ভোটযুদ্ধে চট্টগ্রাম চেম্বারের পাঁচ সাবেক সভাপতি
শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে ভোটযুদ্ধে মাঠে রয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের পাঁচ সাবেক সভাপতি। এদের মধ্যে তিনজন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে, আর দুজন নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন। তাদের এ নির্বাচন নিয়ে এখন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে আলোচনা হচ্ছে। ভোটাররা পাঁচজনকেই বিবেচনা করছেন শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে। এদের মধ্যে দুটি আসনে মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছেন সাবেক চার সভাপতি।
আলোচিত এ পাঁচ সাবেক ব্যবসায়ী হলেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ,
সাবেক পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী,
বর্তমান এমপি এম এ লতিফ ও সাবেক এমপি সরওয়ার জামাল নিজাম। তারা পাঁচজনই চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) একাধিকবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
চট্টগ্রাম-১১ (পতেঙ্গা-বন্দর) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। একই আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন বর্তমান এমপি এম এ লতিফ। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নৌকা ও ধানের শীষের দুই প্রার্থীই রয়েছেন জোর প্রচারে।
চট্টগ্রাম মহানগরীর একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে বঙ্গোপাসাগর ও কর্ণফুলী নদী লাগোয়া এ আসনটিকে নানা কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়। আসনটিতে রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার জ¦ালানির ডিপো, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাঁটি, বিমানবাহিনীর ঘাঁটিসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। বহুল আলোচিত কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণ প্রকল্প ও বে-টার্মিনাল প্রকল্পও রয়েছে এ এলাকায়। দেড় যুগ ধরে প্রতিটি নির্বাচনে ব্যবসায়ী নেতারাই ওই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পরবর্তী সময়ে তিনি আসনটি ছেড়ে দিলে সেখানে উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন চট্টগ্রাম
(শেষ পৃষ্ঠার পর)
চেম্বারের তৎকালীন সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এরপর ১৯৯৬ ও ২০০১ সালেও তিনি ওই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
অন্যদিকে ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে পতেঙ্গা-বন্দর আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রথমবারের মতো অংশ নেন তৎকালীন চেম্বার সভাপতি এম এ লতিফ। ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে হারিয়ে সংসদের চেয়ারে বসেন তিনি। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় ওই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন।
এবারের নির্বাচনেও পতেঙ্গা-বন্দর আসনে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মনোনয়নে প্রার্থী হয়েছেন আলোচিত দুই ব্যবসায়ী নেতা। এলাকার ভোটাররা জানালেন জনপ্রিয়তার দিক থেকেও কেউ কারো চেয়ে কম নয়। নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে দুজনই চষে বেড়াচ্ছেন এলাকার অলিগলি। তাই কে হাসবেন শেষ হাসি তা আগেভাগে বলার কোনো সুযোগ নেই।
পতেঙ্গা-বন্দর আসনের মতো চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনেও নৌকা আর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সরাসরি ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক দুই সভাপতি সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও সরওয়ার জামাল নিজাম। আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকে নৌকার প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ নির্বাচনী প্রচারণায় সরব থাকলেও অনেকটা নীরব ধানের শীষের প্রার্থী সরওয়ার জামাল নিজাম। তার নিজ বাড়িতে সমবেত হওয়া কর্মী-সমর্থকদের মাত্র একদফা মতবিনিময় ছাড়া এলাকায় তার পক্ষে কোনো ধরনের তৎপরতা দৃশ্যমান হয়নি।
চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে অনেকটা লাগোয়া বঙ্গোপসাগর, কর্ণফুলী ও সাংগু তীরবর্তী এই আসনটিতে রয়েছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পপ্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লি. (সিইউএফএল) ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো)। দেশের বৃহত্তম কোরিয়ান ইপিজেড ও প্রস্তাবিত চায়না ইকোনমিক জোন। কর্ণফুলীর তলদেশের টানেলটিও যাচ্ছে আনোয়ারা হয়ে। অনেকগুলো বিখ্যাত পীর-আউলিয়ার মাজার ও প্রসিদ্ধ স্থান রয়েছে এই এলাকায়।
আসনটি থেকে চারবার সংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের আরেক সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। তার মৃত্যুর পর ২০১৩ সালের ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে আসনটি থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করে বাবুর ছেলে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদকে। বাবার আসনে নির্বাচন করে জয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাবেদ। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে ভূমি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয় মহাজোট সরকার।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের এ আসনটিতে ১৯৯৬ সালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নেন সাবেক চেম্বার সভাপতি সরওয়ার জামাল নিজাম। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আতাউর রহমান খান কায়সারকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত অষ্টম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুকে হারিয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর কাছে পরাজিত হন।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম চেম্বারের আরেক সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসন থেকে। ১৯৯৬ সালে একই আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেন তিনি। এরপর ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন। এবারও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বাঁশখালী আসন থেকে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান আবার এ আসনে নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দলের প্রার্থী হিসেবে। তবে ঐক্যজোটের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে জামায়াত নেতা জহিরুল ইসলাম এবং মহাজোটের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে জাতীয় পার্টি নেতা মাহমুদুল ইসলাম নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়েছেন। এর ফলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীরা ভোটের মাঠে বিপাকে পড়েছেন।
শেয়ার করুন
শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে ভোটযুদ্ধে মাঠে রয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের পাঁচ সাবেক সভাপতি। এদের মধ্যে তিনজন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে, আর দুজন নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন। তাদের এ নির্বাচন নিয়ে এখন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে আলোচনা হচ্ছে। ভোটাররা পাঁচজনকেই বিবেচনা করছেন শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে। এদের মধ্যে দুটি আসনে মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছেন সাবেক চার সভাপতি।
আলোচিত এ পাঁচ সাবেক ব্যবসায়ী হলেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ,

সাবেক পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী,

বর্তমান এমপি এম এ লতিফ ও সাবেক এমপি সরওয়ার জামাল নিজাম। তারা পাঁচজনই চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) একাধিকবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
চট্টগ্রাম-১১ (পতেঙ্গা-বন্দর) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। একই আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন বর্তমান এমপি এম এ লতিফ। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নৌকা ও ধানের শীষের দুই প্রার্থীই রয়েছেন জোর প্রচারে।
চট্টগ্রাম মহানগরীর একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে বঙ্গোপাসাগর ও কর্ণফুলী নদী লাগোয়া এ আসনটিকে নানা কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়। আসনটিতে রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার জ¦ালানির ডিপো, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাঁটি, বিমানবাহিনীর ঘাঁটিসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। বহুল আলোচিত কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণ প্রকল্প ও বে-টার্মিনাল প্রকল্পও রয়েছে এ এলাকায়। দেড় যুগ ধরে প্রতিটি নির্বাচনে ব্যবসায়ী নেতারাই ওই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পরবর্তী সময়ে তিনি আসনটি ছেড়ে দিলে সেখানে উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন চট্টগ্রাম
(শেষ পৃষ্ঠার পর)
চেম্বারের তৎকালীন সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এরপর ১৯৯৬ ও ২০০১ সালেও তিনি ওই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
অন্যদিকে ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে পতেঙ্গা-বন্দর আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রথমবারের মতো অংশ নেন তৎকালীন চেম্বার সভাপতি এম এ লতিফ। ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে হারিয়ে সংসদের চেয়ারে বসেন তিনি। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় ওই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন।
এবারের নির্বাচনেও পতেঙ্গা-বন্দর আসনে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মনোনয়নে প্রার্থী হয়েছেন আলোচিত দুই ব্যবসায়ী নেতা। এলাকার ভোটাররা জানালেন জনপ্রিয়তার দিক থেকেও কেউ কারো চেয়ে কম নয়। নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে দুজনই চষে বেড়াচ্ছেন এলাকার অলিগলি। তাই কে হাসবেন শেষ হাসি তা আগেভাগে বলার কোনো সুযোগ নেই।
পতেঙ্গা-বন্দর আসনের মতো চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনেও নৌকা আর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সরাসরি ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক দুই সভাপতি সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও সরওয়ার জামাল নিজাম। আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকে নৌকার প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ নির্বাচনী প্রচারণায় সরব থাকলেও অনেকটা নীরব ধানের শীষের প্রার্থী সরওয়ার জামাল নিজাম। তার নিজ বাড়িতে সমবেত হওয়া কর্মী-সমর্থকদের মাত্র একদফা মতবিনিময় ছাড়া এলাকায় তার পক্ষে কোনো ধরনের তৎপরতা দৃশ্যমান হয়নি।
চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে অনেকটা লাগোয়া বঙ্গোপসাগর, কর্ণফুলী ও সাংগু তীরবর্তী এই আসনটিতে রয়েছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পপ্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লি. (সিইউএফএল) ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো)। দেশের বৃহত্তম কোরিয়ান ইপিজেড ও প্রস্তাবিত চায়না ইকোনমিক জোন। কর্ণফুলীর তলদেশের টানেলটিও যাচ্ছে আনোয়ারা হয়ে। অনেকগুলো বিখ্যাত পীর-আউলিয়ার মাজার ও প্রসিদ্ধ স্থান রয়েছে এই এলাকায়।
আসনটি থেকে চারবার সংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের আরেক সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। তার মৃত্যুর পর ২০১৩ সালের ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে আসনটি থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করে বাবুর ছেলে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদকে। বাবার আসনে নির্বাচন করে জয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাবেদ। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে ভূমি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয় মহাজোট সরকার।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের এ আসনটিতে ১৯৯৬ সালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নেন সাবেক চেম্বার সভাপতি সরওয়ার জামাল নিজাম। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আতাউর রহমান খান কায়সারকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত অষ্টম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুকে হারিয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর কাছে পরাজিত হন।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম চেম্বারের আরেক সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসন থেকে। ১৯৯৬ সালে একই আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেন তিনি। এরপর ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন। এবারও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বাঁশখালী আসন থেকে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান আবার এ আসনে নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দলের প্রার্থী হিসেবে। তবে ঐক্যজোটের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে জামায়াত নেতা জহিরুল ইসলাম এবং মহাজোটের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে জাতীয় পার্টি নেতা মাহমুদুল ইসলাম নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়েছেন। এর ফলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীরা ভোটের মাঠে বিপাকে পড়েছেন।