খাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় সরকার : কামাল
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
দেশে নতুন আসা মাদক এনপিএস বা খাট নিয়ে সরকার চিন্তিত বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। গতকাল বৃহস্পতিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রায়োগিক বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনার জন্য আয়োজিত ‘বিস্তরণ কর্মশালা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী কথা জানান।
ইথিওপিয়ার গাঁজা হিসেবে পরিচিত খাট। দেখতে চায়ের পাতার মতো হওয়ায় গ্রিন-টি হিসেবে এর চালান বাংলাদেশে আসে বলে দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। সম্প্রতি এ মাদকের একাধিক চালান জব্দ করে এর সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কর্মশালায় মাদকটি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে কোনো মাদক তৈরি হয় না। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে সীমান্ত দিয়ে এই মাদক আমাদের দেশে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে এনপিএস নামে নতুন এক মাদক আমাদের ভাবিয়ে তুলছে।
তিনি আরো বলেন, ‘যুব সমাজ আমাদের সম্পদ। কিন্তু দেশে নতুন নতুন মাদকের আবির্ভাব ঘটছে। মাদকাসক্তরা এই নতুন নতুন মাদকের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বর্তমানে ইয়াবার মতো মাদক আমাদের সমাজ পরিবার বিষিয়ে তুলছে। দিনমজুর থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিত্তশালী শ্রেণির মধ্যে ইয়াবার ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
আইনি দুর্বলতা ও ফাঁকফোকরে প্রকৃত অপরাধীরা সুযোগ নিয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে যায় বলে মত মন্ত্রীর। তিনি জানান, সংশোধিত আইনে সে সুযোগ থাকবে না।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। নতুন আইনে ২০০ গ্রামের বেশি এম ভিটামিনযুক্ত ইয়াবা আটকে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কিংবা মৃত্যুদণ্ড।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

দেশে নতুন আসা মাদক এনপিএস বা খাট নিয়ে সরকার চিন্তিত বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। গতকাল বৃহস্পতিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রায়োগিক বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনার জন্য আয়োজিত ‘বিস্তরণ কর্মশালা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী কথা জানান।
ইথিওপিয়ার গাঁজা হিসেবে পরিচিত খাট। দেখতে চায়ের পাতার মতো হওয়ায় গ্রিন-টি হিসেবে এর চালান বাংলাদেশে আসে বলে দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। সম্প্রতি এ মাদকের একাধিক চালান জব্দ করে এর সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কর্মশালায় মাদকটি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে কোনো মাদক তৈরি হয় না। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে সীমান্ত দিয়ে এই মাদক আমাদের দেশে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে এনপিএস নামে নতুন এক মাদক আমাদের ভাবিয়ে তুলছে।
তিনি আরো বলেন, ‘যুব সমাজ আমাদের সম্পদ। কিন্তু দেশে নতুন নতুন মাদকের আবির্ভাব ঘটছে। মাদকাসক্তরা এই নতুন নতুন মাদকের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বর্তমানে ইয়াবার মতো মাদক আমাদের সমাজ পরিবার বিষিয়ে তুলছে। দিনমজুর থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিত্তশালী শ্রেণির মধ্যে ইয়াবার ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
আইনি দুর্বলতা ও ফাঁকফোকরে প্রকৃত অপরাধীরা সুযোগ নিয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে যায় বলে মত মন্ত্রীর। তিনি জানান, সংশোধিত আইনে সে সুযোগ থাকবে না।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। নতুন আইনে ২০০ গ্রামের বেশি এম ভিটামিনযুক্ত ইয়াবা আটকে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কিংবা মৃত্যুদণ্ড।