প্রার্থীশূন্য ৮ আসনে ফের তফসিল চায় বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
একাদশ সংসদ নির্বাচনে আদালতের আদেশে বিএনপির প্রার্থীশূন্য হওয়া আসনগুলোতে পুনঃতফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছে দলটি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যে নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। এক্ষেত্রে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশন বৈধতা দেওয়ার পর আদালত তা বাতিল করছেন। আমরা একজন প্রার্থীকে নির্বাচনী এলাকায় পরিচয় করিয়েছি, এখন এসে আমাদের প্রার্থী বাতিল করা হলো। নির্বাচন কমিশন বৈধ ঘোষণার পর আদালত অবৈধ ঘোষণা করায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। ইসির ভুলে আমরা কেন শাস্তি পাব।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইসির সিদ্ধান্তে বৈধ বিএনপির আটজনের প্রার্থিতা সম্প্রতি আদালতে বাতিল হয়েছে। সেই আসনগুলো হলোÑ জামালপুর-৪, বগুড়া-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪, রংপুর-১, ময়মনসিংহ-৮, ঝিনাইদহ-২, জয়পুরহাট-১ ও রাজশাহী-৬।
নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, ‘এই অবস্থায় আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে দুটি প্রস্তাব করেছি। প্রথমত আমাদের যে আটটি আসনে আদালতের রায়ে প্রার্থীশূন্য হয়ে গেছে, সেসব আসনে পুনঃতফসিল দেওয়া হোক অথবা আমাদের অন্য যে বৈধ প্রার্থী ছিলেন তাদের মধ্য থেকে প্রার্থিতা দেওয়া হোক। নির্বাচন কমিশন আমাদের বক্তব্য শুনে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে।’
ব্যালট পেপার প্রস্তুত করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আইন অনুযায়ী, গুজব ছড়ালে শাস্তি হয়। এখন প্রধানমন্ত্রী গুজব ছড়ালে শাস্তি হয় কি না জানি না। কেননা ব্যালট পেপার ছাপানোর মতো যে ব্যবস্থাপনা থাকা দরকার তা সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে। কাজেই বিএনপির ব্যালট পেপার ছাপানোর বিষয়টি গুজব।’
ইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠকে ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। আর নজরুল ইসলামের সঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ছিলেন।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

একাদশ সংসদ নির্বাচনে আদালতের আদেশে বিএনপির প্রার্থীশূন্য হওয়া আসনগুলোতে পুনঃতফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছে দলটি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যে নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। এক্ষেত্রে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশন বৈধতা দেওয়ার পর আদালত তা বাতিল করছেন। আমরা একজন প্রার্থীকে নির্বাচনী এলাকায় পরিচয় করিয়েছি, এখন এসে আমাদের প্রার্থী বাতিল করা হলো। নির্বাচন কমিশন বৈধ ঘোষণার পর আদালত অবৈধ ঘোষণা করায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। ইসির ভুলে আমরা কেন শাস্তি পাব।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইসির সিদ্ধান্তে বৈধ বিএনপির আটজনের প্রার্থিতা সম্প্রতি আদালতে বাতিল হয়েছে। সেই আসনগুলো হলোÑ জামালপুর-৪, বগুড়া-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪, রংপুর-১, ময়মনসিংহ-৮, ঝিনাইদহ-২, জয়পুরহাট-১ ও রাজশাহী-৬।
নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, ‘এই অবস্থায় আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে দুটি প্রস্তাব করেছি। প্রথমত আমাদের যে আটটি আসনে আদালতের রায়ে প্রার্থীশূন্য হয়ে গেছে, সেসব আসনে পুনঃতফসিল দেওয়া হোক অথবা আমাদের অন্য যে বৈধ প্রার্থী ছিলেন তাদের মধ্য থেকে প্রার্থিতা দেওয়া হোক। নির্বাচন কমিশন আমাদের বক্তব্য শুনে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে।’
ব্যালট পেপার প্রস্তুত করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আইন অনুযায়ী, গুজব ছড়ালে শাস্তি হয়। এখন প্রধানমন্ত্রী গুজব ছড়ালে শাস্তি হয় কি না জানি না। কেননা ব্যালট পেপার ছাপানোর মতো যে ব্যবস্থাপনা থাকা দরকার তা সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে। কাজেই বিএনপির ব্যালট পেপার ছাপানোর বিষয়টি গুজব।’
ইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠকে ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। আর নজরুল ইসলামের সঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ছিলেন।