিছুটা উন্নতি হয়। ফলে আমরা কিছুটা আশার আলো দেখছি। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন, যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারেন।’
বিএসএমএমইউর করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন নাট্যকার মান্নান হীরা। তার বিষয়ে আরণ্যকের সদস্য অপু মেহেদী গতকাল বিকেলে বলেন, ‘হীরা ভাইয়ের হার্টের সমস্যা আগে থেকেই রয়েছে। আগে থেকেই তার হার্টে রিং পরানো আছে। তা ছাড়া ডায়াবেটিস রয়েছে। এখন চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। সোমবার সন্ধ্যার পর হীরা ভাইয়ের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে চিকিৎসকরা জানাবেন।’
সাইদুল আনাম টুটুল ২০৩ সালে ‘আধিয়ার’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করে প্রশংসিত হন। তারও আগে ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ চলচ্চিত্রের চিত্রসম্পাদক হিসেবে অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। টেলিভিশন নাট্য পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের প্রথম সাধারণ সম্পাদক ও আজীবন সদস্য তিনি। বর্তমানে ‘কালবেলা’ নামের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ নিয়ে ব্যস্ত তিনি। গত নভেম্বরে খুলনা ও কুষ্টিয়ায় ছবিটির শুটিং করেন। এ ছাড়া ‘ঘুড্ডি’, ‘দহন’, ‘দীপু নাম্বার টু’, ‘দুখাই’-এর মতো চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন এই নির্মাতা ও চিত্রসম্পাদক।
মান্নান হীরা অনেক বছর ধরে মঞ্চনাটকের সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি টেলিভিশন নাটক নির্মাতা হিসেবেও পরিচিত। তিনি ‘গরম ভাতের গল্প’ ও ‘একাত্তরের রং পেনসিল’ নামে দুটি শিশুতোষ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। সবশেষ তিনি ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’ নামে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তার লেখা ‘ময়ূর সিংহাসন’, ‘দ্য জুবিলি হোটেল’, ‘মূর্খ লোকের মূর্খ কথা’ নাটকগুলো নিয়মিত মঞ্চস্থ হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন হীরা। এ ছাড়া দেশের অন্যতম নাট্য সংগঠন আরণ্যকের প্রধান সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অবস্থায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন গুণী নির্মাতা সাইদুল আনাম টুটুল। এর দুই দিনের মধ্যে একই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন আরেক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নাট্যকার মান্নান হীরা।
গত ১৫ ডিসেম্বর রাত ২টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সাইদুল আনাম টুটুল। তাকে রাতেই রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে গতকাল সকালে মগবাজারে নিজ অফিসে হৃদরোগে আক্রান্ত হন মান্নান হীরা। তাকে প্রথমে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে দুপুর ১২টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ ও আরণ্যক নাট্যদলের সহকর্মীরা রয়েছেন।
টুটুলের বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল দুপুরে ডিরেক্টরস গিল্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক, নাট্যনির্মাতা তুহিন হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘টুটুল ভাই লাইফ সাপোর্টে আছেন। চিকিৎসকরা রোববার রাতে জানিয়েছিলেন, তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়। হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তবে সোমবার (গতকাল) সকালে কিছুটা উন্নতি হয়। ফলে আমরা কিছুটা আশার আলো দেখছি। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন, যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারেন।’
বিএসএমএমইউর করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন নাট্যকার মান্নান হীরা। তার বিষয়ে আরণ্যকের সদস্য অপু মেহেদী গতকাল বিকেলে বলেন, ‘হীরা ভাইয়ের হার্টের সমস্যা আগে থেকেই রয়েছে। আগে থেকেই তার হার্টে রিং পরানো আছে। তা ছাড়া ডায়াবেটিস রয়েছে। এখন চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। সোমবার সন্ধ্যার পর হীরা ভাইয়ের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে চিকিৎসকরা জানাবেন।’
সাইদুল আনাম টুটুল ২০৩ সালে ‘আধিয়ার’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করে প্রশংসিত হন। তারও আগে ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ চলচ্চিত্রের চিত্রসম্পাদক হিসেবে অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। টেলিভিশন নাট্য পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের প্রথম সাধারণ সম্পাদক ও আজীবন সদস্য তিনি। বর্তমানে ‘কালবেলা’ নামের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ নিয়ে ব্যস্ত তিনি। গত নভেম্বরে খুলনা ও কুষ্টিয়ায় ছবিটির শুটিং করেন। এ ছাড়া ‘ঘুড্ডি’, ‘দহন’, ‘দীপু নাম্বার টু’, ‘দুখাই’-এর মতো চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন এই নির্মাতা ও চিত্রসম্পাদক।
মান্নান হীরা অনেক বছর ধরে মঞ্চনাটকের সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি টেলিভিশন নাটক নির্মাতা হিসেবেও পরিচিত। তিনি ‘গরম ভাতের গল্প’ ও ‘একাত্তরের রং পেনসিল’ নামে দুটি শিশুতোষ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। সবশেষ তিনি ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’ নামে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তার লেখা ‘ময়ূর সিংহাসন’, ‘দ্য জুবিলি হোটেল’, ‘মূর্খ লোকের মূর্খ কথা’ নাটকগুলো নিয়মিত মঞ্চস্থ হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন হীরা। এ ছাড়া দেশের অন্যতম নাট্য সংগঠন আরণ্যকের প্রধান সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।