শিক্ষক নিয়োগে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার নাসির উদ্দিন অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের কাছে বিভাগের নিয়োগ বোর্ডের সদস্য, বিষয় বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত একটি চিঠি গতকাল সোমবার ইউজিসিতে দেওয়া হয়।
চিঠিতে তিনি অভিযোগ করে জানিয়েছেন, গত ১৫ নভেম্বর বশেমুরবিপ্রবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নিয়োগ বোর্ডের দিন ধার্য করা হয়েছিল। প্রার্থীদের কয়েক জনের ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তরের ফল ভালো থাকা সত্ত্বেও কম যোগ্যতাসম্পন্ন ও জামায়াত-শিবিরের একাধিক প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার নাসির উদ্দিন। কিন্তু নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের প্রতিবাদের কারণে উপাচার্য সফল হননি। অন্যদিকে এই বোর্ড বসার আগেই তার পছন্দের জামায়াত-শিবিরের একজন প্রার্থীকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর ওই শিক্ষককে খণ্ডকালীন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা আইন পরিপন্থি।
ওই চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘নিয়োগ বোর্ডের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের কাছে কোনো অফিসিয়াল চিঠি না দিয়েই ১৭ ডিসেম্বর নিয়োগ বোর্ড বসানোর জন্য দিন ধার্য করেছিলেন উপাচার্য। এ ছাড়া নিয়োগ বোর্ড বসার আগে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রার্থীদের সিভি পাঠানো হয়নি। এ ছাড়া এর আগে মাস্টার্সের ফল প্রকাশের আগেই কয়েক জন শিক্ষককে উক্ত বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে অনিয়ম।’ ওই চিঠিতে বর্তমান উপাচার্যের ‘এমন স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে’ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জিনাত হুদা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতাসম্পন্ন কিছু মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের জামায়াত-শিবির প্রার্থীকে ভিসি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন। এমন নিয়োগ বাণিজ্য আমরা মেনে নিতে পারি না।’ ওই প্রার্থী জামায়াত-শিবিরে কর্মী নিশ্চিত হলেন কীভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই প্রার্থী মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা করেছেন।’
মাদ্রাসা থেকে পড়লেই জামায়াত-শিবির কর্মী প্রমাণিত হয় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে প্রার্থীকে খণ্ডকালীন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সে তো আমার সরাসরি শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে তার চলাফেরা, চালচলন তো আমি জানি।’
বিষয়টি জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার নাসির উদ্দিনকে একাধিকবার কল করা হলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার নাসির উদ্দিন অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের কাছে বিভাগের নিয়োগ বোর্ডের সদস্য, বিষয় বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত একটি চিঠি গতকাল সোমবার ইউজিসিতে দেওয়া হয়।
চিঠিতে তিনি অভিযোগ করে জানিয়েছেন, গত ১৫ নভেম্বর বশেমুরবিপ্রবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নিয়োগ বোর্ডের দিন ধার্য করা হয়েছিল। প্রার্থীদের কয়েক জনের ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তরের ফল ভালো থাকা সত্ত্বেও কম যোগ্যতাসম্পন্ন ও জামায়াত-শিবিরের একাধিক প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার নাসির উদ্দিন। কিন্তু নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের প্রতিবাদের কারণে উপাচার্য সফল হননি। অন্যদিকে এই বোর্ড বসার আগেই তার পছন্দের জামায়াত-শিবিরের একজন প্রার্থীকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর ওই শিক্ষককে খণ্ডকালীন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা আইন পরিপন্থি।
ওই চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘নিয়োগ বোর্ডের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের কাছে কোনো অফিসিয়াল চিঠি না দিয়েই ১৭ ডিসেম্বর নিয়োগ বোর্ড বসানোর জন্য দিন ধার্য করেছিলেন উপাচার্য। এ ছাড়া নিয়োগ বোর্ড বসার আগে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রার্থীদের সিভি পাঠানো হয়নি। এ ছাড়া এর আগে মাস্টার্সের ফল প্রকাশের আগেই কয়েক জন শিক্ষককে উক্ত বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে অনিয়ম।’ ওই চিঠিতে বর্তমান উপাচার্যের ‘এমন স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে’ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জিনাত হুদা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতাসম্পন্ন কিছু মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের জামায়াত-শিবির প্রার্থীকে ভিসি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন। এমন নিয়োগ বাণিজ্য আমরা মেনে নিতে পারি না।’ ওই প্রার্থী জামায়াত-শিবিরে কর্মী নিশ্চিত হলেন কীভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই প্রার্থী মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা করেছেন।’
মাদ্রাসা থেকে পড়লেই জামায়াত-শিবির কর্মী প্রমাণিত হয় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে প্রার্থীকে খণ্ডকালীন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সে তো আমার সরাসরি শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে তার চলাফেরা, চালচলন তো আমি জানি।’
বিষয়টি জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার নাসির উদ্দিনকে একাধিকবার কল করা হলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।