বাংলাদেশের বিরোধী দল ‘আন্ডারগ্রাউন্ডে’
রূপান্তর ডেস্ক | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে হুমকির মধ্যে দেশটির বিরোধী দল আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গেছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। কর্র্তৃপক্ষ বিরোধী দলের প্রার্থীদের রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে সুব্রত চৌধুরী নামে বিরোধীদলীয় এক প্রার্থীর বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘পোস্টার লাগানোর সময় ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের আক্রমণের শিকার হয়েছি আমরা। পুলিশ শুধু নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে অথবা সক্রিয়ভাবে তাদের সমর্থন করে।’
নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (বিএনপি) মধ্যকার সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিসেম্বরের ৩০ তারিখের ভোটকে কেন্দ্র করে সহিংসতা এড়াতে নির্বাচন কমিশন সারা দেশে আধা সামরিক বাহিনীর বিশ হাজার সদস্য মোতায়েন করেছে। বিএনপি দাবি করে, নির্বাচনী প্রচারে সময় ৩০০ প্রার্থীর মধ্যে ১৫২ জনই আক্রমণের শিকার হয়েছেন। এছাড়া গত মাসে ৮ হাজার ৭০০ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৪ প্রার্থীও রয়েছেন। বিরোধী দলের সঙ্গে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগেরও দুজন সমর্থক নিহত হয়েছেন।
এতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বরাতে বলা হয়, ‘পার্টি তার কর্মীদের বিরোধীদলীয় কর্মীদের ওপর হামলা করতে বলেনি। আমি বলব না সব মিথ্যা। কিন্তু আমরা এমন কোনো নির্দেশনা দেইনি।’ নির্বাচন কমিশন বলছে, বিরোধী দলের প্রার্থীদের মধ্যে অনেকে নির্বাচনে অযোগ্য হলেও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়াবিষয়ক প্রধান ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, ‘মূল বিরোধী দলের সদস্য এবং সমর্থকরা গ্রেপ্তার, হত্যা এমনকি নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছেন। ভয় এবং দমনের পরিবেশ সৃষ্টি করে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করা যায় না।’
প্রতিবেদনে রাজধানী ঢাকার পশ্চিম নাখালপাড়ার রেজাউর রহমান নামের একজন ভোটারের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘এটা একপক্ষীয় নির্বাচন। বিরোধী দল প্রচার চালানোর ব্যাপারে বেশ ভীত।’
এছাড়া বিএনপির প্রার্থী আফরোজা আব্বাসের বক্তব্য প্রতিবেদনে জায়গা পায়। তিনি বলেন, ‘তারা দাবি করে মানুষ তাদের সঙ্গে আছে। তাহলে তারা কেন সবাইকে স্বাধীনভাবে প্রচার চালাতে দেয় না।’
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে হুমকির মধ্যে দেশটির বিরোধী দল আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গেছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। কর্র্তৃপক্ষ বিরোধী দলের প্রার্থীদের রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে সুব্রত চৌধুরী নামে বিরোধীদলীয় এক প্রার্থীর বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘পোস্টার লাগানোর সময় ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের আক্রমণের শিকার হয়েছি আমরা। পুলিশ শুধু নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে অথবা সক্রিয়ভাবে তাদের সমর্থন করে।’
নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (বিএনপি) মধ্যকার সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিসেম্বরের ৩০ তারিখের ভোটকে কেন্দ্র করে সহিংসতা এড়াতে নির্বাচন কমিশন সারা দেশে আধা সামরিক বাহিনীর বিশ হাজার সদস্য মোতায়েন করেছে। বিএনপি দাবি করে, নির্বাচনী প্রচারে সময় ৩০০ প্রার্থীর মধ্যে ১৫২ জনই আক্রমণের শিকার হয়েছেন। এছাড়া গত মাসে ৮ হাজার ৭০০ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৪ প্রার্থীও রয়েছেন। বিরোধী দলের সঙ্গে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগেরও দুজন সমর্থক নিহত হয়েছেন।
এতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বরাতে বলা হয়, ‘পার্টি তার কর্মীদের বিরোধীদলীয় কর্মীদের ওপর হামলা করতে বলেনি। আমি বলব না সব মিথ্যা। কিন্তু আমরা এমন কোনো নির্দেশনা দেইনি।’ নির্বাচন কমিশন বলছে, বিরোধী দলের প্রার্থীদের মধ্যে অনেকে নির্বাচনে অযোগ্য হলেও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়াবিষয়ক প্রধান ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, ‘মূল বিরোধী দলের সদস্য এবং সমর্থকরা গ্রেপ্তার, হত্যা এমনকি নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছেন। ভয় এবং দমনের পরিবেশ সৃষ্টি করে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করা যায় না।’
প্রতিবেদনে রাজধানী ঢাকার পশ্চিম নাখালপাড়ার রেজাউর রহমান নামের একজন ভোটারের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘এটা একপক্ষীয় নির্বাচন। বিরোধী দল প্রচার চালানোর ব্যাপারে বেশ ভীত।’
এছাড়া বিএনপির প্রার্থী আফরোজা আব্বাসের বক্তব্য প্রতিবেদনে জায়গা পায়। তিনি বলেন, ‘তারা দাবি করে মানুষ তাদের সঙ্গে আছে। তাহলে তারা কেন সবাইকে স্বাধীনভাবে প্রচার চালাতে দেয় না।’