ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ গ্রাহকরা
যুক্তরাজ্যে গ্রামীণ ফাউন্ডেশন বন্ধ
রূপান্তর ডেস্ক | ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ডে অনগ্রসর ব্যক্তিদের ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া গ্রামীণ ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে বন্ধ হয়েছে। গ্রামীণ ফাউন্ডেশন স্কটল্যান্ড নামের ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের একজন ছিলেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বিবিসি বাংলার গতকাল রোববারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কটল্যান্ডের ওই ক্ষুদ্রঋণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণকারীদের অনেকে তা পরিশোধ না করার কারণে প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক সংকটে পড়ে। প্রতিষ্ঠানটিতে একজন আর্থিক কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে, যিনি এখন সেটির সম্পত্তি বিক্রি করে যতটা সম্ভব দেনার বন্দোবস্ত করবেন।বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের পদ্ধতি অনুসরণ করে ২০১২ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়েছিল। এই ফাউন্ডেশনেরও ছয়জন পরিচালকের একজন ছিলেন অধ্যাপক ইউনূস। প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাজ্যের গ্রামীণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছিল।
গ্লাসগোর ক্যালডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক গ্রামীণ ফাউন্ডেশন স্কটল্যান্ড এমন মানুষদের ঋণ দিত, যাদের প্রধান অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ঋণ দেওয়া হতো না। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ছিল, ‘যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করা’Ñ প্রাথমিকভাবে যা পশ্চিম স্কটল্যান্ড থেকে শুরু করা হয়। কর্মকাণ্ড শুরুর পর প্রতিষ্ঠানটি এক হাজার মানুষের মধ্যে ঋণ বিতরণ করে।
প্রতিষ্ঠানটির সম্পত্তি ও দেনা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেওয়া ডানকান এলএলপির কর্মকর্তা ব্রায়ান মিলনে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম এখন বন্ধ হয়ে গেছে। গ্রামীণ স্কটল্যান্ড ফাউন্ডেশন এখন আর তাদের ব্যবসা চালাতে পারবে না, যেহেতু তাদের ঋণের পরিমাণ অপূরণীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ঋণ গ্রহীতাদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় তিন লাখ পাউন্ডের (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকা) ঋণ রয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটির ধসের কারণ, অনেক ঋণগ্রহীতা তাদের বকেয়া পরিশোধ না করার কারণে সেটি আর্থিক অবস্থার ওপর বড় প্রভাব পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দেউলিয়া হয়ে পড়ায় পরিচালকরা ব্যবসা গুটিয়ে ফেলার আবেদন করেছেন।’
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ডে অনগ্রসর ব্যক্তিদের ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া গ্রামীণ ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে বন্ধ হয়েছে। গ্রামীণ ফাউন্ডেশন স্কটল্যান্ড নামের ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের একজন ছিলেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বিবিসি বাংলার গতকাল রোববারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কটল্যান্ডের ওই ক্ষুদ্রঋণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণকারীদের অনেকে তা পরিশোধ না করার কারণে প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক সংকটে পড়ে। প্রতিষ্ঠানটিতে একজন আর্থিক কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে, যিনি এখন সেটির সম্পত্তি বিক্রি করে যতটা সম্ভব দেনার বন্দোবস্ত করবেন।বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের পদ্ধতি অনুসরণ করে ২০১২ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়েছিল। এই ফাউন্ডেশনেরও ছয়জন পরিচালকের একজন ছিলেন অধ্যাপক ইউনূস। প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাজ্যের গ্রামীণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছিল।
গ্লাসগোর ক্যালডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক গ্রামীণ ফাউন্ডেশন স্কটল্যান্ড এমন মানুষদের ঋণ দিত, যাদের প্রধান অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ঋণ দেওয়া হতো না। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ছিল, ‘যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করা’Ñ প্রাথমিকভাবে যা পশ্চিম স্কটল্যান্ড থেকে শুরু করা হয়। কর্মকাণ্ড শুরুর পর প্রতিষ্ঠানটি এক হাজার মানুষের মধ্যে ঋণ বিতরণ করে।
প্রতিষ্ঠানটির সম্পত্তি ও দেনা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেওয়া ডানকান এলএলপির কর্মকর্তা ব্রায়ান মিলনে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম এখন বন্ধ হয়ে গেছে। গ্রামীণ স্কটল্যান্ড ফাউন্ডেশন এখন আর তাদের ব্যবসা চালাতে পারবে না, যেহেতু তাদের ঋণের পরিমাণ অপূরণীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ঋণ গ্রহীতাদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় তিন লাখ পাউন্ডের (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকা) ঋণ রয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটির ধসের কারণ, অনেক ঋণগ্রহীতা তাদের বকেয়া পরিশোধ না করার কারণে সেটি আর্থিক অবস্থার ওপর বড় প্রভাব পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দেউলিয়া হয়ে পড়ায় পরিচালকরা ব্যবসা গুটিয়ে ফেলার আবেদন করেছেন।’