কামালের হুঁশিয়ারি ভোট সুষ্ঠু না হলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হলে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন সরকারবিরোধী প্রধান রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন। গতকাল সোমবার ঢাকার হোটেল পূর্বাণীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ৩৫ দফা নির্বাচনী এই ইশতেহার ঘোষণার আগে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আর ১০-১২ দিন বাকি আছে। নির্বাচন হতে দেন। সুষ্ঠু ইলেকশন না হতে দেওয়া, জনগণ যেভাবে পরিবর্তন আনতে চায় তা না হতে দেওয়া হলে দেশের অবস্থা ভয়াবহ দিকে মোড় নিতে পারে যেটা কারো কাম্য নয়। জনগণের উদ্দেশে গণফোরাম সভাপতি বলেন, সময় এসেছে রুখে দাঁড়ানোর, ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের মালিকানা নিজের হাতে বুঝে নেওয়ার। ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করে অনিয়ম রুখবে। ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত নিজেদের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়া দেখে বাড়ি ফিরতে হবে। নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে এক গণ-অভ্যুত্থানের দিন হবে ৩০ ডিসেম্বর। এটা সকলকে মনে রাখবে হবে। ভোটের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে দেশের মালিকানা পুনরুদ্ধার করতে হবে। নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, প্রতিদিন ঢাকাসহ সারা দেশে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গত কয়েকদিনে এক হাজার ৯০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা লজ্জার বিষয়, এটা জাতীয় লজ্জার বিষয়। পুলিশ বাহিনীর প্রতি তিনি বলেন, ‘বেআইনি হুকুম কোনো হুকুম হতে পারে না-এটা আইন। বেআইনি আদেশ মানা একটা অপরাধ। এটা আবার স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। আইজি সাহেব, আমি বিনীতভাবে বলতে চাই, আপনার একটা সুনাম ছিল-এটাকে রক্ষা করেন। পুলিশ বাহিনীকে এই ধরনের এলোপাতাড়ি অ্যারেস্ট থেকে সরে থাকতে বলেন।’ নির্বাচনের প্রচারে পুলিশ ‘পক্ষপাতমূলক’ আচরণ করছে অভিযোগ করে গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘আমি প্রায় ৫০ বছরের ওপরে এসবের সঙ্গে জড়িত আছি। এরকম অবস্থা আমি জীবনে দেখি নাই, আপনারাও দেখেন নাই।’
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হলে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন সরকারবিরোধী প্রধান রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন। গতকাল সোমবার ঢাকার হোটেল পূর্বাণীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ৩৫ দফা নির্বাচনী এই ইশতেহার ঘোষণার আগে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আর ১০-১২ দিন বাকি আছে। নির্বাচন হতে দেন। সুষ্ঠু ইলেকশন না হতে দেওয়া, জনগণ যেভাবে পরিবর্তন আনতে চায় তা না হতে দেওয়া হলে দেশের অবস্থা ভয়াবহ দিকে মোড় নিতে পারে যেটা কারো কাম্য নয়। জনগণের উদ্দেশে গণফোরাম সভাপতি বলেন, সময় এসেছে রুখে দাঁড়ানোর, ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের মালিকানা নিজের হাতে বুঝে নেওয়ার। ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করে অনিয়ম রুখবে। ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত নিজেদের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়া দেখে বাড়ি ফিরতে হবে। নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে এক গণ-অভ্যুত্থানের দিন হবে ৩০ ডিসেম্বর। এটা সকলকে মনে রাখবে হবে। ভোটের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে দেশের মালিকানা পুনরুদ্ধার করতে হবে। নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, প্রতিদিন ঢাকাসহ সারা দেশে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গত কয়েকদিনে এক হাজার ৯০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা লজ্জার বিষয়, এটা জাতীয় লজ্জার বিষয়। পুলিশ বাহিনীর প্রতি তিনি বলেন, ‘বেআইনি হুকুম কোনো হুকুম হতে পারে না-এটা আইন। বেআইনি আদেশ মানা একটা অপরাধ। এটা আবার স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। আইজি সাহেব, আমি বিনীতভাবে বলতে চাই, আপনার একটা সুনাম ছিল-এটাকে রক্ষা করেন। পুলিশ বাহিনীকে এই ধরনের এলোপাতাড়ি অ্যারেস্ট থেকে সরে থাকতে বলেন।’ নির্বাচনের প্রচারে পুলিশ ‘পক্ষপাতমূলক’ আচরণ করছে অভিযোগ করে গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘আমি প্রায় ৫০ বছরের ওপরে এসবের সঙ্গে জড়িত আছি। এরকম অবস্থা আমি জীবনে দেখি নাই, আপনারাও দেখেন নাই।’