প্রতিশোধ নেবে না বিএনপি : ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় গেলে বিএনপি কারও উপর কোনো প্রতিশোধ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দলীয় ইশতেহার প্রকাশের পর তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের কাছে স্পষ্টভাবে অঙ্গীকার করতে চায়, ক্ষমতায় গেলে কোনো প্রতিশোধ নেওয়া হবে না। একটি প্রতিহিংসামুক্ত ও সহমর্মী বাংলাদেশ গড়ে তোলাই বিএনপির লক্ষ্য। ঐকমত্য, সবার অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিহিংসাহীনতা এই মূলনীতির ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করা হবে।
ড. কামাল হোসেনের নেত্বত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়ে এবার ভোটের লড়াইয়ে নেমেছে ১২ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। এই সময়ের পরিস্থিতি তুলে ধরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফখরুল বলেন, ‘সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘরছাড়া। দীর্ঘদিন ধরে তারা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। আপনাদের একটি ভোট বিএনপি নেতাকর্মীদের তাদের পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ করে দেবে। অবসান ঘটাবে জুলুম ও নির্যাতনের বিভীষিকাময় পরিস্থিতির।’
ফখরুল বলেন, ‘আজকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আমাদের সঙ্গে নেই। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে একটি পরিত্যক্ত ভবনে নির্জন কারাবাস করছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই দেশে ফিরতে পারছেন না।’ এ অবস্থায় দুই নেতার সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় জনগণের কাছে ভোট চান তিনি।
বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের বর্জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ‘ভোটারবিহীন’ আখ্যা দিয়ে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র বলেন, ‘গত প্রায় ১০ বছরে দেশে কোনো রকম সুশাসন ও আইনের শাসন ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। মামলাÑহামলা, গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয়েছে ত্রাসের রাজত্ব।’
সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, জনগণের বাকস্বাধীনতা ও সভাÑসমাবেশের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশে আঞ্চলিক ও শ্রেণিবৈষম্য ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। দারিদ্র্য হ্রাসের হার কমে গেছে। দেশ থেকে পাচার হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা, ব্যাংকগুলো লুট হয়ে যাচ্ছে। দেশে সৃষ্টি হয়েছে দুর্বৃত্তায়ন ও লুণ্ঠনের অর্থনীতি।
তিনি বলেন, এ রকম একটি নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতিতে ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এটি শুধু নির্বাচনে জয় পরাজয়ের লড়াই নয়, এ লড়াই অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই।
ফখরুলের ভাষ্য, বিএনপি একটি উন্নত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়। দেশের উন্নয়নে বিএনপির কর্মসূচি বহুমুখী ও উন্নততর।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় গেলে বিএনপি কারও উপর কোনো প্রতিশোধ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দলীয় ইশতেহার প্রকাশের পর তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের কাছে স্পষ্টভাবে অঙ্গীকার করতে চায়, ক্ষমতায় গেলে কোনো প্রতিশোধ নেওয়া হবে না। একটি প্রতিহিংসামুক্ত ও সহমর্মী বাংলাদেশ গড়ে তোলাই বিএনপির লক্ষ্য। ঐকমত্য, সবার অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিহিংসাহীনতা এই মূলনীতির ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করা হবে।
ড. কামাল হোসেনের নেত্বত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়ে এবার ভোটের লড়াইয়ে নেমেছে ১২ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। এই সময়ের পরিস্থিতি তুলে ধরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ফখরুল বলেন, ‘সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘরছাড়া। দীর্ঘদিন ধরে তারা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। আপনাদের একটি ভোট বিএনপি নেতাকর্মীদের তাদের পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ করে দেবে। অবসান ঘটাবে জুলুম ও নির্যাতনের বিভীষিকাময় পরিস্থিতির।’
ফখরুল বলেন, ‘আজকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আমাদের সঙ্গে নেই। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে একটি পরিত্যক্ত ভবনে নির্জন কারাবাস করছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই দেশে ফিরতে পারছেন না।’ এ অবস্থায় দুই নেতার সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় জনগণের কাছে ভোট চান তিনি।
বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের বর্জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ‘ভোটারবিহীন’ আখ্যা দিয়ে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র বলেন, ‘গত প্রায় ১০ বছরে দেশে কোনো রকম সুশাসন ও আইনের শাসন ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। মামলাÑহামলা, গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয়েছে ত্রাসের রাজত্ব।’
সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, জনগণের বাকস্বাধীনতা ও সভাÑসমাবেশের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশে আঞ্চলিক ও শ্রেণিবৈষম্য ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। দারিদ্র্য হ্রাসের হার কমে গেছে। দেশ থেকে পাচার হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা, ব্যাংকগুলো লুট হয়ে যাচ্ছে। দেশে সৃষ্টি হয়েছে দুর্বৃত্তায়ন ও লুণ্ঠনের অর্থনীতি।
তিনি বলেন, এ রকম একটি নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতিতে ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এটি শুধু নির্বাচনে জয় পরাজয়ের লড়াই নয়, এ লড়াই অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই।
ফখরুলের ভাষ্য, বিএনপি একটি উন্নত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়। দেশের উন্নয়নে বিএনপির কর্মসূচি বহুমুখী ও উন্নততর।